Dhaka ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা সরাইলে ২৩ রোগী পেল ১৮৪০০০ টাকা বাবার সেই চিঠি শুধুই মনে —–আল আমীন শাহীন জমে ওঠেছে সরাইলের ঈদ বাজার‘আলিয়া’ নিয়ে টানাটানি সরাইলে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ কারবারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়ি়য়া জেলা কাজী সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তন করে অপমৃত্যু; করেন অপমান ও লাঞ্ছনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২৮৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক মা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহার দায়ের করার ১ দিন পর ওই এজাহার বাদ দিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করার জন্য চাপ প্রয়োগ এর অভিযোগ উঠে এসআই“লেবু” নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার উপর । শুধু চাপ নয়, বাদি অপমৃত্যুর মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তার পেটে লাথি মারতে গিয়েছে সেই এসআই । এসআই লেবু তখন বলেন, লাথি মেরে পেটের ভূড়ি বের করে ফেলবো। এভাবে লেবু দুইবার ওই মহিলার দিকে তেড়ে যান। শুধু তাই নয়, তুই তুকারি ভাষা ব্যবহার করে ওই মহিলাকে আটক করে রাখা হয়েছিলো থানায়। বলা হয়েছিলো, ওসি সাহেব রাত ১০টায় থানায় আসার পর কাগজে সই দিয়ে তারপর থানা থেকে বের হতে পারবি। পরে মহিলা কোনমতে থানা থেকে পালিয়ে সরাসরি সাংবাদিকদের কাছে এসে নালিশ করেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে থানার ১০৭ নম্বর রুম ও রুমের বারান্দায় এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদকের কাছে লাথি মারার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন এসআই লেবু। তবে বাদি ও এসআই লেবুর মধ্যে চলা এসব কর্মকান্ডের মাঝামাঝি সময়ে বাদির মোবাইল ফোনে ফোন করে এসআই লেবুর সাথে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। জানতে চাওয়া হয়েছিল হত্যা মামলার এজাহার কেন অপমৃত্যুর এজাহারে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। কিন্তু তখন সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিবেদকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরন করেছেন। বাদির নাম শাহনাজ (৪৫), তার বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার স্ত্রী। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে শাহনাজের ছেলে জুয়েলকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় জুয়েলের স্ত্রী ও তার পক্ষের লোকজন। এরপর রোববার সদর হাসাপাতাল থেকে ঢাকায় জুয়েলকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই মারা যান জুয়েল। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামে। ওই গ্রামেই জুয়েল আকলিমা আক্তার বৃষ্টি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন যার বাবার নাম বিল্লাল মিয়া। অভিযোগ উঠে, খাটিহাতা গ্রামেই ২৪ ডিসেম্বও প্রথমে তাকে পিটিয়ে, ছুড়িকাঘাত করে ও বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার বৃষ্টি। জুয়েল সদর হাসপাতালে জীবিত থাকা অবস্থায়ও এ কথা বলে গিয়েছেন জুয়েলের মা শাহনাজ ও অন্যান্যদেরকে। রোববার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা দায়ের করতে থানায় যান মা শাহনাজ। তখন এজাহার গ্রহন করেননি থানার ডিউটি অফিসার। পরে এক ব্যক্তির রেফারেন্সে বাদি ও তার স্বজনদের পাঠানো হয় থানার ওসি (তদন্ত) এর কাছে। কিন্তু তিনি থানায় ছিলেননা। ফোনে পরের দিন আসতে বলেন। পরের দিন সোমবার বাদিদের পক্ষ থেকে ওসি তদন্তকে ফোন করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে থানার ওসি ইমরানুল ইসলামকে ফোন করে ব্যপাটি বলার পর তিনি হত্যা মামলার আবেদন গ্রহন করেন। এর পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময় বাদিকে থানা থেকে ফোন করে থানায় ডাকা হয়। বিকেলে থানায় যাওয়ার পর এসআই লেবু হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তন করে অপমৃত্যুর এজাহার লিখেন এবং সেখানে বাদি শাহনাজের সই নেন। ওই সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে শাহানাজ অপমৃত্যুর মামলায় অস্বীকৃতি জানালে সাথে সাথেই শাহনাজের উপর চড়াও হন লেবু। বিষয়টি নিয়ে সেই পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে বলেছেন, উপর মহল ও ওসি স্যারদের কথাতেই অপমৃত্যুর মামলা লিখা হচ্ছে। এবিষয়ে সদর থানার ওসি ইনরানুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মঙ্গবার সন্ধ্যায় উনার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাদি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করলে পুলিশ সেটাকে পরিবর্তন করে অপমৃত্যুর এজাহার বানানোর কোন সুযোগ নেই। এমনটা হওয়ার কথা নয়। ব্যপারটা আমি খোজ নিচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তন করে অপমৃত্যু; করেন অপমান ও লাঞ্ছনা

