Dhaka 10:18 pm, Tuesday, 30 April 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:38:37 pm, Monday, 1 April 2024
  • 49 Time View

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশে ডাকাতি প্রতিরোধে মাঠে নেমেছেন ইউএনও, সার্কেল এসপি ও ওসি। আজ সোমবার দুপুরে তারা রাতে ডাকাত দলের আশ্রয়স্থল সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন। ফলে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছেন সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে এই অভিযান চলবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড়েই ঘাপটি মেরে বসে থাকে ডাকাতদল। সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোতে ডাকাতি করে। গত রোববার রাতে সড়কের পাশের ঝোঁপঝাঁড় থেকে বেরিয়ে ডাকাতদল সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে যাত্রীবাহী আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোঁপঝাঁড় দিয়েই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। তাই ডাকাতি প্রতিরোধ, চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ দুপুরে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযানে নামেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো.রাকিবুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। থানা ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আজ ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরূ করেছেন। আগামীকাল থেকে আরো অধিক শ্রমিক কাজ করবে। সরাইলের শেষ সীমানা পর্যন্ত সকল ঝোঁপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিচ্ছন্ন করা হবে। সূত্র জানায়, এক সময় সড়কটির সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার এই অংশ ছিল ডাকাত দলের অভয়ারণ্য। মাগরিবের পর সড়কটি থাকত ডাকাতদের দখলে। সন্ধ্যার পর পথচারী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলত না। পুলিশ প্রশাসনের ক্রস ফায়ারে একে একে এই সড়কে ডাকাত দলের ৬ নেতা মারা যায়। ফলে গত ৫-৬ বছর ধরে সড়কটি একেবারে নিরাপদ হয়ে যায়। সারারাত যাত্রীবাহী গাড়ি নির্বিঘ্নে চলছিল। অতিসম্প্রতি সড়কের এই অংশে আবারও ডাকাত দলের আনাগোনা শুরূ হয়েছে। ২-১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছেও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

Update Time : 05:38:37 pm, Monday, 1 April 2024

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশে ডাকাতি প্রতিরোধে মাঠে নেমেছেন ইউএনও, সার্কেল এসপি ও ওসি। আজ সোমবার দুপুরে তারা রাতে ডাকাত দলের আশ্রয়স্থল সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন। ফলে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছেন সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে এই অভিযান চলবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড়েই ঘাপটি মেরে বসে থাকে ডাকাতদল। সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোতে ডাকাতি করে। গত রোববার রাতে সড়কের পাশের ঝোঁপঝাঁড় থেকে বেরিয়ে ডাকাতদল সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে যাত্রীবাহী আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোঁপঝাঁড় দিয়েই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। তাই ডাকাতি প্রতিরোধ, চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ দুপুরে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযানে নামেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো.রাকিবুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। থানা ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আজ ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরূ করেছেন। আগামীকাল থেকে আরো অধিক শ্রমিক কাজ করবে। সরাইলের শেষ সীমানা পর্যন্ত সকল ঝোঁপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিচ্ছন্ন করা হবে। সূত্র জানায়, এক সময় সড়কটির সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার এই অংশ ছিল ডাকাত দলের অভয়ারণ্য। মাগরিবের পর সড়কটি থাকত ডাকাতদের দখলে। সন্ধ্যার পর পথচারী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলত না। পুলিশ প্রশাসনের ক্রস ফায়ারে একে একে এই সড়কে ডাকাত দলের ৬ নেতা মারা যায়। ফলে গত ৫-৬ বছর ধরে সড়কটি একেবারে নিরাপদ হয়ে যায়। সারারাত যাত্রীবাহী গাড়ি নির্বিঘ্নে চলছিল। অতিসম্প্রতি সড়কের এই অংশে আবারও ডাকাত দলের আনাগোনা শুরূ হয়েছে। ২-১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছেও।