গভীর রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সরাইলের একাংশ। ক্ষতি হয়েছে মাঠের ইরি বোরো ধানের। বাড়িঘরের ও সড়কের পাশের গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে অনেকের বসতঘর চুরমার হয়ে গেছে। আহত হয়েছেন অনেক নারী পুরূষ। গত রোববার দিবাগত রাত ৩ টায় সরাইলে শুরূ হয় ঝড়ের তান্ডব। ১০ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অরূয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায়। অন্যান্য ইউনিয়নেও কিছু গাছপালা ভেঙ্গে ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক ক্যাবল ছিড়ে ওইসব জায়গায় রাত থেকেই ছিল না বিদ্যুৎ। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না অনেক জায়গায়। সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ৩টা। হঠাৎ আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই প্রবল বেগে শুরূ হয় ঝড়। সাথে শিলাবৃষ্টি। মূহুর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় লোকজন নিজেদের ঘর ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। বাদে অরূয়াইল গ্রামের নুর মাহমুদের বাড়ির পাশের আখড়ার একটি বিশাল আকৃতির গাছ ভেঙ্গে পড়ে তিনটি বসতঘর ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাণীদিয়ার মাদরাসার টিনশেড ঘরের চালা উড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে পড়েছে। এতে ওই বাড়ির ঘরের ক্ষতি হয়েছে। দুবাজাইল গ্রামের বাসিন্ধা ইটালি প্রবাসী আনিছুর রহমানের বিল্ডিং-এর সিড়ির কক্ষের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এসব তান্ডবে ১০-১৫ জন নারী পুরূষ আহত হয়েছেন। ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টির কারণে ইরি বোরো ধান ও ভুট্রা গাছ গুলো শুয়ে পড়েছে। গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে মরিচ গুলো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন বলেন, ঝড়ে নুয়ে পড়া পাকা ধান গুলোর তেমন ক্ষতি হবে না। তবে শিলাবৃষ্টিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করছি। কৃষকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে কৃষি সম্প্রসারণ-এর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজকুমারশীল বলেন, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান উনার এলাকায় ঝড়ে কিছু বাড়িঘরের ক্ষতির বিষয়ে জানিয়েছেন। আগামীকাল (আজ) রিপোর্ট দিবেন। অন্য কোন ইউপি চেয়ারম্যান নিজ এলাকার ক্ষতির বিষয় জানাননি।
মাহবুব খান বাবুল