ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন চিকিৎসক মোঃতৈয়বুর রহমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২ ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

ডাঃ মোঃতৈয়বুর রহমান

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লা থেকে হারিয়ে যাওয়া কাউসার আহম্মেদ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে উদ্ধার করে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মোঃ তৈয়বুর রহমান। গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের আল খলিল হাসপাতালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নেন এই চিকিৎসক। এর আগে গত ৫ তারিখে অভিমান করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায় শিক্ষার্থী কাউসার। সে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের রজ্বব হোসেনের ছেলে। শিক্ষার্থী কাউসার জানান, সে কুমিল্লার ময়নামতি গরীবে নেওয়াজ এতিমখানার কোরআনে হাফেজ ১১ পাড়া পড়ায় অধ্যয়নরত ছিলেন। গত ৫ অক্টোবর তার মায়ের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করে সে। তার মা হাসিনা আক্তার তাকে সেই টাকা দিতে মানা করায় অভিমান করে সে মাদ্রাসা থেকে সন্ধ্যায় মহানগর গৌধুলী এক্সপ্রেস ট্রেনে পালিয়ে ঢাকায় চলে যেতেতে চায়। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোসাইন দস্তগীর নামে এক যুবক তাকে ট্রেনে পেয়ে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় নিয়ে আসে। পরে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা:মোঃ তৈয়বুর রহমানের সহকারী সাব্বির রহমানকে ঘটনাটি বললে সাব্বির রহমান সেদিন রাতে তাকে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারকে খুজে বের করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডা: তৈয়বুর রহমান তার পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ডা: তৈয়বুর রহমানের সহকারী সাব্বির রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর ছেলেটিকে নিয়ে আমাদের সাথে রাখি। পরে ছেলেটির কাছ থেকে তার মায়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করি। পরে ৭ অক্টোবর ছেলেটির পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আসলে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার স্যারের কাছে নিয়ে যাই। সবকিছু শোনার পর তিনি এই ছেলেটির মাদ্রাসার ভর্তি করিয়ে দিয়ে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আমার স্যার ছেলেটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা (বড় মাদ্রাসায়) ভর্তি করিয়ে ছেলেটির পড়ালেখার সকল খরচের দায়িত্ব নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: তৈয়বুর রহমান জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। ছেলেটির মাদ্রাসার ভর্তি করানো সহ তার সকল খরচ আমি বহন করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন চিকিৎসক মোঃতৈয়বুর রহমান

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

কুমিল্লা থেকে হারিয়ে যাওয়া কাউসার আহম্মেদ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে উদ্ধার করে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মোঃ তৈয়বুর রহমান। গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের আল খলিল হাসপাতালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নেন এই চিকিৎসক। এর আগে গত ৫ তারিখে অভিমান করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায় শিক্ষার্থী কাউসার। সে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের রজ্বব হোসেনের ছেলে। শিক্ষার্থী কাউসার জানান, সে কুমিল্লার ময়নামতি গরীবে নেওয়াজ এতিমখানার কোরআনে হাফেজ ১১ পাড়া পড়ায় অধ্যয়নরত ছিলেন। গত ৫ অক্টোবর তার মায়ের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করে সে। তার মা হাসিনা আক্তার তাকে সেই টাকা দিতে মানা করায় অভিমান করে সে মাদ্রাসা থেকে সন্ধ্যায় মহানগর গৌধুলী এক্সপ্রেস ট্রেনে পালিয়ে ঢাকায় চলে যেতেতে চায়। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোসাইন দস্তগীর নামে এক যুবক তাকে ট্রেনে পেয়ে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় নিয়ে আসে। পরে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা:মোঃ তৈয়বুর রহমানের সহকারী সাব্বির রহমানকে ঘটনাটি বললে সাব্বির রহমান সেদিন রাতে তাকে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারকে খুজে বের করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডা: তৈয়বুর রহমান তার পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ডা: তৈয়বুর রহমানের সহকারী সাব্বির রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর ছেলেটিকে নিয়ে আমাদের সাথে রাখি। পরে ছেলেটির কাছ থেকে তার মায়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করি। পরে ৭ অক্টোবর ছেলেটির পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আসলে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার স্যারের কাছে নিয়ে যাই। সবকিছু শোনার পর তিনি এই ছেলেটির মাদ্রাসার ভর্তি করিয়ে দিয়ে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আমার স্যার ছেলেটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা (বড় মাদ্রাসায়) ভর্তি করিয়ে ছেলেটির পড়ালেখার সকল খরচের দায়িত্ব নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: তৈয়বুর রহমান জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। ছেলেটির মাদ্রাসার ভর্তি করানো সহ তার সকল খরচ আমি বহন করব।