পারিবারিক কলহের জেরে সরাইলে স্বপ্না বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে স্বামীর বাড়িতেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করেছেন। তবে স্বপ্নার মায়ের অভিযোগ এক ভরি স্বর্ণের জন্য স্বামী ও তার স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্নাকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছিলেন। স্বামী বলছেন স্বপ্নাকে কোন ধরণের নির্যাতন করা হয়নি। পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, গৃহবধু স্বপ্না কসবা সদরের চরনাল এলাকার মো. হাসিম মিয়ার মেয়ে। দুই বছর আগে সরাইল সদরের উত্তর আরিফাইল গ্রামের মো. কাশেম মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক শানু মিয়ার (২৯) সাথে পরিবারের সম্মতিতেই স্বপ্নার বিয়ে হয়। তাদের রয়েছে মাইশা (৬ মাস) নামের একটি কন্যা শিশু। অন্যান্য দিনের মত গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। গভীর রাতে শিশুর কান্নার শব্দে ঘুম থেকে জেগে শানু দেখেন তার স্ত্রী বিছানায় নেই। পাশের কক্ষে গিয়ে দেখেন গলায় ওড়না পেছিয়ে ফাঁসিতে ঝুঁলছেন। স্বজনদের নিয়ে দ্রূত ফাঁসি থেকে স্বপ্নাকে নামিয়ে আনেন। এর আগেই স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে। সরাইল থানা পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। স্বপ্নার মা বানু বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের সময় নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। আবার এক ভরি স্বর্ণের জন্য আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল স্বামী ও তার স্বজনরা। ইদানিং স্বর্ণের জন্য স্বপ্নাকে শানু মিয়া মারধরও করেছে। তাদের অত্যাচার নির্যাতনের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি মামলা করব। সরাইল থানার এস আই মো. বশির আহমেদ বলেন, লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মাহবুব খান বাবুল