Dhaka 4:16 pm, Sunday, 5 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

পল্লী বিদ্যুতের অত্যাধুনিক টেকনোলজি; বাঁশের খুঁটিতে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:45:06 pm, Sunday, 4 September 2022
  • 83 Time View

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তিতাসের পাড়ে হাওরের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের অত্যাধুনিক টেকনোলজি। পোলের পরিবর্তে বাঁশের খুঁটি। গত চার মাস ধরে এই খুঁটিতেই চলছে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের (এসটি) লাইন। চরম আতঙ্কে উৎকন্ঠায় রয়েজে জেলেরা। ঝুঁকি নিয়েই নৌপথে চলছে সেখানকার গ্রাম গুলোর বাসিন্দারা। বড় ধরণের বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার শঙ্কায় কাটছে তাদের জীবন। উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের মেঘালয় মাঠ সংলগ্ন স্থানে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে বাঁশের খুঁটি। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এখানে সিমেন্টের তৈরী পোল প্রতিস্থাপনের দাবী আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব। সরজমিনে দেখা যায়, পাকশিমুল ইউনিয়নের মাঠ সংলগ্ন হাওরে তিতাস নদীর উত্তর পাড়ে বাঁশের খুঁটিতে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইন। এই লাইনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে পাকশিমুল ও অরূয়াইল ইউনিয়নের ২০-২২ গ্রামের ২০-২৫ হাজার গ্রাহকের ঘরে। ক্যাবলের ভার যেন সইতে পারছে না বাঁশ গুলো। নড়বড়ে হয়ে কিছুটা হেলে পড়েছে। কাছ থেকে দেখলেই ভয় করে। নিচ দিয়ে যাচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা। আসা যাওয়া করছে জেলেরাও। যে কোন সময় ঘটতে পারে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রাণহানিও। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ প্রতিদিন শতশত নৌকা এই খুঁটির পাশ ও নিচ দিয়ে যাতায়ত করছে। খুঁটির সাথে সামান্য ঘষা বা ধাক্কা লাগলেই রয়েছে বড় অঘটনের শঙ্কা। সন্ধ্যা ও রাতে আরো বিপদজনক। আমরা শত চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সিমেন্টের খুঁটি বসাতে পারছি না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অরূয়াইল সাব-জোনাল অফিস সূত্র জানায়, গত বর্ষার শুরূতে সেখানে বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। পানির কারণে সিমেন্টের খুঁটি না বসিয়ে বাঁশের টাওয়ার দিয়ে লাইন টানা হয়েছে। বর্ষার পানি চলে গেলে ভাল খুঁটি বসানো হবে। অরূয়াইল ষ্টিলবডি নৌ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন বলেন, আমরা ওই জায়গা দিয়ে নৌকায় করে ভারি মালামাল আনা-নেওয়া করি। বাঁশের খুঁটিতে ধাক্কা লাগলেই বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটবে। নৌকার মাঝি বাছির মিয়া বলেন, বাঁশের খুঁটি গুলো পানির স্রোতে পড়ে গেলে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটবে। মিলন মিয়া বলেন, দিনে রাতে নদীতে মাছ ধরি। ওই খুঁটির কাছে গেলেই ভয়ে বুক কাঁপতে থাকে। এই বুঝি ক্যাবল সহ মাথায় পড়ল। পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বলেন, বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ মানেই ঝুঁকি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। অরূয়াইল সাব জোনাল অফিসের দায়িত্বে থাকা এজিএম জহিরূল ইসলাম মোল্লা বলেন, গত বন্যায় স্রোতে তিতাস পাড়ের তিনটি খুঁটি পড়ে যায়। গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাঁশের অস্থায়ী টাওয়ার তৈরী করে সংযোগ চালু রেখেছি। বিধান না থাকলেও মানবিক কারণে কাজটি করেছি। এখনো সেখানে অনেক পানি। তাই খুঁটি বসানো যাচ্ছে না। ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পানি কমার পরই সেখানে স্থায়ী খুঁটি বসানো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

