Dhaka ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

সকাল সাড়ে ১১টায় সরাইল হিসাবরক্ষণ অফিস ফাঁকা কর্মকর্তার দরজাও বন্ধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • ১৬৭ Time View

সরকারি প্রজ্ঞাপনে অফিস সময় সকাল ৯টা। এই প্রজ্ঞাপন মানছেন না সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার-এর কার্যালয়। নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পরও অফিস কক্ষ একেবারে ফাঁকা। আর অফিসারের কক্ষের দরজা বাহিরে হাতল বা হ্যান্ডেল দিয়ে আটকানো। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও অডিটর আব্দুল হান্নানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। লোকজন আসছেন। জনমানব শুন্য অফিস কক্ষ দেখে নিরাশ হয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেকে কাছাকাছি এলাকায় ঘুরছেন। এই দফতরের বিরূদ্ধে রয়েছে ইচ্ছে করে বিভিন্ন বিল পাশে কালক্ষেপণের অভিযোগ। আজ বুধবার সকালে ওই দফতরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সরজমিনে দেখা যায়, সরাইল সদরের সকাল বাজার এলাকায় টুইন কোয়াটারের সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার-এর অস্থায়ী কার্যালয়। নীচতলায় বসেন অডিটর আব্দুল হান্নান সহ আরেকজন। আর দ্বিতীয়তলায় বসেন অফিসার ওয়াহিদুর রহমান। ১৫ জুন বুধবার ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে ১১টা। জনমানব শুন্য ওই কক্ষ। জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব। ঘুরছে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানও। খাঁ খাঁ করছে চেয়ার দুটি। নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পরও কেউ অফিসে আসেননি। বিশ্বাস হচ্ছিল না। এদিক ওদিক তাকাতেই সামনে পড়ে অফিস সহায়ক দেলোয়ার। বিষয়টি জানা ছিল দেলোয়ারের। কিছু বলার আগেই দেলোয়ার ৪ দিন আগে জমা দেওয়া বিলটি ‘পাশকৃত’ নথির স’পে খুঁজতে থাকেন। দুই টেবিলে খুঁজে পাননি। শেষমেষ একটি রেজিষ্ট্রারের ভেতরে পান বিলটি। হাতে নিয়ে বিব্রত দেলোয়ার। হতকচিত চোখে চেয়ে থাকেন সুবিধা ভোগীর দিকে। কিছুক্ষণ পর আস্তে করে বলেন, ভাই আপনার বিলটি পাশ হয়নি। আধা ঘন্টা পরে আসেন। তখনো ফাঁকা পুরো অফিস। এরমধ্যে অনেকেই আসছেন। ফাঁকা অফিস দেখে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ জানতে চাচ্ছেন স্যাররা কখন আসবেন? অডিটর আব্দুল হান্নানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। বিষয়টির সুরাহা জানতে ১১টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয়তলায় অবস্থানরত অফিসার ওয়াহিদ রহমানের সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা গ্রাহকের। কয়েকটি সিঁড়ি ওঠার পরই দেখা যায় দরজার বাহিরের দিক হাতুলে বা হ্যান্ডেলে আটকানো। হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন গ্রাহক। এর আগে গত ১৩ জুন সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি বিল পাশের জন্য জমা দিয়েছিলেন গ্রাহক। আধা ঘন্টা পর অডিটর আব্দুল হান্নান জানালেন আজ হবে না। আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ জুন মঙ্গলবারে যেতে বললেন। গ্রাহক চলে গেল। ওই গ্রাহক গতকাল ১৫ জুন গিয়েও দেখেন অফিসে কেউ নেই। তার বিলটিও পাশ হয়নি। আক্ষেপ করে বললেন, ডিজিটাইলেজেশনের যুগে এ কেমন সেবা? সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার (চ:দা:) ওয়াহিদুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মানুসারে অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। আসলে পত্রিকার বিজ্ঞাপনের বিল পাশে আগের নিয়ম নেই। বর্তমানে আমুল পরিবর্তন এসেছে। কাজের প্রয়োজনে আমরা অনেক সময় ২-৩ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় কাজ করে থাকি। সেইটা কিন’ কাউন্ট হয় না।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সকাল সাড়ে ১১টায় সরাইল হিসাবরক্ষণ অফিস ফাঁকা কর্মকর্তার দরজাও বন্ধ

