ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে শিশুদের মাসিক আবৃত্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন

0
62
sahitto
sahitto

সাহিত্য একাডেমি পরিচালিত প্রশিক্ষণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি উন্নয়নের জন্য “গঙ্গাফড়িংদের আনন্দ আড্ডা” নামক প্রতি মাসে আবৃত্তি আসরের আয়োজন করা হয়।

গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাহিত্য একাডেমি পাঠাগার প্রাঙ্গণে (শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর) এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। “গঙ্গাফড়িংদের আনন্দ আড্ডা” অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন দেশের খ্যাতনামা কবি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, সাহিত্য একাডেমি ১৯৮৩ সন থেকে সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা শুরু করেন। ১৯৮৪ সন থেকে আবৃত্তি চর্চা করেন। ১৯৯২ সনে সাহিত্য একাডেমি ও ঢাকার কণ্ঠশীলনের যৌথ আয়োজনে দীর্ঘ মেয়াদী কর্মশালা পরিচালনা করা হয়। তারপর থেকে সাহিত্য একাডেমি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আবৃত্তি চর্চার বেগবান ঘটে। সাহিত্য একাডেমি আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্ব বাড়িয়ে ২০০৩ সনে প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষণ বিভাগ। প্রশিক্ষণ বিভাগের ছেলেমেয়েরা সাহিত্য একাডেমির মান অক্ষুণ্ন রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বসহকারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, জামিনুর রহমান, মানিক রতন শর্মা, ফারুক আহমেদ ভুইয়া ও ইব্রাহিম খান সাদাৎ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক কবি জয়দুল হোসেন বলেন, নাটক ও আবৃত্তি জনজীবনে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রয়েছে। আবৃত্তি এখন একটা শিল্প মাধ্যম। শুদ্ধচর্চার মাধ্যমে আবৃত্তিতে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। অনুষ্ঠানে শিশু শিক্ষার্থীরা কবি জয়দুল হোসেনের গঙ্গাফড়িং, রোকনুজ্জামান খানের বাক বাকুম কবিতায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে। বড় দল কাজী নজরুল ইসলামের ভৈরবী কবিতা বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এছাড়াও সংগঠনের আবৃত্তি প্রশিক্ষক সোহেল আহাদসহ অন্যান্যরা একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ও আবৃত্তি শিল্পী নুসরাত জাহান বুশরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here