পল্লী বিদ্যুতের অত্যাধুনিক টেকনোলজি; বাঁশের খুঁটিতে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন

Update Time : 02:45:06 pm, Sunday, 4 September 2022

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তিতাসের পাড়ে হাওরের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের অত্যাধুনিক টেকনোলজি। পোলের পরিবর্তে বাঁশের খুঁটি। গত চার মাস ধরে এই খুঁটিতেই চলছে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের (এসটি) লাইন। চরম আতঙ্কে উৎকন্ঠায় রয়েজে জেলেরা। ঝুঁকি নিয়েই নৌপথে চলছে সেখানকার গ্রাম গুলোর বাসিন্দারা। বড় ধরণের বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার শঙ্কায় কাটছে তাদের জীবন। উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের মেঘালয় মাঠ সংলগ্ন স্থানে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে বাঁশের খুঁটি। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এখানে সিমেন্টের তৈরী পোল প্রতিস্থাপনের দাবী আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব। সরজমিনে দেখা যায়, পাকশিমুল ইউনিয়নের মাঠ সংলগ্ন হাওরে তিতাস নদীর উত্তর পাড়ে বাঁশের খুঁটিতে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইন। এই লাইনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে পাকশিমুল ও অরূয়াইল ইউনিয়নের ২০-২২ গ্রামের ২০-২৫ হাজার গ্রাহকের ঘরে। ক্যাবলের ভার যেন সইতে পারছে না বাঁশ গুলো। নড়বড়ে হয়ে কিছুটা হেলে পড়েছে। কাছ থেকে দেখলেই ভয় করে। নিচ দিয়ে যাচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা। আসা যাওয়া করছে জেলেরাও। যে কোন সময় ঘটতে পারে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রাণহানিও। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ প্রতিদিন শতশত নৌকা এই খুঁটির পাশ ও নিচ দিয়ে যাতায়ত করছে। খুঁটির সাথে সামান্য ঘষা বা ধাক্কা লাগলেই রয়েছে বড় অঘটনের শঙ্কা। সন্ধ্যা ও রাতে আরো বিপদজনক। আমরা শত চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সিমেন্টের খুঁটি বসাতে পারছি না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অরূয়াইল সাব-জোনাল অফিস সূত্র জানায়, গত বর্ষার শুরূতে সেখানে বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। পানির কারণে সিমেন্টের খুঁটি না বসিয়ে বাঁশের টাওয়ার দিয়ে লাইন টানা হয়েছে। বর্ষার পানি চলে গেলে ভাল খুঁটি বসানো হবে। অরূয়াইল ষ্টিলবডি নৌ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন বলেন, আমরা ওই জায়গা দিয়ে নৌকায় করে ভারি মালামাল আনা-নেওয়া করি। বাঁশের খুঁটিতে ধাক্কা লাগলেই বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটবে। নৌকার মাঝি বাছির মিয়া বলেন, বাঁশের খুঁটি গুলো পানির স্রোতে পড়ে গেলে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটবে। মিলন মিয়া বলেন, দিনে রাতে নদীতে মাছ ধরি। ওই খুঁটির কাছে গেলেই ভয়ে বুক কাঁপতে থাকে। এই বুঝি ক্যাবল সহ মাথায় পড়ল। পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বলেন, বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ মানেই ঝুঁকি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। অরূয়াইল সাব জোনাল অফিসের দায়িত্বে থাকা এজিএম জহিরূল ইসলাম মোল্লা বলেন, গত বন্যায় স্রোতে তিতাস পাড়ের তিনটি খুঁটি পড়ে যায়। গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাঁশের অস্থায়ী টাওয়ার তৈরী করে সংযোগ চালু রেখেছি। বিধান না থাকলেও মানবিক কারণে কাজটি করেছি। এখনো সেখানে অনেক পানি। তাই খুঁটি বসানো যাচ্ছে না। ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পানি কমার পরই সেখানে স্থায়ী খুঁটি বসানো হবে।