Dhaka 8:29 am, Sunday, 8 September 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির বীমার মেয়াদপূর্তি চেক প্রদান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের আহ্বানে আখাউড়ায় ত্রাণ বিতরণ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গুজব প্রতিরোধে সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়রকে অশ্রুসিক্ত বিদায় সতীর্থদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সভাপতি নির্বাচিত জাবেদ রহিম বিজন

রাতের সরাইলে শীতের দাপট শীতার্তদের পাশে বিভিন্ন সংগঠন

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:49:45 pm, Saturday, 21 January 2023
  • 120 Time View

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

শৈত্য প্রবাহের দখল কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতে সরাইলে শীত আবারও ঝেঁকে বসেছে। গত ৪-৫ দিন ধরে রাতের সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। সকাল ৮টার আগে দেখা মিলে না সূর্যের। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালকা রোদের দেখা মিললেও তাপ মিলে না। তাই বাড়ছে রোগ ব্যাধি। স্বল্প আয়ের লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে কিছুটা কষ্টে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সরকারী দফতর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবীসহ স্থানীয় কিছু এনজিও। পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসহায়দের খুঁজে বের করে বাড়িতে শীত বস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন সরাইল প্রেসক্লাব। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া ৫ দিনের ঘন কূঁয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ফলে সরাইলের জনজীবন অচল হয়ে পড়েছিল। একাধারে ৫ দিন রোদের দেখা মিলেনি। ধান শুকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ৯ উপজেলার কৃষকদের। সেই শৈত্য প্রবাহের দাপট শেষ হতে না হতেই আবার শুরূ হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ফের গত ৩-৪ দিন ধরে নিয়মিত আছরের পর থেকে বাড়তে থাকে শীতের দাপট। কোন কোন দিন সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নেমে যায় ১৩ ডিগ্রীর নীচে। রাত ৯টার পর ১১/১২ ডিগ্রীও হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ ব্যাধি। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। রাত ৮টার পরই ফাঁকা হতে থাকে হাট বাজার ও সড়ক। অত্যন্ত কষ্টে ঠান্ডার সাথে লড়াই করে ইরি বোরো ধানের ছারা গাছ রোপন করছে শ্রমিকরা। মূল্য বেড়ে গেছে শীত বস্ত্রেরও। কিছুটা দূর্ভোগে পড়েছে গরীব অসহায় নারী পুরূষ ও শিশুরা। তবে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন শীত বস্ত্র নিয়ে শীতার্ত মানুষের দাঁড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেড় শতাধিক দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের খুঁজে বের করে কম্বল বিতরণ করছেন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সরাইল প্রেসক্লাব। শতাধিক গরীব লোককে কম্বল প্রদান করেছেন স্থানীয় ‘বন্ধু সংগঠন’ নামের একটি সামাজিক সংস্থা। সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরাইলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে ৪ সহস্রাধিক দরিদ্র অসহায় নারী পুরূষকে কম্বল প্রদান করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

রাতের সরাইলে শীতের দাপট শীতার্তদের পাশে বিভিন্ন সংগঠন

Update Time : 01:49:45 pm, Saturday, 21 January 2023

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

শৈত্য প্রবাহের দখল কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতে সরাইলে শীত আবারও ঝেঁকে বসেছে। গত ৪-৫ দিন ধরে রাতের সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। সকাল ৮টার আগে দেখা মিলে না সূর্যের। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালকা রোদের দেখা মিললেও তাপ মিলে না। তাই বাড়ছে রোগ ব্যাধি। স্বল্প আয়ের লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে কিছুটা কষ্টে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সরকারী দফতর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবীসহ স্থানীয় কিছু এনজিও। পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসহায়দের খুঁজে বের করে বাড়িতে শীত বস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন সরাইল প্রেসক্লাব। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া ৫ দিনের ঘন কূঁয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ফলে সরাইলের জনজীবন অচল হয়ে পড়েছিল। একাধারে ৫ দিন রোদের দেখা মিলেনি। ধান শুকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ৯ উপজেলার কৃষকদের। সেই শৈত্য প্রবাহের দাপট শেষ হতে না হতেই আবার শুরূ হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ফের গত ৩-৪ দিন ধরে নিয়মিত আছরের পর থেকে বাড়তে থাকে শীতের দাপট। কোন কোন দিন সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নেমে যায় ১৩ ডিগ্রীর নীচে। রাত ৯টার পর ১১/১২ ডিগ্রীও হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ ব্যাধি। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। রাত ৮টার পরই ফাঁকা হতে থাকে হাট বাজার ও সড়ক। অত্যন্ত কষ্টে ঠান্ডার সাথে লড়াই করে ইরি বোরো ধানের ছারা গাছ রোপন করছে শ্রমিকরা। মূল্য বেড়ে গেছে শীত বস্ত্রেরও। কিছুটা দূর্ভোগে পড়েছে গরীব অসহায় নারী পুরূষ ও শিশুরা। তবে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন শীত বস্ত্র নিয়ে শীতার্ত মানুষের দাঁড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেড় শতাধিক দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের খুঁজে বের করে কম্বল বিতরণ করছেন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সরাইল প্রেসক্লাব। শতাধিক গরীব লোককে কম্বল প্রদান করেছেন স্থানীয় ‘বন্ধু সংগঠন’ নামের একটি সামাজিক সংস্থা। সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরাইলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে ৪ সহস্রাধিক দরিদ্র অসহায় নারী পুরূষকে কম্বল প্রদান করেছি।