Dhaka 12:59 am, Friday, 3 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:59:22 pm, Friday, 4 February 2022
  • 130 Time View

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

Update Time : 08:59:22 pm, Friday, 4 February 2022

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল