Dhaka 7:27 am, Saturday, 4 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

আদালতে মামলা থাকা সত্বেও সরাইলে গভীর নলকূপ ঘেরে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:52:38 pm, Wednesday, 26 October 2022
  • 114 Time View

সরাইলে গভীর নলকূপ

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও গভীর নলকূপ ঘেরে সরকারি (বিএস-১/১ নং খতিয়ানভূক্ত) ৩৩ শতক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের আসকর আলীর ছেলে সালাম মিয়ার বিরূদ্ধে। কোন অনুমতি বা বৈধতা ছাড়াই আজ বুধবার সকাল থেকেই নলকূপ বসানোর কাজ করছেন। স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বলছেন এই জায়গায় কেউ কোন ধরণের কাজ করার আইনগত ভিত্তি নেই। অথচ সালাম বলছেন কাগজে একটু ভেজাল আছে। তারপরও দীর্ঘদিন দখলে আছি। তাই কাজ করছি। বাবায় করছে। দাদাও করছে। ওদিকে মালিকানা দাবী করে কাগজের ভুল সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলছে। সুযোগে দখলের চেষ্টা করছে বিধায় সালাম মিয়ার কাজ বন্ধ রাখার জন্য সরাইল থানায় গত ২২ অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন রাজু আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। মামলা, অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বড়াইল মৌজার এস এ খতিয়ান নং-৫০৯, বিএস খতিয়ান নং-১/১, সাবেক দাগ নং-৩৭৭, হালে ৫৭৭। জায়গার পরিমাণ ৩৩ শতক নাল জমি। রাজু আহমেদের অভিযোগে জানা জানায়, তার পিতা শহীদ মিয়া খরিদাসূত্রে ওই জায়গার মালিক। ভুল বশত বিএস খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য তারা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর দেওয়ানী মামলা (নং-৪৮৯) করেছেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। এমতাবস্থায় আসকর আলী ওই জায়গাটি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বাধা দেওয়ায় রাজুদের সাথে আসকর আলীর ছেলে সালামদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সালামরা প্রতিপক্ষকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টিকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর সালাম বলছে, জায়গাটি সরকারি নয়। কাগজপত্রে তারাই জায়গার মালিক। তবে কাগজে একটু ভেজাল আছে। দেড় বছর আগে তারাও মামলা করেছেন। মামলার পথে মামলা আছে। তাতে কী হয়েছে? দাদা করেছে। বাবা করেছে। তাই আমরাও জায়গার দখল ছাড়ব না। আমরাই দখলে আছি। আদালত দখলে বাঁধা থাকার কথা বলেননি। ওই জায়গায় গভীর নলকূপ ঘারার কাজ করছি। করবই। জায়গাটিতে কাজ করছি স্থানীয় লোকজন ও নায়েবসহ সকলেই জানেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সবই টাকার খেলা। জায়গাটি সরকারি। মামলাও চলমান আছে। এরপরও চারিদিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই জোর পূর্বক নলকূপ ঘারার চেষ্টা করছেন শহীদ মিয়ার ছেলে সালাম গংরা। সত্য জেনেও অনেকেই এখন নীরব। প্রশাসনের কাছে গিয়েও রাজুরা ভাল কিছু পায়নি। গোপনে একটি সিন্ডিকেটও তৈরী হয়ে গেছে। চুন্টা ইউনিয়ন উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. জুয়েল মিয়া বলেন, জায়গাটি ১/১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত। কারো বৈধ মালিকানার কোন কাগজপত্র নেই। এই সরকারি জায়গায় কারো কোন ধরণের কাজ করার বৈধতা নেই। তাই আসকর আলীরা নলকূপ বসাতে পারেন না। আমি তাদের কাজে একাধিকবার বাঁধা দিয়েছি। সন্ধ্যায়ও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রাতে কী করে আল্লাহই জানেন। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল মুঠোফোনে বলেন, ১০ বছর আগে বিএ হয়েছে। আইনি পক্রিয়ায় সংশোধনের সকল ধরণের সুযোগ ও সময়ও শেষ। উনাদের জায়গা হলে এতদিন বসে ছিলেন কেন? এটা সরকারি জায়গায়। এখানে জবর দখল চলবে না। আমি নায়েবের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

আদালতে মামলা থাকা সত্বেও সরাইলে গভীর নলকূপ ঘেরে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা

Update Time : 09:52:38 pm, Wednesday, 26 October 2022

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও গভীর নলকূপ ঘেরে সরকারি (বিএস-১/১ নং খতিয়ানভূক্ত) ৩৩ শতক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের আসকর আলীর ছেলে সালাম মিয়ার বিরূদ্ধে। কোন অনুমতি বা বৈধতা ছাড়াই আজ বুধবার সকাল থেকেই নলকূপ বসানোর কাজ করছেন। স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বলছেন এই জায়গায় কেউ কোন ধরণের কাজ করার আইনগত ভিত্তি নেই। অথচ সালাম বলছেন কাগজে একটু ভেজাল আছে। তারপরও দীর্ঘদিন দখলে আছি। তাই কাজ করছি। বাবায় করছে। দাদাও করছে। ওদিকে মালিকানা দাবী করে কাগজের ভুল সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলছে। সুযোগে দখলের চেষ্টা করছে বিধায় সালাম মিয়ার কাজ বন্ধ রাখার জন্য সরাইল থানায় গত ২২ অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন রাজু আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। মামলা, অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বড়াইল মৌজার এস এ খতিয়ান নং-৫০৯, বিএস খতিয়ান নং-১/১, সাবেক দাগ নং-৩৭৭, হালে ৫৭৭। জায়গার পরিমাণ ৩৩ শতক নাল জমি। রাজু আহমেদের অভিযোগে জানা জানায়, তার পিতা শহীদ মিয়া খরিদাসূত্রে ওই জায়গার মালিক। ভুল বশত বিএস খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য তারা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর দেওয়ানী মামলা (নং-৪৮৯) করেছেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। এমতাবস্থায় আসকর আলী ওই জায়গাটি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বাধা দেওয়ায় রাজুদের সাথে আসকর আলীর ছেলে সালামদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সালামরা প্রতিপক্ষকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টিকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর সালাম বলছে, জায়গাটি সরকারি নয়। কাগজপত্রে তারাই জায়গার মালিক। তবে কাগজে একটু ভেজাল আছে। দেড় বছর আগে তারাও মামলা করেছেন। মামলার পথে মামলা আছে। তাতে কী হয়েছে? দাদা করেছে। বাবা করেছে। তাই আমরাও জায়গার দখল ছাড়ব না। আমরাই দখলে আছি। আদালত দখলে বাঁধা থাকার কথা বলেননি। ওই জায়গায় গভীর নলকূপ ঘারার কাজ করছি। করবই। জায়গাটিতে কাজ করছি স্থানীয় লোকজন ও নায়েবসহ সকলেই জানেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সবই টাকার খেলা। জায়গাটি সরকারি। মামলাও চলমান আছে। এরপরও চারিদিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই জোর পূর্বক নলকূপ ঘারার চেষ্টা করছেন শহীদ মিয়ার ছেলে সালাম গংরা। সত্য জেনেও অনেকেই এখন নীরব। প্রশাসনের কাছে গিয়েও রাজুরা ভাল কিছু পায়নি। গোপনে একটি সিন্ডিকেটও তৈরী হয়ে গেছে। চুন্টা ইউনিয়ন উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. জুয়েল মিয়া বলেন, জায়গাটি ১/১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত। কারো বৈধ মালিকানার কোন কাগজপত্র নেই। এই সরকারি জায়গায় কারো কোন ধরণের কাজ করার বৈধতা নেই। তাই আসকর আলীরা নলকূপ বসাতে পারেন না। আমি তাদের কাজে একাধিকবার বাঁধা দিয়েছি। সন্ধ্যায়ও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রাতে কী করে আল্লাহই জানেন। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল মুঠোফোনে বলেন, ১০ বছর আগে বিএ হয়েছে। আইনি পক্রিয়ায় সংশোধনের সকল ধরণের সুযোগ ও সময়ও শেষ। উনাদের জায়গা হলে এতদিন বসে ছিলেন কেন? এটা সরকারি জায়গায়। এখানে জবর দখল চলবে না। আমি নায়েবের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।