ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বৈরাচারের খেতাব থাকলে হাসিনা এক নম্বর হতো- নিউইয়র্ক বিএনপির সম্পাদক সাইদুর রহমান মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ধুম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত চলা চলের রাস্তায় বেড়া নির্মাণ, একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ বৃদ্ধ কাজল মিয়ার পরিবার রূপম ধরের তুলিতে তিতাস পাড়ের গল্প: তরী বাংলাদেশের নদী সম্মেলন সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ: বেদে প্রেমিক যুগলের বিষপান, হাসপাতালে ভর্তি একটি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ আ.লীগ নেতা ও এস.আই’র বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনেসথেসিয়া সোসাইটির কমিটি গঠন, নেতৃত্বে ডা. মকবুল-ডা. আরিফ

বিজয়নগরের পরিকল্পিতভাবে এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

ddddddddd

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মোঃ হারুন মিয়া-(৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা চেষ্টা করেছেন প্রভাবশালী আব্দুল করিম গংরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হারুন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে শেখ হাসিনা সড়কের উপর এ হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত হারুন মিয়ার পরিবারের লোকজন জানান, হারুন মিয়ার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল করিম (সাবেক মেম্বার), মোতালিব, নান্নু মিয়া, ইউনুস মিয়া গংদের সম্প্রতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কয়েক দফা ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গুলো চলমান রয়েছে। এসব মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হারুন মিয়া মনিপুর বন্দর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা আব্দুল করিম, তার ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলু, দুধ মিয়া, নুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, আব্দুল আহাদের ছেলে শাহীন, মাঈন উদ্দিনের ছেলে শাহীন, নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন ও মাহতাব মিয়ার ছেলে রিটনসহ ১০/১৫ জন মিলে লক্ষীমুড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে শেখ হাসিনা সড়কের উপর হারুন মিয়ার পথরোধ করে বেধম পিটিয়ে হাত, পা ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও হারুন মিয়ার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা চেষ্টা করেন। এসময় হারুন মিয়ার বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হারুন মিয়াকে উদ্ধার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে, এ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের কাছে হামলার ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। আহত হারুন মিয়ার বড় ভাই জারু মিয়া জানান, এলাকায় তারা খুবই নিরিহ মানুষ। পক্ষান্তরে করিম গংরা খুবই প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ, পরসম্পদ লুন্ঠনকারী। তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে নানান অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের গরু দিয়ে আমাদের কৃষি জমি বিনষ্ট করলে আমরা এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করলে তারা উত্তেজিত হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে আমাদের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এতে আমার ভাই হারুন মিয়া, তার স্ত্রী মাজেদা বেগম, হারুন মিয়ার ছেলে আফসার মিয়া ও জায়েদা বেগম আহত হন। পরে এ ঘটনায় আমার ভাই হারুন মিয়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫, ধারা-৩২৩/৪৪৭/৩৭৯/৩২৫/৩৪১/৩০৭/৩২৪/৪২৭/৫০৬/৩২৬/১৪৩/১১৪ দণ্ডবিধি রুজু করা হয়। অপরদিকে, মামলা দায়ের এর পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে মামলার ৩নং আসামী মোতালিব মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। পুলিশ মোতালিবকে গ্রেপ্তার করায় আসামীগন ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল করিম (সাবেক মেম্বার) ও তার ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলুর নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা ফের হারুন মিয়া ও তার ভাই জারু মিয়ার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এসময় হামলাকারীরা হারুন মিয়ার ছেলের বউ ইয়াসমিনকে বাড়ির সামনের রাস্তায় আটকিয়ে মারধোর করেন ও তার সাথে থাকা নগদ চার লাখ টাকা (ব্যাংক এশিয়া, মনিপুর বন্দর বাজার শাখা থেকে উত্তোলনকৃত) ও তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন লুট করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাননীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজয়নগর আমলী আদালতে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন হারুন মিয়ার ছেলের বউ ইয়াসমিন। মামলা নং- সিআর ৭৭৮/২২। পরে আদালত বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসি বিজয়নগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় আব্দুল করিমকে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলু ওরফে আশেদ মিয়া-(৪০), মৃত নুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ-(৪৬), আব্দুল আহাদের ছেলে শাহীন-(২২) ও মাঈন উদ্দিনের ছেলে নান্নু মিয়া-(৪০)। এদিকে, মামলা দায়ের এর পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন আসামীরা। পরে আসামীদের হুমকিধামকির কারনে বাদীনির শ্বশুর হারুন মিয়া নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৪/১১৭(গ) ধারায় একটি মোদ্দমা দায়ের করেন হারুন মিয়া। এ ব্যাপারে হারুন মিয়ার ছেলের বউ ও প্রবাসী আল আমিন এর স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, আমাদের বাড়িতে আমার শ্বশুর ও দেবর ব্যতীত কোন পুরুষ মানুষ নেই। কিন্তু আব্দুল করিম, মোতালিব গংরা সবসময় আমাদের উপর বিভিন্ন জুলুম নির্যাতন করে আসছে। তাদের এসব জুলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ থেকে গত ৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ২৮ দিনের মধ্যে তিনবার হামলা করেছেন। আমাদের মারধর করেছেন, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছেন। আমরা আইনের দারস্থ হয়েও তাদের অত্যাচার থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছি না। