Dhaka 10:27 pm, Thursday, 19 September 2024
News Title :
লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির বীমার মেয়াদপূর্তি চেক প্রদান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের আহ্বানে আখাউড়ায় ত্রাণ বিতরণ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:51:42 pm, Friday, 13 September 2024
  • 95 Time View

লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার,

বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রবাসীর চার লক্ষ টাকা নিয়েও অস্বীকার করার ঘটনায় ভুক্তভোগী হয়েছে আদালত দ্বারস্থ। ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে।

জানা যায় সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার দৌলতপাড়া গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম একই গ্রামের  ডালিম মিয়ার সাথে একই  এলাকায় থাকায় দুই পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিরাজমান ছিল।

এই সম্পর্কের কারণে গত ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি ডালিম মিয়ার স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৪) নিজের বাড়ি নির্মাণের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন বলে জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ৪ লক্ষ টাকা ধার নেয়। যা সে এক বছর পরে ফেরত দিবে বলে পাঁচ জন সাক্ষীর সামনে অঙ্গীকার করে।

কিন্তু দেখা যায় টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ে পার হয়ে গেলেও বিউটি বেগম টাকা ফেরত না দিয়ে নানা রকম তাল বাহানা করতে থাকে। বারবার তাকে নানাভাবে তাগাদা দিলেও সে টাকা ফেরত না দিয়ে দিবো দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ ও বারবার তারিখ দিতে থাকে।

এমতো অবস্থায় বিউটি বেগম আগামী দু মাসের মধ্যে জহিরুল ইসলামকে চার লক্ষ টাকা ফেরত দিব বলে গত ০৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১০০ টাকার তিনটি জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষীগণের সামনে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে।

কিন্তু দেখা যায় এবারও সময় পার হয়ে গেলেও বিউটি বেগমের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমতো অবস্থায় জহিরুল ইসলাম সাক্ষীদেরকে নিয়ে গত ২২ আগস্ট ২০২৪ সালে বিউটি বেগমের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিউটি বেগম জরুল ইসলামের কাছে থেকে কখনো কোনরূপ টাকা নেয়নি বলে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং উদ্ধত আচরণ প্রকাশ করে।

সরল বিশ্বাসী ও নিরুপায় জহিরুল ইসলাম তার পাওনা টাকা ফেরত নিতে এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাইল আমলি আদালতে পেনাল কোড ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং সিআর ৭১০/২৪, তারিখ ২৫/৮/২০২৪।

টাকা পাওনার বিষয়ে জানতে বিউটি বেগম বাড়ি গেলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে জানা যায় সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের

Update Time : 06:51:42 pm, Friday, 13 September 2024

বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রবাসীর চার লক্ষ টাকা নিয়েও অস্বীকার করার ঘটনায় ভুক্তভোগী হয়েছে আদালত দ্বারস্থ। ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে।

জানা যায় সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার দৌলতপাড়া গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম একই গ্রামের  ডালিম মিয়ার সাথে একই  এলাকায় থাকায় দুই পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিরাজমান ছিল।

এই সম্পর্কের কারণে গত ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি ডালিম মিয়ার স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৪) নিজের বাড়ি নির্মাণের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন বলে জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ৪ লক্ষ টাকা ধার নেয়। যা সে এক বছর পরে ফেরত দিবে বলে পাঁচ জন সাক্ষীর সামনে অঙ্গীকার করে।

কিন্তু দেখা যায় টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ে পার হয়ে গেলেও বিউটি বেগম টাকা ফেরত না দিয়ে নানা রকম তাল বাহানা করতে থাকে। বারবার তাকে নানাভাবে তাগাদা দিলেও সে টাকা ফেরত না দিয়ে দিবো দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ ও বারবার তারিখ দিতে থাকে।

এমতো অবস্থায় বিউটি বেগম আগামী দু মাসের মধ্যে জহিরুল ইসলামকে চার লক্ষ টাকা ফেরত দিব বলে গত ০৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১০০ টাকার তিনটি জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষীগণের সামনে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে।

কিন্তু দেখা যায় এবারও সময় পার হয়ে গেলেও বিউটি বেগমের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমতো অবস্থায় জহিরুল ইসলাম সাক্ষীদেরকে নিয়ে গত ২২ আগস্ট ২০২৪ সালে বিউটি বেগমের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিউটি বেগম জরুল ইসলামের কাছে থেকে কখনো কোনরূপ টাকা নেয়নি বলে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং উদ্ধত আচরণ প্রকাশ করে।

সরল বিশ্বাসী ও নিরুপায় জহিরুল ইসলাম তার পাওনা টাকা ফেরত নিতে এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাইল আমলি আদালতে পেনাল কোড ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং সিআর ৭১০/২৪, তারিখ ২৫/৮/২০২৪।

টাকা পাওনার বিষয়ে জানতে বিউটি বেগম বাড়ি গেলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে জানা যায় সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।