Dhaka 7:17 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল পিতা-রিমা আক্তার আর মাতা-ছাদু মিয়া!

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:54:25 am, Monday, 28 March 2022
  • 232 Time View

মো. সাইদুর রহমান। বয়স ২২ বছর প্রায়। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ছাদু মিয়া। মায়ের নাম রিমা আক্তার। সবকিছু ঠিক থাকলেও সাইদুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল রয়েছে। তবে ভুলের ধরণ মানুষের হাঁসির খোরাক হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট সুপার ভাইজারের সেন্স ও শিক্ষা নিয়ে। এই ভুলটি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেও কোন সুরাহা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সাইদুরের দাদা শাহেদ মিয়া (৫৬)। সাইদুর ও তার স্বজনরা জানায়, সকল নিয়ম নীতি পালন করে আবেদনের প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। আইডি কার্ড নম্বর-৯৫৮৩২১২৫৬৯। জন্ম তারিখ-২০ ফেব্রূয়ারি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ। আমরা বুঝি কম। পড়া লেখাও তেমন করতে পারিনি। পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু সেই খুশি তো আর স্থায়ী হয়নি। এখন হয়রানি ও কষ্টে আছি। সবকিছু ঠিক থাকলেও স্বাভাবিক ও সহজ বিষয়ে ভুল এসেছে। আর সেই ভুলের ধরণ দেখে লোকজন হাঁসছেন। পরিচয়পত্রে সাইদুরের পিতার নাম লিপিবদ্ধ করেছে রিমা আক্তার। আর মা-এর নাম-ছাদু মিয়া। ছাদু মিয়া মহিলা হতে পারে না। তেমনি রিমা আক্তারও কখনো পুরূষ হতে পারে না। অফিসে যারা এই কাজটুকু করেছেন তাদের কি সাধারণ কোন সেন্সও নেই? এখন আবার এই ভুল সংশোধনের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি। কোন সুরাহ হচ্ছে না। শুধু শুনতে হচ্ছে- বিলম্ব হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আসলে ভুলের ধরণ অনুসারে সংশোধন হয়ে থাকে। কাজটি কয়েক ভাগে বিভক্ত। কিছু ভুলের সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের উপর। কিছু ভুল সংশোধনের দায়িত্ব পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপর। সাইদুরের বিষয়টি পুরূষ মহিলা বুঝাই যায়। এটা বেশী জটিল নয়। আবেদন করলে দ্রূতই হয়ে যাবে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল পিতা-রিমা আক্তার আর মাতা-ছাদু মিয়া!

Update Time : 11:54:25 am, Monday, 28 March 2022

মো. সাইদুর রহমান। বয়স ২২ বছর প্রায়। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ছাদু মিয়া। মায়ের নাম রিমা আক্তার। সবকিছু ঠিক থাকলেও সাইদুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল রয়েছে। তবে ভুলের ধরণ মানুষের হাঁসির খোরাক হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট সুপার ভাইজারের সেন্স ও শিক্ষা নিয়ে। এই ভুলটি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেও কোন সুরাহা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সাইদুরের দাদা শাহেদ মিয়া (৫৬)। সাইদুর ও তার স্বজনরা জানায়, সকল নিয়ম নীতি পালন করে আবেদনের প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। আইডি কার্ড নম্বর-৯৫৮৩২১২৫৬৯। জন্ম তারিখ-২০ ফেব্রূয়ারি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ। আমরা বুঝি কম। পড়া লেখাও তেমন করতে পারিনি। পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু সেই খুশি তো আর স্থায়ী হয়নি। এখন হয়রানি ও কষ্টে আছি। সবকিছু ঠিক থাকলেও স্বাভাবিক ও সহজ বিষয়ে ভুল এসেছে। আর সেই ভুলের ধরণ দেখে লোকজন হাঁসছেন। পরিচয়পত্রে সাইদুরের পিতার নাম লিপিবদ্ধ করেছে রিমা আক্তার। আর মা-এর নাম-ছাদু মিয়া। ছাদু মিয়া মহিলা হতে পারে না। তেমনি রিমা আক্তারও কখনো পুরূষ হতে পারে না। অফিসে যারা এই কাজটুকু করেছেন তাদের কি সাধারণ কোন সেন্সও নেই? এখন আবার এই ভুল সংশোধনের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচন অফিসে ঘুরছি। কোন সুরাহ হচ্ছে না। শুধু শুনতে হচ্ছে- বিলম্ব হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আসলে ভুলের ধরণ অনুসারে সংশোধন হয়ে থাকে। কাজটি কয়েক ভাগে বিভক্ত। কিছু ভুলের সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসারের উপর। কিছু ভুল সংশোধনের দায়িত্ব পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপর। সাইদুরের বিষয়টি পুরূষ মহিলা বুঝাই যায়। এটা বেশী জটিল নয়। আবেদন করলে দ্রূতই হয়ে যাবে।

মাহবুব খান বাবুল