Dhaka 5:07 pm, Tuesday, 7 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ।

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:42:10 pm, Saturday, 10 September 2022
  • 268 Time View

‘সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই’, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। গত ৭সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সুস্থ-সবল একটা শিশু হাসপাতাল কর্মীদের ভুল চিকিৎসায় ৯ সেপ্টেম্বর আবার হারিয়ে গেলো মায়ের কোল খালি করে গহীন অন্ধকারে। এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির স্বজনরা জানান, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর ডাক্তার শারমিন হক দিপ্তি নবজাতককে দেখে বলেন সম্পূর্ন সুস্থ আছে। তখন বাচ্চাটি স্বাভাবিক নাড়াচড়া করছিল এবং মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিলো। গতকাল (৯সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা শিশু ডাক্তার মোঃ আক্তার হোসেন হাসপাতাল এ রাউন দেয়ার সময় বাচ্চাটিকে দেখে তিনি বলেছিলেন বাচ্চাটিকে এখানে রাখা যাবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ইনকিউবেটর এ রাখতে হবে। তখন আমরা বাচ্চাটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চাটি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। হাসপাতাল এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বাচ্চাটিকে হাসপাতালের হাতে হস্তান্তর করে। বাচ্চাটিকে তারা ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ঔষধ পুষিং করে ইনকিউবেটরে রাখে। তখন থেকে বাচ্চার নাড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে তাই নাড়াচরা করে না। ২ ঘন্টা পর বাচ্চার বাবার নিকট ফোন দিয়ে বলতেছে তার বাচ্চা মারা গেছে। পরে বাচ্ছাটি কিভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে একে একে সকলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় চলে যায়। তারা আরো বলেন, আমরা তখন ডাঃ আক্তার হোসেন এর কাছে গেলে তিনি স্বীকার করেন হাসাপাতাল কর্মীদের ভুলে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইতে গেলে তারা টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আমরা সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ।

Update Time : 01:42:10 pm, Saturday, 10 September 2022

‘সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই’, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। গত ৭সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সুস্থ-সবল একটা শিশু হাসপাতাল কর্মীদের ভুল চিকিৎসায় ৯ সেপ্টেম্বর আবার হারিয়ে গেলো মায়ের কোল খালি করে গহীন অন্ধকারে। এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির স্বজনরা জানান, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর ডাক্তার শারমিন হক দিপ্তি নবজাতককে দেখে বলেন সম্পূর্ন সুস্থ আছে। তখন বাচ্চাটি স্বাভাবিক নাড়াচড়া করছিল এবং মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিলো। গতকাল (৯সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা শিশু ডাক্তার মোঃ আক্তার হোসেন হাসপাতাল এ রাউন দেয়ার সময় বাচ্চাটিকে দেখে তিনি বলেছিলেন বাচ্চাটিকে এখানে রাখা যাবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ইনকিউবেটর এ রাখতে হবে। তখন আমরা বাচ্চাটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চাটি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। হাসপাতাল এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বাচ্চাটিকে হাসপাতালের হাতে হস্তান্তর করে। বাচ্চাটিকে তারা ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ঔষধ পুষিং করে ইনকিউবেটরে রাখে। তখন থেকে বাচ্চার নাড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে তাই নাড়াচরা করে না। ২ ঘন্টা পর বাচ্চার বাবার নিকট ফোন দিয়ে বলতেছে তার বাচ্চা মারা গেছে। পরে বাচ্ছাটি কিভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে একে একে সকলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় চলে যায়। তারা আরো বলেন, আমরা তখন ডাঃ আক্তার হোসেন এর কাছে গেলে তিনি স্বীকার করেন হাসাপাতাল কর্মীদের ভুলে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইতে গেলে তারা টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আমরা সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।