মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সূর্য্যের আলো নিভে হঠাৎ ঘন কাল অন্ধকার নেমে আসে। দিনের বেলা আকস্মিক অন্ধকার ভাবনায় ফেলে দেয় মানুষকে। সাথে আকাশের বিকট শব্দ। বজ্রপাতের জ্বলকানিও আছে। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। চারিদিকে নারী পুরূষ ও শিশুরা চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতে থাকেন। আজ রোববার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে সরাইলের প্রকৃতিতে এমন অবস্থা দেখা দেয়। সরজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৭টার পর সরাইলে সূর্য্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ৮টার দিকে রোদ নেই। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সকলেই প্রত্যাশা করছে স্বাভাবিক বৃষ্টির। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ নিভে যায় সূর্য্যের আলো। সরাইলের আকাশে নেমে আসে ঘন কাল অন্ধকার। মাত্র ৩-৪ গজ দূরে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। দিনের বেলায় আকস্মিক ভাবে এমন অন্ধকার ভাবনায় ফেলে দেয় সরাইলের মানুষকে। সাথে আকাশের বিকট শব্দ ও বজ্রের জ্বলকানি। ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে মানুষ। চারিদিকে নারী পুরূষ ও শিশুরা চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতে থাকেন। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলো থমকে দাঁড়ায়। হালকা বাতাসের সাথে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হয়। ১০ মিনিট পর পরিস্থির উন্নতি হতে থাকে। সকাল ৯টার দিকে অন্ধকার সরে আলোর দেখা মিলতে থাকে। মানুষ তখন স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলতে থাকে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সড়কে চলতে গিয়ে হঠাৎ থমকে দাঁড়ানো আজিজুল ইসলাম ও নাদির বলেন, দিনের বেলায় অমানিশার মত এমন অন্ধকার কখনো দেখিনি। ভেবেছিলাম এই কেয়ামত হয়ে যাচ্ছে। নতুবা বড় ধরণের ঝড় বা সাইক্লোন আসছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে কিছুই হয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। স্বস্থি পাচ্ছি।