সরাইলের ৮০ বছর বয়সের ঐতিহাসিক বটগাছ এটি। সরাইল-অরূয়াইল সড়কের সরাইল সদরের প্রেসক্লাব ও শহিদ মিনারের পাশেই গাছটির অবস্থান। গত ১১ এপ্রিল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে শিকড় ছিড়ে গাছটি পড়ে গেছে সড়কের উপরে। কোন ধরণের হতাহত বা ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। রাতে যান চলাচলে সমস্যা হলেও ভোরে কে বা কারা গাছের উপরের ডালপালা গুলো কেটে দিয়েছেন। ফলে কোন রকমে যান চলাচল করছে। কিন্তু গাড়ির চাপ বেশী হলে লেগে যাচ্ছে যানজট। গাছটির নীচে সম্প্রতি গড়ে ওঠেছিল একাধিক অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রচন্ড তাপদাহে গাছটির নীচে ছায়ায় দাঁড়িয়ে সুশীতল বাতাসে শান্তি অনুভব করত পথচারিরা। গত ৪০-৫০ বছর আগে গাছটির পাশেই টেম্পু ষ্ট্যান্ড। এখান থেকে চুন্টা, রসুলপুর, পাকশিমুল ও অরূয়াইলের রিকশা/ টেম্পু গুলো ছেড়ে যেত। গাছটি পড়ে যাওয়া পুরো এলাকাটি যেন এখন ফাঁকা হয়ে গেছে। জায়গাটিকে মনে হচ্ছে অসহায়। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ, লেখক ও গবেষক সঞ্জীব কুমার দেবনাথ বলেন, ১৯৬৬-৬৭ খ্রিষ্টাব্দে অন্নদা স্কুলে পড়তাম। স্কুলে আসা যাওয়ার সময় দেখতাম এই বটগাছটি বেশ বড়। গাছটিকে ঘেষেই ছিল একটি ঠং দোকান। সকাল বিকেল ও সন্ধ্যায় এখানে মানুষ থাকত। বট গাছ বাড়ে কম। গাছটির বয়স ৮০-৮৫ বছর হবে। সম্ভবত: নীচে শীকড় ছড়তে না পাড়ায় গাছটি ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেনি। তাই ঝড় তুফান ছাড়াই গাছটি পড়ে গেছে। সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান বলেন, হঠাৎ গাছটি নেই। মনে হচ্ছে আমাদের পাশের কি যেন একটা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু ছায়া নয়। গাছ আমাদেরকে অক্সিজেনও দিয়ে থাকে। মানুষের জীবনের জন্য গাছ অনেক উপকারি। আর বটগাছ একটি ঔষধি বৃক্ষও বটে। এখন দ্রূত সড়ক থেকে গাছটি সরিয়ে নেয়া দরকার। নতুবা পথচারি ও সড়কের যাত্রীবাহী যানবাহন গুলোর দূর্ভোগ বাড়বে।
মাহবুব খান বাবুল