ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আশুগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে আশরাফ মাহদি মতবিনিময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-বাবাকে মারধর, ছেলে-নাতি গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালিত দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রতিবাদে ক্যাবের মানব বন্ধন হিন্দুত্ববাদীরা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছে, তারা মিথ্যা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করতে চায়-মাহমুদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমানে ভারতীয় ইয়াবা ও গাঁজা আটক সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া তিন পরিবার বিজিবির অভিযানে তিন দিনে প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশে ডাকাতি প্রতিরোধে মাঠে নেমেছেন ইউএনও, সার্কেল এসপি ও ওসি। আজ সোমবার দুপুরে তারা রাতে ডাকাত দলের আশ্রয়স্থল সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন। ফলে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছেন সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে এই অভিযান চলবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড়েই ঘাপটি মেরে বসে থাকে ডাকাতদল। সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোতে ডাকাতি করে। গত রোববার রাতে সড়কের পাশের ঝোঁপঝাঁড় থেকে বেরিয়ে ডাকাতদল সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে যাত্রীবাহী আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোঁপঝাঁড় দিয়েই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। তাই ডাকাতি প্রতিরোধ, চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ দুপুরে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযানে নামেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো.রাকিবুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। থানা ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আজ ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরূ করেছেন। আগামীকাল থেকে আরো অধিক শ্রমিক কাজ করবে। সরাইলের শেষ সীমানা পর্যন্ত সকল ঝোঁপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিচ্ছন্ন করা হবে। সূত্র জানায়, এক সময় সড়কটির সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার এই অংশ ছিল ডাকাত দলের অভয়ারণ্য। মাগরিবের পর সড়কটি থাকত ডাকাতদের দখলে। সন্ধ্যার পর পথচারী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলত না। পুলিশ প্রশাসনের ক্রস ফায়ারে একে একে এই সড়কে ডাকাত দলের ৬ নেতা মারা যায়। ফলে গত ৫-৬ বছর ধরে সড়কটি একেবারে নিরাপদ হয়ে যায়। সারারাত যাত্রীবাহী গাড়ি নির্বিঘ্নে চলছিল। অতিসম্প্রতি সড়কের এই অংশে আবারও ডাকাত দলের আনাগোনা শুরূ হয়েছে। ২-১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ইউএনও এএসপি’র ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন অভিযান

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশে ডাকাতি প্রতিরোধে মাঠে নেমেছেন ইউএনও, সার্কেল এসপি ও ওসি। আজ সোমবার দুপুরে তারা রাতে ডাকাত দলের আশ্রয়স্থল সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন। ফলে স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছেন সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে এই অভিযান চলবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড়েই ঘাপটি মেরে বসে থাকে ডাকাতদল। সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোতে ডাকাতি করে। গত রোববার রাতে সড়কের পাশের ঝোঁপঝাঁড় থেকে বেরিয়ে ডাকাতদল সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে যাত্রীবাহী আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঝোঁপঝাঁড় দিয়েই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। তাই ডাকাতি প্রতিরোধ, চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ দুপুরে সড়কের দু’পাশের ঝোঁপঝাঁড় পরিচ্ছন্ন অভিযানে নামেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো.রাকিবুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। থানা ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আজ ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরূ করেছেন। আগামীকাল থেকে আরো অধিক শ্রমিক কাজ করবে। সরাইলের শেষ সীমানা পর্যন্ত সকল ঝোঁপঝাঁড় কেটে একেবারে পরিচ্ছন্ন করা হবে। সূত্র জানায়, এক সময় সড়কটির সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার এই অংশ ছিল ডাকাত দলের অভয়ারণ্য। মাগরিবের পর সড়কটি থাকত ডাকাতদের দখলে। সন্ধ্যার পর পথচারী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলত না। পুলিশ প্রশাসনের ক্রস ফায়ারে একে একে এই সড়কে ডাকাত দলের ৬ নেতা মারা যায়। ফলে গত ৫-৬ বছর ধরে সড়কটি একেবারে নিরাপদ হয়ে যায়। সারারাত যাত্রীবাহী গাড়ি নির্বিঘ্নে চলছিল। অতিসম্প্রতি সড়কের এই অংশে আবারও ডাকাত দলের আনাগোনা শুরূ হয়েছে। ২-১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছেও।