ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের পরিবেশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২ ২১৭ বার পড়া হয়েছে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে যতোটা পরিশীলিত ও শাণিত করে উপস্থাপন করা গেছে তা সাহিত্যের অন্য কোনো মাধ্যমে তেমন সম্ভব কিনা জানি না
—জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেছেন,যারা সাহিত্য চর্চা ও আবৃত্তি আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকে তারা কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে নিতে হলে আবৃত্তির মতো নান্দনিক শিল্পের চর্চা বাড়াতে হবে। আজকের আবৃত্তি উৎসবে উপস্থিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের পরিবেশনা উপভোগ করে মুগ্ধ হয়েছি। এখানকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে আমি সক্রিয় থাকবো। তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের বাইরে এমন সুন্দর আবৃত্তি অনুষ্ঠান হতে পারে তা আমি ভাবতে পারিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবিতার আবৃত্তির মাধ্যমে যতোটা পরিশীলিত ও শাণিত করে উপস্থাপন করা গেছে তা সাহিত্যের অন্য কোনো মাধ্যমে তেমন সম্ভব কিনা জানি না। তিনি আরো বলেন, আমি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্বের দলীয় আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন,রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল,ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম উসমাগন গনি সজিব,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক জামিল ফুরকান,পাবলিক লাইব্রেরীর যুগ্ম-সম্পাদক মোনিনুল আলম বাবু,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক উত্তম কুমার দাস,আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিচালক শারমিন সুলতানা,সাহিত্য একাডেমীর আবৃত্তি নির্দেশক সোহেল আহাদ,ঐকতান সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক শিবলী চৌধুরী,ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র আবৃত্তি বিভাগীয় পরিচালক শেখর চৌধুরী,সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুসনতাসির। অন্যান্যের মাঝে আমন্ত্রিত হিসাবে আবৃত্তি উপভোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান,বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুগ্ম-আহবায়ক এটিএম ফয়েজুল কবীর। দলগত পরিবেশনায় অংশ নেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন,সাহিত্য একাডেমী,আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র,ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলণ কেন্দ্র,ঐকতান সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র,সোনালী সকাল। প্রতিনিধিত্ব নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবৃত্তি একাডেমী ও চেতনায়-৭১ আবৃত্তি সংগঠন। পুরো আয়োজন সঞ্চালনায় ছিলেন আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবৃত্তি একাডেমী সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শিপু ও সাহিত্য একাডেমীর নুসরাত জাহান বুশরা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি পদক-২০২০,২০২১,২০২২ প্রদান কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন। এসময় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সমন্বয়ে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলমের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৮ টি আবৃত্তি সংগঠনের ৬০ জন শিল্পী-সংগঠক জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন।