ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মধ্যেই নবীনগরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গান-বাজনা, সমালোচনার ঝড় জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্যচুক্তি হাতে মেহেদির রং শুকানোর আগেই নববধূর আত্মহত্যা মেয়াদোত্তীর্ণ ও প্রেসক্রিপশনবিহীন অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি: ৪ ফার্মেসিকে জরিমানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের নিকট ‘আশা’র ৪০০ শীতবস্ত্র হস্তান্তর মামা ভাগ্নের আল্ট্রায় ১০০ কিমি ফিনশার যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন ২২ বছর পর একত্রিত হলেন জামিয়া ইউনুছিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদায়ী জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় সাবেক মেম্বারের মৃত্যু

ঢাকার কাপড় বিক্রেতা হত্যা মামলায় নবীনগরের আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

কাপড় বিক্রেতা হত্যা মামলায় নবীনগরের আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাপড় বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান (২৭), নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণ হাতা গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে সে নবীনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নেতা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ভাটারা থানা এলাকায় স্থানীয় ছাত্র-জনতা মেহেদী হাসানকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে যাচাই করে পুলিশ জানতে পারে, তার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানায় ২০২৫ সালের একটি হত্যা মামলা রয়েছে (মামলা নং-৭, তারিখ- ০২ আগস্ট, ২০২৫)। এরপর ভাটারা থানা পুলিশ বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মামলার বাদী এবং তার ছোট ভাই, কাপড় বিক্রেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মিছিলটি দমনের জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, টিয়ার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় আনোয়ার হোসেনের পেটে ও কপালে গুলি লাগে এবং তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই হত্যা মামলায় মেহেদী হাসান ৪৪ নম্বর আসামি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেহেদী হাসান এই ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ, বিস্ফোরক আইন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকার কাপড় বিক্রেতা হত্যা মামলায় নবীনগরের আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাপড় বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান (২৭), নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণ হাতা গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে সে নবীনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নেতা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ভাটারা থানা এলাকায় স্থানীয় ছাত্র-জনতা মেহেদী হাসানকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে যাচাই করে পুলিশ জানতে পারে, তার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানায় ২০২৫ সালের একটি হত্যা মামলা রয়েছে (মামলা নং-৭, তারিখ- ০২ আগস্ট, ২০২৫)। এরপর ভাটারা থানা পুলিশ বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মামলার বাদী এবং তার ছোট ভাই, কাপড় বিক্রেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মিছিলটি দমনের জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, টিয়ার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় আনোয়ার হোসেনের পেটে ও কপালে গুলি লাগে এবং তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই হত্যা মামলায় মেহেদী হাসান ৪৪ নম্বর আসামি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেহেদী হাসান এই ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ, বিস্ফোরক আইন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।