মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
আওয়ামীলীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে পুনরায় তদন্তের দাবীতে সরাইলে দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের নেতা কর্মীরা। প্রকৃত খুনীদের বিচার দাবী করে নিরপরাধ নির্দোষ লোকদের প্রত্যাহার চেয়েছেন তারা। দাবী আদায় না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে একের পর এক কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আ’লীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে পাঁচ শতাধিক লোকের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী। বক্তব্য রাখেন-আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সরাইল সদরের (সাবেক) চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী। নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বক্তারা বলেন, ইকবাল আজাদকে হত্যা করেছে কতিপয় মাদকাসক্ত। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তৎকালীন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল লোকদের আসামী করে সরাইল আ’লীগকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছেন। বিনা অপরাধে আমরা দীর্ঘ সময় জেলে খেটেছি। বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। পুঁড়িয়ে দিয়েছে। ধন সম্পদ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদেরকে নি:স্ব করা হয়েছে। সরাইলের মানুষ আর ঘরে বসে থাকবে না। রাস্তায় নেমেছেন। দাবী আদায় করেই সবাই ঘরে ফিরবেন। মামলাটি দ্রূত প্রত্যাহার করে পুনরায় তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। দাবী আদায় না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একের পর এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিবেন। দাবী আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে কেউ বাঁধা দিলে পরিস্থিতি ভরাবহ হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত আলী বলেন, মিথ্যা মামলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জেলে পঁচতেই কি জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম? রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শেষ বয়সে আর পারছি না। মামলাটির পুন:তদন্তের ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্কক্ষেপ কামনা করেছেন। আব্দুল জব্বার ও মো. মাহফুজ আলী নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বলেন, মূলত সরাইল আওয়ামীলীগকে চিরতরে কবর দেয়ার উদ্যেশ্যেই মামলায় নিরপরাধ মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। জেলা খাটানো হয়েছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে পুনরায় তদন্তের ব্যবস্থা করতে প্রথানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। প্রসঙ্গত: ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবর দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন হন ইকবাল আজাদ। হত্যা মামলায় আসামী করা হয় আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে। দলীয় সাংগঠনিক কাজে আসে স’বিরতা। সেই স্থবিরতা কাটেনি আদেী।