Dhaka 2:52 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

১৪ ফেব্রুয়ারি! শফিক রেহমানের লাল গোলাপ ও ভালবাসা দিবস বনাম ৫০ জন শহীদের স্মরণে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:10:02 pm, Monday, 14 February 2022
  • 409 Time View

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কি ঘটেছিলো সেদিন কেনইবা ১ জন না ২ জন না একসাথে ৫০ জন ছাত্রকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। গ্রেফতার করা হয় ১১০০ ছাত্রকে। সে ইতিহাস জানতে হলে ফিরে তাকাতে হবে ইতিহাসের পেছনে যখন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান ১৯৮২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। এবং সেই শিক্ষানীতি অনেকটা পাকিস্তান সরকারের আমলে প্রণীত শরীফ শিক্ষা কমিশন বা হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের আদলে সেখানে প্রথম শ্রেণী থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা। অর্থাৎ টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতি বাস্তবায়ন ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এদেশের অদম্য সাহসী ছাত্র সমাজ তা প্রতিহত করতে ঐ শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাবার সময় পুলিশ গুলি চালায়। ”সেদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫০জন নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি মৃতদেহগুলো গুম করে ফেলে। তাদের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনদের কোন খোঁজ আর পাননি।”তবে হতাহতের এই সংখ্যার বিষয়ে তখন সরকারিভাবে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি।”সেদিন থেকে এই দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে বলা হয়’ কতটা অমানবিক নিষ্ঠুরতা কেটেছিল দিনটা একবার চিন্তা করলেই গা শিউরে ওঠে, আর অন্য দিকে বিশ্ব জুড়ে পালিত হাওয়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৯৯৩ সালের দিকে সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে শুরু করে। তরুণ-তরুণীর কাছে ভালোবাসা দিবস ব্যাপক উচ্ছাসের একটি দিন হয়ে ওঠায় চাপা পড়ে গেছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।

ফাহিম মুনতাসির

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

১৪ ফেব্রুয়ারি! শফিক রেহমানের লাল গোলাপ ও ভালবাসা দিবস বনাম ৫০ জন শহীদের স্মরণে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।

Update Time : 09:10:02 pm, Monday, 14 February 2022

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কি ঘটেছিলো সেদিন কেনইবা ১ জন না ২ জন না একসাথে ৫০ জন ছাত্রকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। গ্রেফতার করা হয় ১১০০ ছাত্রকে। সে ইতিহাস জানতে হলে ফিরে তাকাতে হবে ইতিহাসের পেছনে যখন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান ১৯৮২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। এবং সেই শিক্ষানীতি অনেকটা পাকিস্তান সরকারের আমলে প্রণীত শরীফ শিক্ষা কমিশন বা হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের আদলে সেখানে প্রথম শ্রেণী থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা। অর্থাৎ টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতি বাস্তবায়ন ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এদেশের অদম্য সাহসী ছাত্র সমাজ তা প্রতিহত করতে ঐ শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাবার সময় পুলিশ গুলি চালায়। ”সেদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫০জন নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি মৃতদেহগুলো গুম করে ফেলে। তাদের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনদের কোন খোঁজ আর পাননি।”তবে হতাহতের এই সংখ্যার বিষয়ে তখন সরকারিভাবে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি।”সেদিন থেকে এই দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে বলা হয়’ কতটা অমানবিক নিষ্ঠুরতা কেটেছিল দিনটা একবার চিন্তা করলেই গা শিউরে ওঠে, আর অন্য দিকে বিশ্ব জুড়ে পালিত হাওয়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৯৯৩ সালের দিকে সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে শুরু করে। তরুণ-তরুণীর কাছে ভালোবাসা দিবস ব্যাপক উচ্ছাসের একটি দিন হয়ে ওঠায় চাপা পড়ে গেছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।

ফাহিম মুনতাসির