শেরাটন হোটেলের গাড়িচালকের দাপটে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২ ১১৫ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম এলাকার ছেলে রাসেল মিয়া। দিন মজুর আব্দুল ওয়াহাবের ৪ ছেলের মধ্যে সে বড়। ড্রাইভিং পেশায় ঢাকায় দীর্ঘদিন অবস্থানের পর চাকরি হয় ৫ তারকা হোটেল শেরাটনে। এরপরই বদলে যেতে থাকে রাসেলের পরিবারের চেহারা। এই সোনার কাঠির ছোঁয়ায় নিজের এলাকায় আধিপত্য দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠে রাসেল৷ এই রাসেলই এখন নিজ এলাকার গলার কাটা৷ দস্যুতা, চাঁদাবাজী ও জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু শেরাটন হোটেলে চাকরির সুবাদে ভিআইপিদের আর্শীবাদে এসব অভিযোগ থেকে পাড় পেয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিন মজুরের ছেলে রাসেলের শেরাটনে চাকরি হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে পড়েন। জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশি তদন্তেও মেলে অভিযোগের সত্যতা। কিন্তু এতেও দমে থাকেনি রাসেল। তার ও তার পরিবারের অত্যাচারে স্থানীয় আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ডেইরি ফার্ম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। শারমিন আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করায় শারমিন আক্তারের স্বামীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ফজলু মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী রাসেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছিলেন। পরবর্তীতে এই মামলা স্থানীয় সাহেব সর্দাররা শালিসি সভায় মিমাংসা করেন।
ডেইরী ফার্মের মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। দেশে ফিরে আব্দুল্লাহ এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম সরকারি লাইসেন্স নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি। এই খামারের গরুর জন্য বিদেশি ঘাস জমিতে চাষাবাদ করি। কিন্তু প্রায় সময় জোরপূর্বক ভাবে রাসেল, রাসেলের স্ত্রী, ভাইয়েরা গরুর ঘাস কেটে নিয়ে যায়। যার ভিডিও আছে। তাদের দাবি, খামার ও ঘাস চাষ করতে হলে তাদের টাকা দিতে হবে। ২০২১ সালের জুন মাসে তারা দলবদ্ধ ভাবে আমাকে মারধোর করে৷ এই ঘটনায় আমি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিলে, বিষয়টি তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। ডিবি পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। তারপরও তাদের অত্যাচার থেমে থাকেনি। তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে খামারটি বন্ধ করে দিয়েছি।
স্থানীয় হামিদুর রহমানের স্ত্রী শারমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়েছে রাসেল। রাসেলের পরিবারের সাথে আমাদের বিরোধ ছিলো। গত ২৬ জুন রাসেলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় আমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এই ঘটনায় মামলায় দায়ের করলে ক্ষোভে আমার স্বামীকে ঢাকা যাওয়ার পথে ফাঁসিয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, আমরা অভিযুক্তের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি , অপরাধ করলে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।