Dhaka 9:37 pm, Wednesday, 1 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

রাতের সরাইলে শীতের দাপট শীতার্তদের পাশে বিভিন্ন সংগঠন

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:49:45 pm, Saturday, 21 January 2023
  • 87 Time View

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

শৈত্য প্রবাহের দখল কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতে সরাইলে শীত আবারও ঝেঁকে বসেছে। গত ৪-৫ দিন ধরে রাতের সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। সকাল ৮টার আগে দেখা মিলে না সূর্যের। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালকা রোদের দেখা মিললেও তাপ মিলে না। তাই বাড়ছে রোগ ব্যাধি। স্বল্প আয়ের লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে কিছুটা কষ্টে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সরকারী দফতর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবীসহ স্থানীয় কিছু এনজিও। পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসহায়দের খুঁজে বের করে বাড়িতে শীত বস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন সরাইল প্রেসক্লাব। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া ৫ দিনের ঘন কূঁয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ফলে সরাইলের জনজীবন অচল হয়ে পড়েছিল। একাধারে ৫ দিন রোদের দেখা মিলেনি। ধান শুকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ৯ উপজেলার কৃষকদের। সেই শৈত্য প্রবাহের দাপট শেষ হতে না হতেই আবার শুরূ হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ফের গত ৩-৪ দিন ধরে নিয়মিত আছরের পর থেকে বাড়তে থাকে শীতের দাপট। কোন কোন দিন সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নেমে যায় ১৩ ডিগ্রীর নীচে। রাত ৯টার পর ১১/১২ ডিগ্রীও হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ ব্যাধি। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। রাত ৮টার পরই ফাঁকা হতে থাকে হাট বাজার ও সড়ক। অত্যন্ত কষ্টে ঠান্ডার সাথে লড়াই করে ইরি বোরো ধানের ছারা গাছ রোপন করছে শ্রমিকরা। মূল্য বেড়ে গেছে শীত বস্ত্রেরও। কিছুটা দূর্ভোগে পড়েছে গরীব অসহায় নারী পুরূষ ও শিশুরা। তবে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন শীত বস্ত্র নিয়ে শীতার্ত মানুষের দাঁড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেড় শতাধিক দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের খুঁজে বের করে কম্বল বিতরণ করছেন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সরাইল প্রেসক্লাব। শতাধিক গরীব লোককে কম্বল প্রদান করেছেন স্থানীয় ‘বন্ধু সংগঠন’ নামের একটি সামাজিক সংস্থা। সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরাইলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে ৪ সহস্রাধিক দরিদ্র অসহায় নারী পুরূষকে কম্বল প্রদান করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

রাতের সরাইলে শীতের দাপট শীতার্তদের পাশে বিভিন্ন সংগঠন

Update Time : 01:49:45 pm, Saturday, 21 January 2023

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

শৈত্য প্রবাহের দখল কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতে সরাইলে শীত আবারও ঝেঁকে বসেছে। গত ৪-৫ দিন ধরে রাতের সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। সকাল ৮টার আগে দেখা মিলে না সূর্যের। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালকা রোদের দেখা মিললেও তাপ মিলে না। তাই বাড়ছে রোগ ব্যাধি। স্বল্প আয়ের লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে কিছুটা কষ্টে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সরকারী দফতর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবীসহ স্থানীয় কিছু এনজিও। পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসহায়দের খুঁজে বের করে বাড়িতে শীত বস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন সরাইল প্রেসক্লাব। সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া ৫ দিনের ঘন কূঁয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের ফলে সরাইলের জনজীবন অচল হয়ে পড়েছিল। একাধারে ৫ দিন রোদের দেখা মিলেনি। ধান শুকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ৯ উপজেলার কৃষকদের। সেই শৈত্য প্রবাহের দাপট শেষ হতে না হতেই আবার শুরূ হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ফের গত ৩-৪ দিন ধরে নিয়মিত আছরের পর থেকে বাড়তে থাকে শীতের দাপট। কোন কোন দিন সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নেমে যায় ১৩ ডিগ্রীর নীচে। রাত ৯টার পর ১১/১২ ডিগ্রীও হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ ব্যাধি। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। রাত ৮টার পরই ফাঁকা হতে থাকে হাট বাজার ও সড়ক। অত্যন্ত কষ্টে ঠান্ডার সাথে লড়াই করে ইরি বোরো ধানের ছারা গাছ রোপন করছে শ্রমিকরা। মূল্য বেড়ে গেছে শীত বস্ত্রেরও। কিছুটা দূর্ভোগে পড়েছে গরীব অসহায় নারী পুরূষ ও শিশুরা। তবে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠন শীত বস্ত্র নিয়ে শীতার্ত মানুষের দাঁড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেড় শতাধিক দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের খুঁজে বের করে কম্বল বিতরণ করছেন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সরাইল প্রেসক্লাব। শতাধিক গরীব লোককে কম্বল প্রদান করেছেন স্থানীয় ‘বন্ধু সংগঠন’ নামের একটি সামাজিক সংস্থা। সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরাইলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে ৪ সহস্রাধিক দরিদ্র অসহায় নারী পুরূষকে কম্বল প্রদান করেছি।