ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তৃতীয় বিয়েও ভাঙ্গলো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

received 683123403162513

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনই আকন্ঞ্জি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার তৃতীয় বিয়েও টিকেনি। ৭ মাসেই বিচ্ছেদ হয়। সম্পত্তির জন্যে সাবেক স্বামীকে হুমকী দেয়ার অভিযোগে ওই স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার সাবেক স্বামী। এরআগে স্বামীকে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জাপান প্রবাস ফেরত মোঃ হারুন অর রশিদ গত ২৭শে অক্টোবর তার সাবেক স্ত্রী মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলী, তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মোঃ আসলাম এবং স্ত্রীর ছোট ভাই কাউছারের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যাতে বলা হয়- হারুন দীর্ঘদিন জাপানে ব্যবসা করতেন। সেখানে থাকার সময় এক জাপানি মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সেখানে তার ব্যবসা বানিজ্যে লোকসান হলে তার জাপানী স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর জাপান থেকে দেশে ফিরে চলতি বছরের ৮ই মার্চ শহরের পূর্ব মেড্ডার কফিল উদ্দিনের কন্যা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষিকা মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলীকে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেন। সেসময় শ্যামলীর প্রথম বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা বলা হলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। বিয়ের পর শ্যামলীকে নিয়ে শহরতলীর বিরাসার এলাকায় ভাডা বাসায় বসবাস শুরু করেন। এই বাসায় শ্যামলীর প্রথম পক্ষের ছেলে শান্ত ও ছোট ভাই কাউছার থাকতো। অভিযোগ করা হয় বিয়ের পর থেকেই শ্যামলী বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন এবং তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে পুনরায় পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন। গত এপ্রিল মাসে হারুন অর রশিদের আই ফোন মোবাইল হারিয়ে গেলে শ্যামলীর ভাই কাউছার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফোনটি এনে দেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে শ্যামলীর গোপন সম্পর্ক দেখে ফেলেন হারুন। গত ২২ অক্টোবর হারুনের একটি আংটি খোয়া গেলে তা জিজ্ঞেস করায় আসলাম ও কাউছার হারুনকে মারধর করে এবং ফোন সেট রেখে দেয়। এ ঘটনার পর গত ২৫শে অক্টোবর শ্যামলীকে তালাক দেন হারুন। এরপর সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্যে হারুনকে হুমকী দিতে থাকেন আগের স্ত্রী শ্যামলী। তবে কাউছুন্নাহার শ্যামলী দাবী করেন-তাকে বিয়ে করার আগে হারুন অর রশিদ আরো দুটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে। তার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার পর জানতে পারি তিনি সম্পূর্ণ বেকার বা কর্মহীন। তার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা হারুন অর রশিদ নিয়ে যেতেন। টাকা দিতে না পারায় গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে হারুন অর রশিদ তাকে মারধোর করে আহত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান-জিডির তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তৃতীয় বিয়েও ভাঙ্গলো

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

এনই আকন্ঞ্জি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার তৃতীয় বিয়েও টিকেনি। ৭ মাসেই বিচ্ছেদ হয়। সম্পত্তির জন্যে সাবেক স্বামীকে হুমকী দেয়ার অভিযোগে ওই স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তার সাবেক স্বামী। এরআগে স্বামীকে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জাপান প্রবাস ফেরত মোঃ হারুন অর রশিদ গত ২৭শে অক্টোবর তার সাবেক স্ত্রী মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলী, তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মোঃ আসলাম এবং স্ত্রীর ছোট ভাই কাউছারের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যাতে বলা হয়- হারুন দীর্ঘদিন জাপানে ব্যবসা করতেন। সেখানে থাকার সময় এক জাপানি মেয়েকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সেখানে তার ব্যবসা বানিজ্যে লোকসান হলে তার জাপানী স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর জাপান থেকে দেশে ফিরে চলতি বছরের ৮ই মার্চ শহরের পূর্ব মেড্ডার কফিল উদ্দিনের কন্যা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষিকা মোছাম্মৎ কাউছুন্নাহার শ্যামলীকে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেন। সেসময় শ্যামলীর প্রথম বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা বলা হলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। বিয়ের পর শ্যামলীকে নিয়ে শহরতলীর বিরাসার এলাকায় ভাডা বাসায় বসবাস শুরু করেন। এই বাসায় শ্যামলীর প্রথম পক্ষের ছেলে শান্ত ও ছোট ভাই কাউছার থাকতো। অভিযোগ করা হয় বিয়ের পর থেকেই শ্যামলী বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন এবং তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে পুনরায় পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন। গত এপ্রিল মাসে হারুন অর রশিদের আই ফোন মোবাইল হারিয়ে গেলে শ্যামলীর ভাই কাউছার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফোনটি এনে দেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্বামী আসলামের সাথে শ্যামলীর গোপন সম্পর্ক দেখে ফেলেন হারুন। গত ২২ অক্টোবর হারুনের একটি আংটি খোয়া গেলে তা জিজ্ঞেস করায় আসলাম ও কাউছার হারুনকে মারধর করে এবং ফোন সেট রেখে দেয়। এ ঘটনার পর গত ২৫শে অক্টোবর শ্যামলীকে তালাক দেন হারুন। এরপর সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্যে হারুনকে হুমকী দিতে থাকেন আগের স্ত্রী শ্যামলী। তবে কাউছুন্নাহার শ্যামলী দাবী করেন-তাকে বিয়ে করার আগে হারুন অর রশিদ আরো দুটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে। তার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার পর জানতে পারি তিনি সম্পূর্ণ বেকার বা কর্মহীন। তার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা হারুন অর রশিদ নিয়ে যেতেন। টাকা দিতে না পারায় গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে হারুন অর রশিদ তাকে মারধোর করে আহত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান-জিডির তদন্ত চলছে।