ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই’, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। গত ৭সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সুস্থ-সবল একটা শিশু হাসপাতাল কর্মীদের ভুল চিকিৎসায় ৯ সেপ্টেম্বর আবার হারিয়ে গেলো মায়ের কোল খালি করে গহীন অন্ধকারে। এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির স্বজনরা জানান, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর ডাক্তার শারমিন হক দিপ্তি নবজাতককে দেখে বলেন সম্পূর্ন সুস্থ আছে। তখন বাচ্চাটি স্বাভাবিক নাড়াচড়া করছিল এবং মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিলো। গতকাল (৯সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা শিশু ডাক্তার মোঃ আক্তার হোসেন হাসপাতাল এ রাউন দেয়ার সময় বাচ্চাটিকে দেখে তিনি বলেছিলেন বাচ্চাটিকে এখানে রাখা যাবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ইনকিউবেটর এ রাখতে হবে। তখন আমরা বাচ্চাটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চাটি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। হাসপাতাল এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বাচ্চাটিকে হাসপাতালের হাতে হস্তান্তর করে। বাচ্চাটিকে তারা ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ঔষধ পুষিং করে ইনকিউবেটরে রাখে। তখন থেকে বাচ্চার নাড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে তাই নাড়াচরা করে না। ২ ঘন্টা পর বাচ্চার বাবার নিকট ফোন দিয়ে বলতেছে তার বাচ্চা মারা গেছে। পরে বাচ্ছাটি কিভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে একে একে সকলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় চলে যায়। তারা আরো বলেন, আমরা তখন ডাঃ আক্তার হোসেন এর কাছে গেলে তিনি স্বীকার করেন হাসাপাতাল কর্মীদের ভুলে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইতে গেলে তারা টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আমরা সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ।

আপডেট সময় : ০১:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই’, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। গত ৭সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সুস্থ-সবল একটা শিশু হাসপাতাল কর্মীদের ভুল চিকিৎসায় ৯ সেপ্টেম্বর আবার হারিয়ে গেলো মায়ের কোল খালি করে গহীন অন্ধকারে। এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির স্বজনরা জানান, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর ডাক্তার শারমিন হক দিপ্তি নবজাতককে দেখে বলেন সম্পূর্ন সুস্থ আছে। তখন বাচ্চাটি স্বাভাবিক নাড়াচড়া করছিল এবং মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিলো। গতকাল (৯সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা শিশু ডাক্তার মোঃ আক্তার হোসেন হাসপাতাল এ রাউন দেয়ার সময় বাচ্চাটিকে দেখে তিনি বলেছিলেন বাচ্চাটিকে এখানে রাখা যাবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ইনকিউবেটর এ রাখতে হবে। তখন আমরা বাচ্চাটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চাটি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। হাসপাতাল এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বাচ্চাটিকে হাসপাতালের হাতে হস্তান্তর করে। বাচ্চাটিকে তারা ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ঔষধ পুষিং করে ইনকিউবেটরে রাখে। তখন থেকে বাচ্চার নাড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে তাই নাড়াচরা করে না। ২ ঘন্টা পর বাচ্চার বাবার নিকট ফোন দিয়ে বলতেছে তার বাচ্চা মারা গেছে। পরে বাচ্ছাটি কিভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে একে একে সকলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় চলে যায়। তারা আরো বলেন, আমরা তখন ডাঃ আক্তার হোসেন এর কাছে গেলে তিনি স্বীকার করেন হাসাপাতাল কর্মীদের ভুলে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইতে গেলে তারা টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আমরা সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।