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করার পর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় আমার শ্বশুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আব্দুল করিম মেম্বার, দুধ মিয়া মেম্বারসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমার শ্বশুরের উপর হামলা চালায়। তারা আমার শ্বশুরের হাত, পা ভেঙে ফেলেছেন। আমার শ্বশুর বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা আসামীদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাচার নিরাপত্তা চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিজয়নগরের পরিকল্পিতভাবে এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মোঃ হারুন মিয়া-(৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা চেষ্টা করেছেন প্রভাবশালী আব্দুল করিম গংরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হারুন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে শেখ হাসিনা সড়কের উপর এ হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত হারুন মিয়ার পরিবারের লোকজন জানান, হারুন মিয়ার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল করিম (সাবেক মেম্বার), মোতালিব, নান্নু মিয়া, ইউনুস মিয়া গংদের সম্প্রতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কয়েক দফা ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গুলো চলমান রয়েছে। এসব মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হারুন মিয়া মনিপুর বন্দর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা আব্দুল করিম, তার ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলু, দুধ মিয়া, নুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, আব্দুল আহাদের ছেলে শাহীন, মাঈন উদ্দিনের ছেলে শাহীন, নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন ও মাহতাব মিয়ার ছেলে রিটনসহ ১০/১৫ জন মিলে লক্ষীমুড়া গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে শেখ হাসিনা সড়কের উপর হারুন মিয়ার পথরোধ করে বেধম পিটিয়ে হাত, পা ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও হারুন মিয়ার সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা চেষ্টা করেন। এসময় হারুন মিয়ার বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হারুন মিয়াকে উদ্ধার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে, এ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের কাছে হামলার ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। আহত হারুন মিয়ার বড় ভাই জারু মিয়া জানান, এলাকায় তারা খুবই নিরিহ মানুষ। পক্ষান্তরে করিম গংরা খুবই প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ, পরসম্পদ লুন্ঠনকারী। তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে নানান অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের গরু দিয়ে আমাদের কৃষি জমি বিনষ্ট করলে আমরা এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করলে তারা উত্তেজিত হয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে আমাদের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এতে আমার ভাই হারুন মিয়া, তার স্ত্রী মাজেদা বেগম, হারুন মিয়ার ছেলে আফসার মিয়া ও জায়েদা বেগম আহত হন। পরে এ ঘটনায় আমার ভাই হারুন মিয়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫, ধারা-৩২৩/৪৪৭/৩৭৯/৩২৫/৩৪১/৩০৭/৩২৪/৪২৭/৫০৬/৩২৬/১৪৩/১১৪ দণ্ডবিধি রুজু করা হয়। অপরদিকে, মামলা দায়ের এর পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে মামলার ৩নং আসামী মোতালিব মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। পুলিশ মোতালিবকে গ্রেপ্তার করায় আসামীগন ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল করিম (সাবেক মেম্বার) ও তার ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলুর নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা ফের হারুন মিয়া ও তার ভাই জারু মিয়ার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এসময় হামলাকারীরা হারুন মিয়ার ছেলের বউ ইয়াসমিনকে বাড়ির সামনের রাস্তায় আটকিয়ে মারধোর করেন ও তার সাথে থাকা নগদ চার লাখ টাকা (ব্যাংক এশিয়া, মনিপুর বন্দর বাজার শাখা থেকে উত্তোলনকৃত) ও তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন লুট করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাননীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজয়নগর আমলী আদালতে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন হারুন মিয়ার ছেলের বউ ইয়াসমিন। মামলা নং- সিআর ৭৭৮/২২। পরে আদালত বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসি বিজয়নগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় আব্দুল করিমকে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম লিলু ওরফে আশেদ মিয়া-(৪০), মৃত নুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ-(৪৬), আব্দুল আহাদের ছেলে শাহীন-(২২) ও মাঈন উদ্দিনের ছেলে নান্নু মিয়া-(৪০)। এদিকে, মামলা দায়ের এর পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন আসামীরা। পরে আসামীদের হুমকিধামকির কারনে বাদীনির শ্বশুর হারুন মিয়া নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৪/১১৭(গ) ধারায় একটি মোদ্দমা দায়ের করেন হারুন মিয়া। এ ব্যাপারে হারুন মিয়ার ছেলের বউ ও প্রবাসী আল আমিন এর স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, আমাদের বাড়িতে আমার শ্বশুর ও দেবর ব্যতীত কোন পুরুষ মানুষ নেই। কিন্তু আব্দুল করিম, মোতালিব গংরা সবসময় আমাদের উপর বিভিন্ন জুলুম নির্যাতন করে আসছে। তাদের এসব জুলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ থেকে গত ৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ২৮ দিনের মধ্যে তিনবার হামলা করেছেন। আমাদের মারধর করেছেন, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছেন। আমরা আইনের দারস্থ হয়েও তাদের অত্যাচার থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছি না। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর আমাদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করার পর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় আমার শ্বশুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আব্দুল করিম মেম্বার, দুধ মিয়া মেম্বারসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমার শ্বশুরের উপর হামলা চালায়। তারা আমার শ্বশুরের হাত, পা ভেঙে ফেলেছেন। আমার শ্বশুর বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা আসামীদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাচার নিরাপত্তা চাই।