Update Time : ০৯:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক মা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহার দায়ের করার ১ দিন পর ওই এজাহার বাদ দিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করার জন্য চাপ প্রয়োগ এর অভিযোগ উঠে এসআই“লেবু” নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার উপর । শুধু চাপ নয়, বাদি অপমৃত্যুর মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তার পেটে লাথি মারতে গিয়েছে সেই এসআই । এসআই লেবু তখন বলেন, লাথি মেরে পেটের ভূড়ি বের করে ফেলবো। এভাবে লেবু দুইবার ওই মহিলার দিকে তেড়ে যান। শুধু তাই নয়, তুই তুকারি ভাষা ব্যবহার করে ওই মহিলাকে আটক করে রাখা হয়েছিলো থানায়। বলা হয়েছিলো, ওসি সাহেব রাত ১০টায় থানায় আসার পর কাগজে সই দিয়ে তারপর থানা থেকে বের হতে পারবি। পরে মহিলা কোনমতে থানা থেকে পালিয়ে সরাসরি সাংবাদিকদের কাছে এসে নালিশ করেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে থানার ১০৭ নম্বর রুম ও রুমের বারান্দায় এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদকের কাছে লাথি মারার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন এসআই লেবু। তবে বাদি ও এসআই লেবুর মধ্যে চলা এসব কর্মকান্ডের মাঝামাঝি সময়ে বাদির মোবাইল ফোনে ফোন করে এসআই লেবুর সাথে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। জানতে চাওয়া হয়েছিল হত্যা মামলার এজাহার কেন অপমৃত্যুর এজাহারে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। কিন্তু তখন সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিবেদকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরন করেছেন। বাদির নাম শাহনাজ (৪৫), তার বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার স্ত্রী। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে শাহনাজের ছেলে জুয়েলকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় জুয়েলের স্ত্রী ও তার পক্ষের লোকজন। এরপর রোববার সদর হাসাপাতাল থেকে ঢাকায় জুয়েলকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই মারা যান জুয়েল। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামে। ওই গ্রামেই জুয়েল আকলিমা আক্তার বৃষ্টি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন যার বাবার নাম বিল্লাল মিয়া। অভিযোগ উঠে, খাটিহাতা গ্রামেই ২৪ ডিসেম্বও প্রথমে তাকে পিটিয়ে, ছুড়িকাঘাত করে ও বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার বৃষ্টি। জুয়েল সদর হাসপাতালে জীবিত থাকা অবস্থায়ও এ কথা বলে গিয়েছেন জুয়েলের মা শাহনাজ ও অন্যান্যদেরকে। রোববার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা দায়ের করতে থানায় যান মা শাহনাজ। তখন এজাহার গ্রহন করেননি থানার ডিউটি অফিসার। পরে এক ব্যক্তির রেফারেন্সে বাদি ও তার স্বজনদের পাঠানো হয় থানার ওসি (তদন্ত) এর কাছে। কিন্তু তিনি থানায় ছিলেননা। ফোনে পরের দিন আসতে বলেন। পরের দিন সোমবার বাদিদের পক্ষ থেকে ওসি তদন্তকে ফোন করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে থানার ওসি ইমরানুল ইসলামকে ফোন করে ব্যপাটি বলার পর তিনি হত্যা মামলার আবেদন গ্রহন করেন। এর পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময় বাদিকে থানা থেকে ফোন করে থানায় ডাকা হয়। বিকেলে থানায় যাওয়ার পর এসআই লেবু হত্যা মামলার এজাহার পরিবর্তন করে অপমৃত্যুর এজাহার লিখেন এবং সেখানে বাদি শাহনাজের সই নেন। ওই সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে শাহানাজ অপমৃত্যুর মামলায় অস্বীকৃতি জানালে সাথে সাথেই শাহনাজের উপর চড়াও হন লেবু। বিষয়টি নিয়ে সেই পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে বলেছেন, উপর মহল ও ওসি স্যারদের কথাতেই অপমৃত্যুর মামলা লিখা হচ্ছে। এবিষয়ে সদর থানার ওসি ইনরানুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মঙ্গবার সন্ধ্যায় উনার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাদি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করলে পুলিশ সেটাকে পরিবর্তন করে অপমৃত্যুর এজাহার বানানোর কোন সুযোগ নেই। এমনটা হওয়ার কথা নয়। ব্যপারটা আমি খোজ নিচ্ছি।