Dhaka 7:30 pm, Friday, 3 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

সাপু নিহতের ১৫ দিন পর ২ পুলিশ সহ ১৫ জনের বিরূদ্ধে স্ত্রীর হত্যা মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:45:41 pm, Friday, 13 May 2022
  • 142 Time View

সরাইলে পুলিশ হেফাজতে নজির আহমেদ সাফু (৪১) নিহতের ১৫ দিন পর গত ৮ মে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সাপুর স্ত্রী শিরীন সুলতানা রিমা (৩৪)। এ মামলায় সরাইল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম (সরাইল সদরের বিট অফিসার) ও এ এস আই সাইফুল ইসলামসহ মোট ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। গত ১১ মে বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন সুলতানা নিগার এক আদেশে জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমানকে এই মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাপুর বড় ভাই জাফর আহমেদ বাদী হয়ে সরাইল থানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত সাপুর প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যদিও তারা বলেছিলেন এই মামলায় কি লেখা হয়েছে তা দেখেননি। তাড়াহুড়া করে পুলিশ স্বাক্ষর দিতে বলেছেন। তাই স্বাক্ষর দিয়েছেন। আর পুলিশের বক্তব্য ছিল তারা বুঝে শুনে নিজেরা উপস্থিত থেকে মামলা লিখে জমা দিয়েছেন। সাপু উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের (মোল্লাবাড়ির) হাফেজ ওবায়দুল্লাহর ছেলে। রিমার মামলায় বলা হয়েছে, রিমার স্বামী সাপুর ক্রয়কৃত বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। স্থানীয় ভূমি দস্যু একটি সিন্ডিকেট (মামলার ৩-১৫ নং আসামীরা) জোর পূর্বক বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে আসছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা সরাইল থানার এস আই মো. সাইফুল ইসলাম (সরাইল সদরের বিট অফিসার) ও এ এস আই মো. সাইফুল ইসলামের সাথে অনৈতিক পন্থায় সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে শাহ সিরাজ উদ্দিনের ফার্ণিশার্সের দোকানের সামনে জুম্মানসহ ৮-১০ জন লোক সাপুকে বলে, তারা পাওয়ার পেয়েছে। বাড়ির দখল ছেড়ে দিতে হবে। দখল না ছাড়লে সাপুকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভূমি দস্যুরা সাপুর নিকট ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবী করে। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাপুর বাড়ির পাশে তারা মহড়া দিতে থাকে। জুম্মান সাপুর বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। আর বাড়ির দখল ছাড়তে হুমকি দিতে থাকে। তাদের বাক-বিতন্ডা চলাকালে অন্যরাও সরাইল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম ও এ এস আই সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাপুর বসত ঘরে প্রবেশ করে সাপুকে বেধরক মারধর করে। টেনে হিছড়ে তারা সাপুর ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় উল্লেখিত দুই পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই সাপুর প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে দিতে আবারও হুমকি দেয়। অস্বীকার করায় আবারও তারা সাপুকে মারধর করে। মারপিটের কারণে সাপুর চিৎকার অনেক পথচারী শুনেছেন। অনেকে সাপুকে দেখতে চাইলে থানার প্রধান ফটকেই তাদেরকে আটকে দেয়। আসামীদের মারপিটে গুরূতর আহত সাপুকে থানায় নেওয়ার পর অজ্ঞান ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রূত হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপুকে মৃত ঘোষণা করেন। সাপুর লাশ গ্রহন করে গোসল করানোর সময় দেখা যায়, বুকের বাম পাশে নীচে ফুলা। দুই হাতের তালুতে কালচে দাগ। এ ছাড়াও দেহের বিভিন্ন স্থানে ফুলা লালচে দাগ। সাপুর মৃত্যুর পর তার বড় ভাই জাফর আহমেদকে থানায় ডেকে নেন পুলিশ। জাফরকে বসিয়ে রেখে তড়িঘড়ি করে একজন পুলিশ দ্বারা একটি কম্পোজ ও প্রিন্ট করেন। জাফরকে পড়িতে, বুঝিতে না দিয়ে সহোদর ভাই মৃত্যুর আকস্মিকতা প্রচন্ড মনোকষ্টে হতবিহবল ও কিংকর্তব্য বিমূঢ় থাকাকালে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবিত করে ওই কাগজে স্বাক্ষর করান। তড়িঘড়ি করে উক্ত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে প্রকৃত সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেছেন, মামলার বাদী করার জন্য সাপুকে থানায় আনা হয়েছিল। পুলিশ হেফাজতে নয়। প্রতিপক্ষের দ্বারা মানসিক নির্যাতনের কারণে সাপু ষ্ট্রোক করেছেন। এরপর রয়েছে ময়না তদন্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারি পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, পুলিশের কি দায় পড়েছে যে উনাদেরকে দিয়ে মামলা করাবে। তারা শিক্ষিত ও ভদ্র লোক। তারা বুঝে শুনে নিজেরাই মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত: গত ৩/৪ বছর আগে সাপু তাদের বাড়ির পাশেই এক স্বজনের পাকা ভবনসহ বসতবাড়ির জায়গা ক্রয় করেন। সম্প্রতি ওই জায়গা নিয়ে তার গোত্রের মোসাহেদ উল্লাহর সাথে বিরোধ হয়। তৈরী হয় পক্ষ বিপক্ষ। গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে জুম্মান সাপুর বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে। সাপুর সাথে জুম্মানের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ এসে জুম্মান ও সাপুকে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে দ্রূত হাসপাতালের নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাপু মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। একটি আদালতে অপরটি থানায়।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

সাপু নিহতের ১৫ দিন পর ২ পুলিশ সহ ১৫ জনের বিরূদ্ধে স্ত্রীর হত্যা মামলা

Update Time : 12:45:41 pm, Friday, 13 May 2022

সরাইলে পুলিশ হেফাজতে নজির আহমেদ সাফু (৪১) নিহতের ১৫ দিন পর গত ৮ মে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সাপুর স্ত্রী শিরীন সুলতানা রিমা (৩৪)। এ মামলায় সরাইল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম (সরাইল সদরের বিট অফিসার) ও এ এস আই সাইফুল ইসলামসহ মোট ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। গত ১১ মে বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন সুলতানা নিগার এক আদেশে জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমানকে এই মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাপুর বড় ভাই জাফর আহমেদ বাদী হয়ে সরাইল থানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত সাপুর প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যদিও তারা বলেছিলেন এই মামলায় কি লেখা হয়েছে তা দেখেননি। তাড়াহুড়া করে পুলিশ স্বাক্ষর দিতে বলেছেন। তাই স্বাক্ষর দিয়েছেন। আর পুলিশের বক্তব্য ছিল তারা বুঝে শুনে নিজেরা উপস্থিত থেকে মামলা লিখে জমা দিয়েছেন। সাপু উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের (মোল্লাবাড়ির) হাফেজ ওবায়দুল্লাহর ছেলে। রিমার মামলায় বলা হয়েছে, রিমার স্বামী সাপুর ক্রয়কৃত বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। স্থানীয় ভূমি দস্যু একটি সিন্ডিকেট (মামলার ৩-১৫ নং আসামীরা) জোর পূর্বক বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে আসছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা সরাইল থানার এস আই মো. সাইফুল ইসলাম (সরাইল সদরের বিট অফিসার) ও এ এস আই মো. সাইফুল ইসলামের সাথে অনৈতিক পন্থায় সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে শাহ সিরাজ উদ্দিনের ফার্ণিশার্সের দোকানের সামনে জুম্মানসহ ৮-১০ জন লোক সাপুকে বলে, তারা পাওয়ার পেয়েছে। বাড়ির দখল ছেড়ে দিতে হবে। দখল না ছাড়লে সাপুকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভূমি দস্যুরা সাপুর নিকট ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবী করে। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাপুর বাড়ির পাশে তারা মহড়া দিতে থাকে। জুম্মান সাপুর বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। আর বাড়ির দখল ছাড়তে হুমকি দিতে থাকে। তাদের বাক-বিতন্ডা চলাকালে অন্যরাও সরাইল থানার এস আই সাইফুল ইসলাম ও এ এস আই সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাপুর বসত ঘরে প্রবেশ করে সাপুকে বেধরক মারধর করে। টেনে হিছড়ে তারা সাপুর ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় উল্লেখিত দুই পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই সাপুর প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে দিতে আবারও হুমকি দেয়। অস্বীকার করায় আবারও তারা সাপুকে মারধর করে। মারপিটের কারণে সাপুর চিৎকার অনেক পথচারী শুনেছেন। অনেকে সাপুকে দেখতে চাইলে থানার প্রধান ফটকেই তাদেরকে আটকে দেয়। আসামীদের মারপিটে গুরূতর আহত সাপুকে থানায় নেওয়ার পর অজ্ঞান ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রূত হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপুকে মৃত ঘোষণা করেন। সাপুর লাশ গ্রহন করে গোসল করানোর সময় দেখা যায়, বুকের বাম পাশে নীচে ফুলা। দুই হাতের তালুতে কালচে দাগ। এ ছাড়াও দেহের বিভিন্ন স্থানে ফুলা লালচে দাগ। সাপুর মৃত্যুর পর তার বড় ভাই জাফর আহমেদকে থানায় ডেকে নেন পুলিশ। জাফরকে বসিয়ে রেখে তড়িঘড়ি করে একজন পুলিশ দ্বারা একটি কম্পোজ ও প্রিন্ট করেন। জাফরকে পড়িতে, বুঝিতে না দিয়ে সহোদর ভাই মৃত্যুর আকস্মিকতা প্রচন্ড মনোকষ্টে হতবিহবল ও কিংকর্তব্য বিমূঢ় থাকাকালে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবিত করে ওই কাগজে স্বাক্ষর করান। তড়িঘড়ি করে উক্ত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে প্রকৃত সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেছেন, মামলার বাদী করার জন্য সাপুকে থানায় আনা হয়েছিল। পুলিশ হেফাজতে নয়। প্রতিপক্ষের দ্বারা মানসিক নির্যাতনের কারণে সাপু ষ্ট্রোক করেছেন। এরপর রয়েছে ময়না তদন্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারি পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, পুলিশের কি দায় পড়েছে যে উনাদেরকে দিয়ে মামলা করাবে। তারা শিক্ষিত ও ভদ্র লোক। তারা বুঝে শুনে নিজেরাই মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত: গত ৩/৪ বছর আগে সাপু তাদের বাড়ির পাশেই এক স্বজনের পাকা ভবনসহ বসতবাড়ির জায়গা ক্রয় করেন। সম্প্রতি ওই জায়গা নিয়ে তার গোত্রের মোসাহেদ উল্লাহর সাথে বিরোধ হয়। তৈরী হয় পক্ষ বিপক্ষ। গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে জুম্মান সাপুর বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে। সাপুর সাথে জুম্মানের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ এসে জুম্মান ও সাপুকে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে দ্রূত হাসপাতালের নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাপু মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। একটি আদালতে অপরটি থানায়।

মাহবুব খান বাবুল