বজলুর রহমান পাঠাগারের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন

- আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
প্রতিষ্ঠার ১ বছর উদযাপন করেছে বজলুর রহমান পাঠাগার। শনিবার, ১০ ডিসেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের এফ আদর্শ বিদ্যাকাননের পাঠাগার কক্ষে গান, আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজকর্মী বজলুর রহমান, নারী মুক্তি সংসদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী পাভেল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মো. মহসিন, স্কুল শিক্ষক নূর সালাম ও এফ আর আদর্শ বিদ্যাকাননের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিলকিছ আক্তার। সঞ্চালনা করেন তানহা ও নুসরাত। এছাড়া গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে পাঠাগারের শিক্ষার্থীরা। পাঠাগারের সমন্বয়ক তানহা ও নওরিন জানায়, “বেশিরভাগ সদস্যের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলমান থাকায় পাঠাগারের জন্মদিনটি এবার সীমিত আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বর্ষপূর্তির মূল অনুষ্ঠানটি আরো বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে। সেখানে পাঠাগারের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরাও পরিবেশনায় অংশ নেবেন।”অনুষ্ঠানে বজলুর রহমান বলেন, “শিক্ষা, সংস্কৃতির আলো নিভে গেলে সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। সমাজকে আলোকিত করতে হলে এ ধরণের পাঠাগার চর্চা এবং সৃজনশীল নানা কর্ম পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।”ফজিলাতুন্নাহার বলেন, “শহরে শিশুদের জন্য নানা রকম ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু গ্রামের বাচ্চাদের সেই পরিবেশ থাকে না। এজন্য অনেক অভিভাবক কেবল মাত্র সন্তানের শিক্ষার পরিবেশের জন্য শহরমুখি হচ্ছেন। আমাদের গ্রামে সৃজনশীল শিক্ষার পরিবেশ গড়তেই মূলত এই পাঠাগারের মাধ্যমে নানা রকম কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছি। এখানে শিশুরা, বই পড়ার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা, গানের চর্চাও করছে।”ইঞ্জিয়ার মহসিন বলেন, “আমার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে ইফরান এখন পাঠাগারে নিয়মিত আসে এবং আমি দেখেছি ওর মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে। ওর আচরণের এই পরিবর্তনটা খুবই ইতিবাচক। সে মার্জিত ব্যবহার করছে। পাঠাগারের সময় হলে আমাদের বলতে হচ্ছে না, সে নিজের ইচ্ছায় পাঠাগারে যাচ্ছে। এটা আমার ভালো লাগছে।”স্কুল শিক্ষক নূর সালাম বলেন, “আমার মেয়েদের গান, আবৃত্তি শেখানোর জন্য ভালো পরিবেশ খুঁজেছি। উপজেলা সদরের শিল্পকলায় তাদের ভর্তিও করেছি। পরে যখন আমাদের পাশের গ্রামে এই পাঠাগারটি হয়েছে জেনেছি, তখন তাদের পাঠাগারে নিয়ে আসি। চমৎকার পরিবেশ আমাকেও মুগ্ধ করে। আমাদের গ্রামে এত সুন্দর একটি পাঠাগার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।” ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৈন্দ গ্রামে যাত্রা শুরু করে বজলুর রহমান পাঠাগার। কবি সরকার আমিন, সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী, কমিউনিস্ট নেতা কমরেড শাহরিয়ার মো. ফিরোজ, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন, পাঠাগারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, চিত্রশিল্পী শাহনাজ জাহানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।