সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ:

- আপডেট সময় : ০৭:০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বিগত ০৯-০১-২৪ ইং তারিখে জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং উনার ছেলে জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, সাংবাদিকদের সামনে বাস্তবতাকে গোপন করে আমি শহিদুল ইসলাম রুবেল, আমার বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম কালন এবং আমার চাচা শাহ আলম মিয়াকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, ভূয়া ও অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ আনেন। যা একেবারেই তাদের মনগড়া বক্তব্য ছিল এবং এসবের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম আলোসহ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের খবরে তা প্রকাশিত হয় যাহাতে আমরা বিস্মিত হই। এসব বনোয়াট বক্তব্যের সত্যতা যাচাই না করেই গণমাধ্যমগুলোতে খবর প্রচার করা হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও প্রচারিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে জনাব মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক আনীত বক্তব্য অনুযায়ী জায়গা জমি ও ব্যবসায়িক যে বিরোধের কথা বলেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম কালন দীর্ঘদিন শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন, ঠিক একই কমিটিতে সরাইল উপজেলা আওয়ামীগের তৎকালিন সভাপতি জনাব আব্দুল হালিম মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব রফিক উদ্দিন ঠাকুর ২২/১২/২০১১ তারিখের স্বাক্ষরিত কমিটিতে মো: সিরাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য পদেও ছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি উনার সন্তান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটি শাখায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি জনাব রেজওয়ান হক চৌধুরি শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব গোলাম রাব্বানী ২৭/০৬/২০১৯ তারিখে স্বাক্ষরিত কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন। বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের আওয়ামী লীগ কর্মীদের নামে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা হয়। এসময়, আমার বাবার নামেও মিথ্যা মামলা করা হয়। ঠিক একইভাবে জনাব মোঃ সিরাজুল ও তার সন্তান মো: মোস্তাফিজুর রহমানের আওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় মামলা মোকাদ্দামা হয়। যাহার সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা থাকার প্রশ্নই ওঠে না। বস্তুতপক্ষে উনি আওয়ামী খোলস পালটে নিরীহ এবং বিএনপির লোক সাজার চেষ্টায় আছেন। জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলামের দীর্ঘ জীবনে অদ্য পর্যন্ত উনি বিভিন্ন মামলায় বাদী ও আসামি হয়েছেন। এমনকি উনার আপন ভাই, ভাতিজার সাথেও মামলায় জড়িয়েছেন যাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টে এখনও চলমান রয়েছে বলে নথিপত্রে রয়েছে।
উল্লেখ্য আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ দেশ ও জনগনের বন্ধু, যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এইখানে আমার বাবার সাথে পুলিশকে জড়িয়ে যে অভিযোগ সেটি একেবারেই অযোক্তিক এবং বেমানান। আমার বাবা জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম কালন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ের পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গনেও নানান ভাবে অবদান রেখে এসেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছি। আমার মেজো ভাই ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। আর আমার ছোট ভাই জনাব মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সজীব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টের একজন নিয়মিত আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস করছেন। এইখানে আমার সুনামধন্য পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও তার বাবা মো. সিরাজুল ইসলাম এর আনা নোংরা অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
শহীদুল ইসলাম রুবেল
০১৭১২৯০৩১০৪