Update Time : ০৮:০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

সরকারি প্রজ্ঞাপনে অফিস সময় সকাল ৯টা। এই প্রজ্ঞাপন মানছেন না সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার-এর কার্যালয়। নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পরও অফিস কক্ষ একেবারে ফাঁকা। আর অফিসারের কক্ষের দরজা বাহিরে হাতল বা হ্যান্ডেল দিয়ে আটকানো। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও অডিটর আব্দুল হান্নানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। লোকজন আসছেন। জনমানব শুন্য অফিস কক্ষ দেখে নিরাশ হয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেকে কাছাকাছি এলাকায় ঘুরছেন। এই দফতরের বিরূদ্ধে রয়েছে ইচ্ছে করে বিভিন্ন বিল পাশে কালক্ষেপণের অভিযোগ। আজ বুধবার সকালে ওই দফতরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সরজমিনে দেখা যায়, সরাইল সদরের সকাল বাজার এলাকায় টুইন কোয়াটারের সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার-এর অস্থায়ী কার্যালয়। নীচতলায় বসেন অডিটর আব্দুল হান্নান সহ আরেকজন। আর দ্বিতীয়তলায় বসেন অফিসার ওয়াহিদুর রহমান। ১৫ জুন বুধবার ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে ১১টা। জনমানব শুন্য ওই কক্ষ। জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব। ঘুরছে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানও। খাঁ খাঁ করছে চেয়ার দুটি। নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পরও কেউ অফিসে আসেননি। বিশ্বাস হচ্ছিল না। এদিক ওদিক তাকাতেই সামনে পড়ে অফিস সহায়ক দেলোয়ার। বিষয়টি জানা ছিল দেলোয়ারের। কিছু বলার আগেই দেলোয়ার ৪ দিন আগে জমা দেওয়া বিলটি ‘পাশকৃত’ নথির স’পে খুঁজতে থাকেন। দুই টেবিলে খুঁজে পাননি। শেষমেষ একটি রেজিষ্ট্রারের ভেতরে পান বিলটি। হাতে নিয়ে বিব্রত দেলোয়ার। হতকচিত চোখে চেয়ে থাকেন সুবিধা ভোগীর দিকে। কিছুক্ষণ পর আস্তে করে বলেন, ভাই আপনার বিলটি পাশ হয়নি। আধা ঘন্টা পরে আসেন। তখনো ফাঁকা পুরো অফিস। এরমধ্যে অনেকেই আসছেন। ফাঁকা অফিস দেখে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ জানতে চাচ্ছেন স্যাররা কখন আসবেন? অডিটর আব্দুল হান্নানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। বিষয়টির সুরাহা জানতে ১১টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয়তলায় অবস্থানরত অফিসার ওয়াহিদ রহমানের সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা গ্রাহকের। কয়েকটি সিঁড়ি ওঠার পরই দেখা যায় দরজার বাহিরের দিক হাতুলে বা হ্যান্ডেলে আটকানো। হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন গ্রাহক। এর আগে গত ১৩ জুন সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি বিল পাশের জন্য জমা দিয়েছিলেন গ্রাহক। আধা ঘন্টা পর অডিটর আব্দুল হান্নান জানালেন আজ হবে না। আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ জুন মঙ্গলবারে যেতে বললেন। গ্রাহক চলে গেল। ওই গ্রাহক গতকাল ১৫ জুন গিয়েও দেখেন অফিসে কেউ নেই। তার বিলটিও পাশ হয়নি। আক্ষেপ করে বললেন, ডিজিটাইলেজেশনের যুগে এ কেমন সেবা? সরাইল উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার (চ:দা:) ওয়াহিদুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মানুসারে অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। আসলে পত্রিকার বিজ্ঞাপনের বিল পাশে আগের নিয়ম নেই। বর্তমানে আমুল পরিবর্তন এসেছে। কাজের প্রয়োজনে আমরা অনেক সময় ২-৩ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় কাজ করে থাকি। সেইটা কিন’ কাউন্ট হয় না।

মাহবুব খান বাবুল