ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহবাজপুরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আলামিনকে সিটিএল’এর অনুদান শুভসংঘের আয়োজন সবজি দেখে শিক্ষার্থীরা লিখলো খাতায় বাঁচার আকুতি বিরল রোগে আক্রান্ত আলামিনের’ বিজয়নগরে ভোরের দর্পণ পত্রিকার বর্ষপূর্তি উদযাপন সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৮ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ২ মাসে ৩১ ট্রান্সফরমার চুরি

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তৃতীয় বিয়েও ভাঙ্গলো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

received 683123403162513

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনই আকন্ঞ্জি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার তৃতীয় বিয়েও টিকেনি। ৭ মাসেই বিচ্ছেদ হয়। সম্পত্তির জন্যে সাবেক স্বামীকে হুমকী দেয়ার অভিযোগে ওই স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার সাবেক স্বামী। এরআগে স্বামীকে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জাপান প্রবাস ফেরত মোঃ হারুন অর রশিদ গত ২৭শে অক্টোবর তার সাবেক স্ত্রী মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলী, তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মোঃ আসলাম এবং স্ত্রীর ছোট ভাই কাউছারের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যাতে বলা হয়- হারুন দীর্ঘদিন জাপানে ব্যবসা করতেন। সেখানে থাকার সময় এক জাপানি মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সেখানে তার ব্যবসা বানিজ্যে লোকসান হলে তার জাপানী স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর জাপান থেকে দেশে ফিরে চলতি বছরের ৮ই মার্চ শহরের পূর্ব মেড্ডার কফিল উদ্দিনের কন্যা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষিকা মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলীকে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেন। সেসময় শ্যামলীর প্রথম বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা বলা হলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। বিয়ের পর শ্যামলীকে নিয়ে শহরতলীর বিরাসার এলাকায় ভাডা বাসায় বসবাস শুরু করেন। এই বাসায় শ্যামলীর প্রথম পক্ষের ছেলে শান্ত ও ছোট ভাই কাউছার থাকতো। অভিযোগ করা হয় বিয়ের পর থেকেই শ্যামলী বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন এবং তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে পুনরায় পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন। গত এপ্রিল মাসে হারুন অর রশিদের আই ফোন মোবাইল হারিয়ে গেলে শ্যামলীর ভাই কাউছার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফোনটি এনে দেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে শ্যামলীর গোপন সম্পর্ক দেখে ফেলেন হারুন। গত ২২ অক্টোবর হারুনের একটি আংটি খোয়া গেলে তা জিজ্ঞেস করায় আসলাম ও কাউছার হারুনকে মারধর করে এবং ফোন সেট রেখে দেয়। এ ঘটনার পর গত ২৫শে অক্টোবর শ্যামলীকে তালাক দেন হারুন। এরপর সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্যে হারুনকে হুমকী দিতে থাকেন আগের স্ত্রী শ্যামলী। তবে কাউছুন্নাহার শ্যামলী দাবী করেন-তাকে বিয়ে করার আগে হারুন অর রশিদ আরো দুটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে। তার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার পর জানতে পারি তিনি সম্পূর্ণ বেকার বা কর্মহীন। তার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা হারুন অর রশিদ নিয়ে যেতেন। টাকা দিতে না পারায় গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে হারুন অর রশিদ তাকে মারধোর করে আহত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান-জিডির তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তৃতীয় বিয়েও ভাঙ্গলো

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

এনই আকন্ঞ্জি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার তৃতীয় বিয়েও টিকেনি। ৭ মাসেই বিচ্ছেদ হয়। সম্পত্তির জন্যে সাবেক স্বামীকে হুমকী দেয়ার অভিযোগে ওই স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার সাবেক স্বামী। এরআগে স্বামীকে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জাপান প্রবাস ফেরত মোঃ হারুন অর রশিদ গত ২৭শে অক্টোবর তার সাবেক স্ত্রী মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলী, তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মোঃ আসলাম এবং স্ত্রীর ছোট ভাই কাউছারের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যাতে বলা হয়- হারুন দীর্ঘদিন জাপানে ব্যবসা করতেন। সেখানে থাকার সময় এক জাপানি মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সেখানে তার ব্যবসা বানিজ্যে লোকসান হলে তার জাপানী স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর জাপান থেকে দেশে ফিরে চলতি বছরের ৮ই মার্চ শহরের পূর্ব মেড্ডার কফিল উদ্দিনের কন্যা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষিকা মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলীকে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেন। সেসময় শ্যামলীর প্রথম বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা বলা হলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। বিয়ের পর শ্যামলীকে নিয়ে শহরতলীর বিরাসার এলাকায় ভাডা বাসায় বসবাস শুরু করেন। এই বাসায় শ্যামলীর প্রথম পক্ষের ছেলে শান্ত ও ছোট ভাই কাউছার থাকতো। অভিযোগ করা হয় বিয়ের পর থেকেই শ্যামলী বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন এবং তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে পুনরায় পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন। গত এপ্রিল মাসে হারুন অর রশিদের আই ফোন মোবাইল হারিয়ে গেলে শ্যামলীর ভাই কাউছার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফোনটি এনে দেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে শ্যামলীর গোপন সম্পর্ক দেখে ফেলেন হারুন। গত ২২ অক্টোবর হারুনের একটি আংটি খোয়া গেলে তা জিজ্ঞেস করায় আসলাম ও কাউছার হারুনকে মারধর করে এবং ফোন সেট রেখে দেয়। এ ঘটনার পর গত ২৫শে অক্টোবর শ্যামলীকে তালাক দেন হারুন। এরপর সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্যে হারুনকে হুমকী দিতে থাকেন আগের স্ত্রী শ্যামলী। তবে কাউছুন্নাহার শ্যামলী দাবী করেন-তাকে বিয়ে করার আগে হারুন অর রশিদ আরো দুটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে। তার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার পর জানতে পারি তিনি সম্পূর্ণ বেকার বা কর্মহীন। তার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা হারুন অর রশিদ নিয়ে যেতেন। টাকা দিতে না পারায় গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে হারুন অর রশিদ তাকে মারধোর করে আহত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান-জিডির তদন্ত চলছে।