ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আশুগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে আশরাফ মাহদি মতবিনিময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-বাবাকে মারধর, ছেলে-নাতি গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালিত দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রতিবাদে ক্যাবের মানব বন্ধন হিন্দুত্ববাদীরা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছে, তারা মিথ্যা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করতে চায়-মাহমুদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমানে ভারতীয় ইয়াবা ও গাঁজা আটক সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া তিন পরিবার বিজিবির অভিযানে তিন দিনে প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল