ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

কৃষি জমির ক্ষতি করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

আশ্রয়ণ প্রকল্প

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২০ নং কাইতলা দাক্ষিণ গ্রামে কৃষি জমি ক্ষতি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই প্রকল্পের ঘরের জন্য কৃষি জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলণের কাজ চলছে। এতে আশপাশের বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি হুমকীর মুখে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সৃষ্ট সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থানান্তর করে কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০ নং কাইতলা দাক্ষিণ গ্রামে প্রথমে মোঃ বিল্লাল মিয়ার বাড়ির সাথে ৫২ শতক জায়গায় বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিল। যার পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তাও রয়েছে। তবে প্রভাবশালী মহলের কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি সেখান থেকে স্থানান্তর করে শত শত বিঘা জমির মাঝ খানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। আর সেজন্য স্থানীয় আলাউদ্দিন নামের একজনের ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এতে করে জনগনের ফসলী জমির ক্ষতি হচ্ছে। আবেদনে এলাকাবাসী পূর্বে যে জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিলে সেখানে এই প্রকল্পটি স্থানান্তরের আবেদন করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি জমি কেটে কৃষি জমির উপর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি করা হচ্ছে। এতে করে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি ক্ষতি সম্মুখীন। এছাড়াও প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে কৃষি জমিগুলো হুমকীর মুখে পড়েছে। এলাকার কিছু অসাধু চক্রের কাছে অনেক সরকারী খাস জমি রয়েছে। প্রথমে যেখানে এই প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রকল্পটি কেন হয়নি তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানাচ্ছি। আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পে বিরুদ্ধে নই, তবে সেটি পূর্বের জায়গায় স্থানান্তর করা হউক। এদিকে যে জায়গ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে এবং যেখানে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে সেই জমিগুলো ব্যক্তিগত বলে দাবী করছে পান্না আক্তার ও সালেহা বেগম নামের দুইজন। তবে উপজেলা ভূমি অফিস বলছে সেগুলো সরকারী খাস জমি।

এ বিষয়ে নবীনগর সদর সহকারী কমিশনার ভূমি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রথমে যে জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছিল তার আকার হচ্ছে ৫২ শতক। তবে বর্তমানে যেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হচ্ছে তার আকার ১০৩ শতক এবং এটি খাস জমি। তাই এই জায়গাটি তুলনামূলক বড় হওয়ায় সেই জায়গাতে প্রকল্পটি হচ্ছে। সে সাথে চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কৃষি জমির ক্ষতি করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২০ নং কাইতলা দাক্ষিণ গ্রামে কৃষি জমি ক্ষতি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই প্রকল্পের ঘরের জন্য কৃষি জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলণের কাজ চলছে। এতে আশপাশের বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি হুমকীর মুখে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সৃষ্ট সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থানান্তর করে কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০ নং কাইতলা দাক্ষিণ গ্রামে প্রথমে মোঃ বিল্লাল মিয়ার বাড়ির সাথে ৫২ শতক জায়গায় বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিল। যার পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তাও রয়েছে। তবে প্রভাবশালী মহলের কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি সেখান থেকে স্থানান্তর করে শত শত বিঘা জমির মাঝ খানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। আর সেজন্য স্থানীয় আলাউদ্দিন নামের একজনের ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এতে করে জনগনের ফসলী জমির ক্ষতি হচ্ছে। আবেদনে এলাকাবাসী পূর্বে যে জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিলে সেখানে এই প্রকল্পটি স্থানান্তরের আবেদন করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি জমি কেটে কৃষি জমির উপর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি করা হচ্ছে। এতে করে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি ক্ষতি সম্মুখীন। এছাড়াও প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে কৃষি জমিগুলো হুমকীর মুখে পড়েছে। এলাকার কিছু অসাধু চক্রের কাছে অনেক সরকারী খাস জমি রয়েছে। প্রথমে যেখানে এই প্রকল্পটি হওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রকল্পটি কেন হয়নি তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানাচ্ছি। আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পে বিরুদ্ধে নই, তবে সেটি পূর্বের জায়গায় স্থানান্তর করা হউক। এদিকে যে জায়গ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে এবং যেখানে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে সেই জমিগুলো ব্যক্তিগত বলে দাবী করছে পান্না আক্তার ও সালেহা বেগম নামের দুইজন। তবে উপজেলা ভূমি অফিস বলছে সেগুলো সরকারী খাস জমি।

এ বিষয়ে নবীনগর সদর সহকারী কমিশনার ভূমি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রথমে যে জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছিল তার আকার হচ্ছে ৫২ শতক। তবে বর্তমানে যেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হচ্ছে তার আকার ১০৩ শতক এবং এটি খাস জমি। তাই এই জায়গাটি তুলনামূলক বড় হওয়ায় সেই জায়গাতে প্রকল্পটি হচ্ছে। সে সাথে চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে।