Dhaka 6:32 am, Sunday, 8 September 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির বীমার মেয়াদপূর্তি চেক প্রদান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের আহ্বানে আখাউড়ায় ত্রাণ বিতরণ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গুজব প্রতিরোধে সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়রকে অশ্রুসিক্ত বিদায় সতীর্থদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সভাপতি নির্বাচিত জাবেদ রহিম বিজন

নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারল না হাফিজ

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:48:42 pm, Saturday, 5 August 2023
  • 162 Time View

নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারল না হাফিজ

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
থানায় জিডি করেও জীবন বাঁচাতে পারলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ি চান্দালীর ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৪৭)। পূর্ব শত্রূতার জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে একই গ্রামের প্রয়াত আমিন মিয়ার ছেলে রায়হানের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজের উপর হামলা চালিয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হাফিজের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রমজান মাসে হরিপুর গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমানের (৩৮) মুদির দোকান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় ধরা পড়ে আমিন মিয়ার ছেলে রায়হানের ভাই সাইফুল্লাহ (২২)। এতে রায়হান গংরা ক্ষুদ্ধ হয় হাফিজের উপর। এরই জের ধরে গত ২০-২৫ দিন আগে রায়হানরা তিন ভাই মিলে হাফিজের উপর হামলা করেছিল। এ ঘটনায় ৫ সন্তানের জনক হাফিজ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডারেরী করেছিলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় কিছু লোক ও পুলিশের সহায়তায় নিস্পত্তি হয়। নিস্পত্তির পরও যে খুনের শিকার হতে হবে এমনটি অজানা ছিল হাফিজ ও তার পরিবারের লোকদের। গত ৪ আগষ্ট বিকাল বেলা রায়হান (১৯), সাইফুল্লাহ (২২) , তফছির (২৭) তিন ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকস্মিক ভাবে হাফিজের উপর হামলা চালায়। হামলায় হাফিজের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। গুরূতর আহত হন হাফিজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাফিজকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় হাফিজ মারা যায়। রাতেই হাফিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামে উত্তেজনা বেড়ে যায়। আর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় রায়হানদের পরিবার। ময়না তদন্তের জন্য হাফিজের লাশ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ছিল। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। নিহত হাফিজের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

নিরাপত্তা চেয়েও বাঁচতে পারল না হাফিজ

Update Time : 09:48:42 pm, Saturday, 5 August 2023

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
থানায় জিডি করেও জীবন বাঁচাতে পারলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ি চান্দালীর ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৪৭)। পূর্ব শত্রূতার জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে একই গ্রামের প্রয়াত আমিন মিয়ার ছেলে রায়হানের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজের উপর হামলা চালিয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হাফিজের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রমজান মাসে হরিপুর গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমানের (৩৮) মুদির দোকান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় ধরা পড়ে আমিন মিয়ার ছেলে রায়হানের ভাই সাইফুল্লাহ (২২)। এতে রায়হান গংরা ক্ষুদ্ধ হয় হাফিজের উপর। এরই জের ধরে গত ২০-২৫ দিন আগে রায়হানরা তিন ভাই মিলে হাফিজের উপর হামলা করেছিল। এ ঘটনায় ৫ সন্তানের জনক হাফিজ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডারেরী করেছিলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় কিছু লোক ও পুলিশের সহায়তায় নিস্পত্তি হয়। নিস্পত্তির পরও যে খুনের শিকার হতে হবে এমনটি অজানা ছিল হাফিজ ও তার পরিবারের লোকদের। গত ৪ আগষ্ট বিকাল বেলা রায়হান (১৯), সাইফুল্লাহ (২২) , তফছির (২৭) তিন ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকস্মিক ভাবে হাফিজের উপর হামলা চালায়। হামলায় হাফিজের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। গুরূতর আহত হন হাফিজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাফিজকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় হাফিজ মারা যায়। রাতেই হাফিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামে উত্তেজনা বেড়ে যায়। আর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় রায়হানদের পরিবার। ময়না তদন্তের জন্য হাফিজের লাশ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ছিল। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। নিহত হাফিজের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।