সরাইল বিআরডিবি’র নির্বাচন; জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২১ বার পড়া হয়েছে
মামলা ও শোকজের পরও থামছে না ব্রাহ্মণণবাড়িয়ার সরাইল বিআরডিবি’র নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির অনিয়ম। নির্বাচনের একদিন আগেও চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজহারূল ইসলাম ঠাকুর পাননি ভোটার তালিকা। গত ৬ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্তও কর্মকর্তার জাল স্বাক্ষরে ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। জাল স্বাক্ষর ধরা পড়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ভেরিফাইট আইডি থেকে প্রচার করছেন। রেজুলেশনে একজনের স্বাক্ষর করছেন আরেকজন। স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ অনিয়ম সন্দেহ হওয়ায় ইতোমধ্যে ৪টি সমিতির আবেদন আটকে দিয়েছেন সরাইল উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া।
সূত্র জানায়, গত ৫ নভেম্বর সমবায়ী আহমেদ আলীর দায়ের করা মামলাটির আদেশ হয়নি। স্বশরীরে আদালতে সেইদিন হাজির হননি ৪ কর্মকর্তা। কৌশলীর মাধ্যমে আদালতে সময় চেয়েছেন তারা। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ৯ নভেম্বর রোববার শুনানির তারিখ দিয়েছেন। মামলা চলমান অবস্থায় কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিধান মানছেন না নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। আগামী ১০ নভেম্বর নির্বাচন। গত শনিবার পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী সেলিম আজহারূল ইসলাম ঠাকুরকে কমিটি দেননি ভোটার তালিকা। ওদিকে তারা একের পর এক অনিয়ম করে ভুয়া ও নিস্ক্রিয় সমিতিকে ভোটার তালিকাভুক্ত করেই যাচ্ছেন। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার সুপারিশ ছাড়াই ১০ টি সমিতির এডহক কমিটি গঠন ও প্রতিনিধি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে অধিকাংশ সমিতিই নিস্ক্রিয়। সমিতি গুলো হচ্ছে নিজসরাইল, হাফিজটুলা, কানিউচ্চ, দুবাজাইল পূর্ব কৃষক সমবায় সমিতি, বিশুতারা দক্ষিণ, স্বল্প নোয়াগাঁও, বড়বুল্লা, বাণকপাড়া বড্ডাপাড়া পশ্চিম, সরাইল প্রাথমিক ও তেলিকান্দি কৃষক সমবায় সমিতি। অথচ রহস্যজনক কারণে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ রানা কর্তৃক ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত ৯৯ নম্বর স্বারকে সাধারণ সভায় অংশ গ্রহনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ৫৯ ব্যক্তির ফরম প্রতিস্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করলেও তারা ভোটার তালিকাভুক্ত হননি। ভোটার অনুমতিপত্র প্রদানের সময় ছিল ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু কোন নোটিশ বা পত্র ছাড়াই কমিটি মনগড়া মত ৬ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এডহক কমিটি গঠনের অনুমতির জন্য উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ স্বারকযুক্ত পত্রের মাধ্যমে সুপারিশ প্রয়োজন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তা অনুসরণ করছেন না। গত ৬ নভেম্বর কোন স্বারক ছাড়াই ২৪ টি সমিতিকে তালিকাভুক্ত করেন। নানা ধরণের অনিয়ম স্বাক্ষর জালিয়াতি সন্দেহ হওয়ায় ৪টি সমিতির কাগজপত্র আটকে দেন সমবায় কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া। স্বাক্ষর জালিয়াতির সাথে সরাসরি জড়িত পরিদর্শক মেনহাজ উদ্দিন ঠাকুর। ওই ৪টি সমিতি হলো- আজবপূর্ব কৃষক সমবায় সমিতি, সিদ্বেশ্বরী কৃষক সমবায় সমিতি, নরসিংহপুর পূর্ব কৃষক সমবায় সমিতি ও টিঘর পশ্চিম কৃষক সমবায় সমিতি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী সেলিম আজহারূল ইসলাম ঠাকুর বলেন, ভোটার তালিকার জন্য গত এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে ঘুরছি। দেম দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছেন কমিটির লোকজন ও কর্মকর্তারা। কি উদ্যেশ্যে দিচ্ছেন না বুঝতে পারছি না। আগামীকাল সোমবার ভোট। এখনো জানলাম না ভোটার কারা? ভোট চাইতে যাইতে পারলাম না কোন ভোটারের কাছে। এটা কেমন নির্বাচন?
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক বলেন, আজ শনিবার সরকারী ছুটি তাই আজ কোন বক্তব্য দিতে পারব না আগামীকাল রবিবার অফিস চলাকালে আসতে হবে।




















