ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি বন্দিদের ইফতারে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ

কসবায় নিখোঁজের ১১ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে

কসবায় নিখোঁজের ১১ দিন পর এক অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেন তার বন্ধু রাসেল মিয়া। হত্যার ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজে জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার অটোরিকশাচালক কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা গ্রামের আয়েত আলী ছেলে মো. মহসীন (২৪)। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। রাসেল বিষ্ণুপুর এলাকার মন মিয়ার ছেলে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

জবানবন্দির জন্য রাসেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহসীনের বাবা আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলায় রাসেল ছাড়াও রিপন নামের আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য মহসীনকে চার হাজার টাকা দেন রাসেল। তবে মহসীন মোবাইল ফোন দিতে গড়িমসি করছিলেন। এক পর্যায়ে রাসেল জানতে পারে যে মহসীন ওই মোবাইল ফোনটি ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ ডিসেম্বর মহসীনকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে রিপনের সহযোগিতায় হত্যা করে রাসেল।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পরদিন রাসেল তার পাওনা চার হাজার টাকার জন্য মহসীনের বাড়িতে যান। এ সময় মহসীনের স্ত্রী জানান, মহসীন আগের দিন থেকে বাড়িতে আসেন না। মহসীন তার কাছে যে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন সেটা দিয়ে কিস্তি দিয়েছেন বলে হাতে টাকা নেই। মহসীনের মা বলেন, মহসীন ফিরে এলে কথা বলে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। এরই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায় যে, রাসেলকে আটক করা গেলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাস ফেরত রাসেল ও তার সহযোগী রিপন মাদকসেবী বলে জানান ওসি।

২৪ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলার গাজীর বাজারে ফারহান ভূঁইয়া রনি নামের মাদকাসক্তের হাতে শারমীন বেগম নামের এক নারী খুন হন। ওই নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন এই যুবক। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কসবায় নিখোঁজের ১১ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেন তার বন্ধু রাসেল মিয়া। হত্যার ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজে জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার অটোরিকশাচালক কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা গ্রামের আয়েত আলী ছেলে মো. মহসীন (২৪)। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। রাসেল বিষ্ণুপুর এলাকার মন মিয়ার ছেলে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

জবানবন্দির জন্য রাসেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহসীনের বাবা আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলায় রাসেল ছাড়াও রিপন নামের আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য মহসীনকে চার হাজার টাকা দেন রাসেল। তবে মহসীন মোবাইল ফোন দিতে গড়িমসি করছিলেন। এক পর্যায়ে রাসেল জানতে পারে যে মহসীন ওই মোবাইল ফোনটি ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ ডিসেম্বর মহসীনকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে রিপনের সহযোগিতায় হত্যা করে রাসেল।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পরদিন রাসেল তার পাওনা চার হাজার টাকার জন্য মহসীনের বাড়িতে যান। এ সময় মহসীনের স্ত্রী জানান, মহসীন আগের দিন থেকে বাড়িতে আসেন না। মহসীন তার কাছে যে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন সেটা দিয়ে কিস্তি দিয়েছেন বলে হাতে টাকা নেই। মহসীনের মা বলেন, মহসীন ফিরে এলে কথা বলে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। এরই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায় যে, রাসেলকে আটক করা গেলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাস ফেরত রাসেল ও তার সহযোগী রিপন মাদকসেবী বলে জানান ওসি।

২৪ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলার গাজীর বাজারে ফারহান ভূঁইয়া রনি নামের মাদকাসক্তের হাতে শারমীন বেগম নামের এক নারী খুন হন। ওই নারীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন এই যুবক। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।