ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরাইলে মাথার হাড় বিহীন বিকৃতি আকৃতির শিশু জন্মের ২০ ঘন্টা পর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাথার হাড় বিহীন বিকৃতি আকৃতির এক মেয়ে শিশু জন্ম গ্রহন করে। প্রথমে স্বজনরা শিশুটির মাথায় লালচে রং এর মাংস ও চোখ দুটি দেখে ভয় পেয়ে যায়। মানবকোলে জন্ম নেয়া শিশুটি আকৃতি পিতা মাতাসহ সকলকে ভাবিয়ে তুলে। প্রকৃতিগত ভাবে স্বাভাবিক মানব শিশুর মত না হওয়ায় আশপাশের লোকজন ওই শিশুটিকে একনজর দেখার জন্য ভীড় করতে থাকেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর পূর্ব পাড়ার মারফত আলীর (৪৬) স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৬) এ শিশুটি জন্ম দেন। জন্মের প্রায় ২০ ঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়। শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, এ শিশুটি ছাড়াই মারফত আলী ৫ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। এটি তাদের নবম সন্তান। আগের ৮ সন্তানই জন্ম গ্রহন করেছে গ্রাম্য ধাত্রীর মাধ্যমে। নবম সন্তান পেটে এসেছে ৭ মাস আগে। এরই মধ্যে গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে ধাত্রীর সহায়তায় অপারেশন ছাড়াই শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পর কন্যা শিশুটির মাথা, চোখ ও গঠন আকৃতি দেখে হতবিহবল হয়ে পড়েন স্বজনরা। অনেকে ভয়ও পেয়ে যান। মাথার ঠোলে হাড় নেই। লালচে মাংশ ঝুলছে। মাথার মাঝের জায়গাটি ছিদ্র। চোখের আকৃতি বড়। কপালের নীচ থেকে চোখ দুটি অনেক উপরে ওঠে আছে। মুখ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে চোখ দুটি। দেখতে মানুষের বাচ্চার মত মনে হয় না। বাচ্চাটির দিকে তাকালেই ভয় করে। বিকৃতি আকৃতির এমন চিত্র দেখে সকলেই ভয় পেয়ে যায়। ভয়ানক আকৃতির একটি শিশুর জন্মের খবর শুনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে লোকজন ওই বাড়িতে ভীড় জমায়। যারা দেখেছে তারা আশ্চর্য্যই হয়েছে। শিশুটিকে ঘিরে আশপাশের লোকজনের কৌতহলের শেষ ছিল না। অবশেষে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে শিশুটি মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। মা মনোয়ারা বেগম সুস্থ্য আছেন। শিশুটির আপন ফুফু আমিরূন নেছা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আসলে আগে কখনো এমন অস্বাভাবিক আকৃতির শিশু দেখিনি। প্রথমে ভেবেছিলাম মানব শিশু নাকি অন্য কিছু? মাতৃ গর্ভে বাচ্চাটির বয়স মাত্র ৭ মাস। এরমধ্যেই প্রসব হয়ে গেছে।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে মাথার হাড় বিহীন বিকৃতি আকৃতির শিশু জন্মের ২০ ঘন্টা পর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাথার হাড় বিহীন বিকৃতি আকৃতির এক মেয়ে শিশু জন্ম গ্রহন করে। প্রথমে স্বজনরা শিশুটির মাথায় লালচে রং এর মাংস ও চোখ দুটি দেখে ভয় পেয়ে যায়। মানবকোলে জন্ম নেয়া শিশুটি আকৃতি পিতা মাতাসহ সকলকে ভাবিয়ে তুলে। প্রকৃতিগত ভাবে স্বাভাবিক মানব শিশুর মত না হওয়ায় আশপাশের লোকজন ওই শিশুটিকে একনজর দেখার জন্য ভীড় করতে থাকেন। গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর পূর্ব পাড়ার মারফত আলীর (৪৬) স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৬) এ শিশুটি জন্ম দেন। জন্মের প্রায় ২০ ঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়। শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, এ শিশুটি ছাড়াই মারফত আলী ৫ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। এটি তাদের নবম সন্তান। আগের ৮ সন্তানই জন্ম গ্রহন করেছে গ্রাম্য ধাত্রীর মাধ্যমে। নবম সন্তান পেটে এসেছে ৭ মাস আগে। এরই মধ্যে গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে ধাত্রীর সহায়তায় অপারেশন ছাড়াই শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পর কন্যা শিশুটির মাথা, চোখ ও গঠন আকৃতি দেখে হতবিহবল হয়ে পড়েন স্বজনরা। অনেকে ভয়ও পেয়ে যান। মাথার ঠোলে হাড় নেই। লালচে মাংশ ঝুলছে। মাথার মাঝের জায়গাটি ছিদ্র। চোখের আকৃতি বড়। কপালের নীচ থেকে চোখ দুটি অনেক উপরে ওঠে আছে। মুখ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে চোখ দুটি। দেখতে মানুষের বাচ্চার মত মনে হয় না। বাচ্চাটির দিকে তাকালেই ভয় করে। বিকৃতি আকৃতির এমন চিত্র দেখে সকলেই ভয় পেয়ে যায়। ভয়ানক আকৃতির একটি শিশুর জন্মের খবর শুনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে লোকজন ওই বাড়িতে ভীড় জমায়। যারা দেখেছে তারা আশ্চর্য্যই হয়েছে। শিশুটিকে ঘিরে আশপাশের লোকজনের কৌতহলের শেষ ছিল না। অবশেষে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে শিশুটি মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। মা মনোয়ারা বেগম সুস্থ্য আছেন। শিশুটির আপন ফুফু আমিরূন নেছা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আসলে আগে কখনো এমন অস্বাভাবিক আকৃতির শিশু দেখিনি। প্রথমে ভেবেছিলাম মানব শিশু নাকি অন্য কিছু? মাতৃ গর্ভে বাচ্চাটির বয়স মাত্র ৭ মাস। এরমধ্যেই প্রসব হয়ে গেছে।

মাহবুব খান বাবুল