ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোচালক নিহত আখাউড়ায় মাজারের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল পিতা-রিমা আক্তার আর মাতা-ছাদু মিয়া!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো. সাইদুর রহমান। বয়স ২২ বছর প্রায়। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ছাদু মিয়া। মায়ের নাম রিমা আক্তার। সবকিছু ঠিক থাকলেও সাইদুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল রয়েছে। তবে ভুলের ধরণ মানুষের হাঁসির খোরাক হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট সুপার ভাইজারের সেন্স ও শিক্ষা নিয়ে। এই ভুলটি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেও কোন সুরাহা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সাইদুরের দাদা শাহেদ মিয়া (৫৬)। সাইদুর ও তার স্বজনরা জানায়, সকল নিয়ম নীতি পালন করে আবেদনের প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। আইডি কার্ড নম্বর-৯৫৮৩২১২৫৬৯। জন্ম তারিখ-২০ ফেব্রূয়ারি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ। আমরা বুঝি কম। পড়া লেখাও তেমন করতে পারিনি। পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু সেই খুশি তো আর স্থায়ী হয়নি। এখন হয়রানি ও কষ্টে আছি। সবকিছু ঠিক থাকলেও স্বাভাবিক ও সহজ বিষয়ে ভুল এসেছে। আর সেই ভুলের ধরণ দেখে লোকজন হাঁসছেন। পরিচয়পত্রে সাইদুরের পিতার নাম লিপিবদ্ধ করেছে রিমা আক্তার। আর মা-এর নাম-ছাদু মিয়া। ছাদু মিয়া মহিলা হতে পারে না। তেমনি রিমা আক্তারও কখনো পুরূষ হতে পারে না। অফিসে যারা এই কাজটুকু করেছেন তাদের কি সাধারণ কোন সেন্সও নেই? এখন আবার এই ভুল সংশোধনের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি। কোন সুরাহ হচ্ছে না। শুধু শুনতে হচ্ছে- বিলম্ব হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আসলে ভুলের ধরণ অনুসারে সংশোধন হয়ে থাকে। কাজটি কয়েক ভাগে বিভক্ত। কিছু ভুলের সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের উপর। কিছু ভুল সংশোধনের দায়িত্ব পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপর। সাইদুরের বিষয়টি পুরূষ মহিলা বুঝাই যায়। এটা বেশী জটিল নয়। আবেদন করলে দ্রূতই হয়ে যাবে।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল পিতা-রিমা আক্তার আর মাতা-ছাদু মিয়া!

আপডেট সময় : ১১:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

মো. সাইদুর রহমান। বয়স ২২ বছর প্রায়। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ছাদু মিয়া। মায়ের নাম রিমা আক্তার। সবকিছু ঠিক থাকলেও সাইদুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল রয়েছে। তবে ভুলের ধরণ মানুষের হাঁসির খোরাক হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট সুপার ভাইজারের সেন্স ও শিক্ষা নিয়ে। এই ভুলটি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেও কোন সুরাহা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সাইদুরের দাদা শাহেদ মিয়া (৫৬)। সাইদুর ও তার স্বজনরা জানায়, সকল নিয়ম নীতি পালন করে আবেদনের প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। আইডি কার্ড নম্বর-৯৫৮৩২১২৫৬৯। জন্ম তারিখ-২০ ফেব্রূয়ারি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ। আমরা বুঝি কম। পড়া লেখাও তেমন করতে পারিনি। পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু সেই খুশি তো আর স্থায়ী হয়নি। এখন হয়রানি ও কষ্টে আছি। সবকিছু ঠিক থাকলেও স্বাভাবিক ও সহজ বিষয়ে ভুল এসেছে। আর সেই ভুলের ধরণ দেখে লোকজন হাঁসছেন। পরিচয়পত্রে সাইদুরের পিতার নাম লিপিবদ্ধ করেছে রিমা আক্তার। আর মা-এর নাম-ছাদু মিয়া। ছাদু মিয়া মহিলা হতে পারে না। তেমনি রিমা আক্তারও কখনো পুরূষ হতে পারে না। অফিসে যারা এই কাজটুকু করেছেন তাদের কি সাধারণ কোন সেন্সও নেই? এখন আবার এই ভুল সংশোধনের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি। কোন সুরাহ হচ্ছে না। শুধু শুনতে হচ্ছে- বিলম্ব হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আসলে ভুলের ধরণ অনুসারে সংশোধন হয়ে থাকে। কাজটি কয়েক ভাগে বিভক্ত। কিছু ভুলের সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের উপর। কিছু ভুল সংশোধনের দায়িত্ব পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপর। সাইদুরের বিষয়টি পুরূষ মহিলা বুঝাই যায়। এটা বেশী জটিল নয়। আবেদন করলে দ্রূতই হয়ে যাবে।

মাহবুব খান বাবুল