Dhaka ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

সরাইলে আইন-শৃঙ্খলা সভার পাশেই বিশৃঙ্খলা আ’লীগ নেতার বিরূদ্ধে জিডি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২৫ Time View

সরাইলে আইন-শৃঙ্খলা সভার পাশেই বিশৃঙ্খলা আ’লীগ নেতার বিরূদ্ধে জিডি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভার পাশে নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের সামনে হঠাৎ মানুষের বিশৃঙ্খলা চিৎকার চেঁচামেচি। অরূয়াইল ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম সোহেল নামের এক আহত যুবককে নিয়ে সভায় হাজির। সভা ছেড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউএনও ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। শফিকুল ও সোহেলের অভিযোগের তীর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও তাঁর দুই ভাই আইয়ুব আর বাশারফের দিকে। জায়গার নাম খারিজের শুনাননি শেষে তারা সোহেলকে মারধর করে। চেয়ারম্যান মোশাররফ বলেন, আ’লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও সোহেল উপজেলা পরিষদ চত্বরে আমাকে দেখেই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এক শফিকুল আমাকে অরূয়াইল বাজারে খুন করার হুমকি দেয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় জিডি করেছি। গত সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের সামনে অরূয়াইলের কিছু লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, জিডি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অরূয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সাথে তাঁর চাচাত ভাই সোহেলের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। সোহেলের একটি আবেদনের শুনানি চলছিল সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে। শুনানির শেষের দিকে রৌফ মিয়া ও আইয়ুব হোসেনরা সোহেলকে বেধরক মারধর করে। সোহেলের পক্ষের উকিল শফিকুল ইসলাম আহত সোহেলকে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় হাজির হয়ে ইউএনও ওসি’র কাছে বিচার প্রার্থী হন। এ সময় সভার পাশে বড় ধরণের হট্রগোল হচ্ছিল। বাহিরে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে দেখে শফিকুল সোহেলের পক্ষে বিচার চান। এ সময় উভয় পক্ষ আবারও উত্তেজিত হয়ে মারধর করার প্রস্তুতি নেন। তাদের শোর চিৎকার শুনে সভা থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি। তারা পরিস্থিতি সামাল দেন। আ’লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করেন। মোশাররফ লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেছে আর আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। তারা প্রয়াত কুতুব উদ্দিনের একমাত্র ছেলে সোহেলকে হত্যা করে পথ পরিস্কার করতে চাই। এই জন্য চেয়ারম্যানসহ তারা তিন ভাই আর রৌফ নামের এক সন্ত্রাসী মিলে অযথা সোহেলকে মারধর করে আহত করেছে। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক।

সোহেল আমার চাচাত ভাই। আমরা পারিবারিক ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করব। আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে শফিকুল সোহেলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি সভা থেকে প্রস্রাব করতে বের হয়েছিলাম। শফিক আমাকে দেখেই গালাগালি শুরূ করে। কারণ জিজ্ঞেস করলে আমাকে অরূয়াইল বাজারে খুন করার হুমকি দিয়েছে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি জিডি করেছি। আহত সোহেল জানায়, এড. শফিকুল ইসলামসহ আমার পক্ষে উকিল ছিল দুইজন। শুনানি শেষে রায় আমার পক্ষে আসতে পারে বুঝে আইয়ুব বাশারফরা ৪/৫ জন মিলে অফিসের সামনেই আমার উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে গুরূতর আহত করে। তারা আমাকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অরূয়াইলে পুলিশ অবস্থান করেছে। এখনো পুলিশের নজরদারী আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com

সরাইলে আইন-শৃঙ্খলা সভার পাশেই বিশৃঙ্খলা আ’লীগ নেতার বিরূদ্ধে জিডি

Update Time : ০৯:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভার পাশে নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের সামনে হঠাৎ মানুষের বিশৃঙ্খলা চিৎকার চেঁচামেচি। অরূয়াইল ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম সোহেল নামের এক আহত যুবককে নিয়ে সভায় হাজির। সভা ছেড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউএনও ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। শফিকুল ও সোহেলের অভিযোগের তীর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও তাঁর দুই ভাই আইয়ুব আর বাশারফের দিকে। জায়গার নাম খারিজের শুনাননি শেষে তারা সোহেলকে মারধর করে। চেয়ারম্যান মোশাররফ বলেন, আ’লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও সোহেল উপজেলা পরিষদ চত্বরে আমাকে দেখেই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এক শফিকুল আমাকে অরূয়াইল বাজারে খুন করার হুমকি দেয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় জিডি করেছি। গত সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরের সামনে অরূয়াইলের কিছু লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, জিডি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অরূয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সাথে তাঁর চাচাত ভাই সোহেলের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। সোহেলের একটি আবেদনের শুনানি চলছিল সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে। শুনানির শেষের দিকে রৌফ মিয়া ও আইয়ুব হোসেনরা সোহেলকে বেধরক মারধর করে। সোহেলের পক্ষের উকিল শফিকুল ইসলাম আহত সোহেলকে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় হাজির হয়ে ইউএনও ওসি’র কাছে বিচার প্রার্থী হন। এ সময় সভার পাশে বড় ধরণের হট্রগোল হচ্ছিল। বাহিরে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে দেখে শফিকুল সোহেলের পক্ষে বিচার চান। এ সময় উভয় পক্ষ আবারও উত্তেজিত হয়ে মারধর করার প্রস্তুতি নেন। তাদের শোর চিৎকার শুনে সভা থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি। তারা পরিস্থিতি সামাল দেন। আ’লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করেন। মোশাররফ লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেছে আর আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। তারা প্রয়াত কুতুব উদ্দিনের একমাত্র ছেলে সোহেলকে হত্যা করে পথ পরিস্কার করতে চাই। এই জন্য চেয়ারম্যানসহ তারা তিন ভাই আর রৌফ নামের এক সন্ত্রাসী মিলে অযথা সোহেলকে মারধর করে আহত করেছে। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক।

সোহেল আমার চাচাত ভাই। আমরা পারিবারিক ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করব। আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে শফিকুল সোহেলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি সভা থেকে প্রস্রাব করতে বের হয়েছিলাম। শফিক আমাকে দেখেই গালাগালি শুরূ করে। কারণ জিজ্ঞেস করলে আমাকে অরূয়াইল বাজারে খুন করার হুমকি দিয়েছে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি জিডি করেছি। আহত সোহেল জানায়, এড. শফিকুল ইসলামসহ আমার পক্ষে উকিল ছিল দুইজন। শুনানি শেষে রায় আমার পক্ষে আসতে পারে বুঝে আইয়ুব বাশারফরা ৪/৫ জন মিলে অফিসের সামনেই আমার উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে গুরূতর আহত করে। তারা আমাকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। আমি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অরূয়াইলে পুলিশ অবস্থান করেছে। এখনো পুলিশের নজরদারী আছে।