Dhaka 10:48 am, Wednesday, 16 October 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত তরী বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জনস্বার্থে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রী হারুন আল রশিদকে ফুলেল শুভেচ্ছা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবসে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নারী ও যুব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন প্রাইম বাংলা নিউজ: জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের

গণশৌচাগার দখল করে দোকান দিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:57:30 pm, Thursday, 3 March 2022
  • 214 Time View

গণশৌচাগারের (টয়লেট) সামনে দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আমিনপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ ওই দোকানে কনফেকশনারি চালু করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আমিনপুর গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের জায়গায় সমন্বয় করে পৌরসভা একটি গণশৌচাগার তৈরি করে। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণশৌচাগারটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এর কয়েক বছর পর গণশৌচাগারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। গত পৌর নির্বাচনে ৭নং কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করেন ফারুক মিয়া। গণশৌচাগারের ঠিক পাশে জেলা পরিষদের মার্কেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার নিজস্ব কার্যালয়। ফারুক মিয়া জয়লাভ করার পর তার নিজ গ্রামের কোরবান মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পৌরসভার মালিকানাধীন গণশৌচাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোরবান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গণশৌচাগারটি কিছুটা সংস্কার করা হয়। কিন্তু ইজারাদার গণশৌচাগারটির আকৃতি বদল করেন। এসময় গণশৌচাগারের সামনে তাকে একটি দোকান তৈরি করার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর ফারুক মিয়া। জেলা পরিষদের মালিকাধীন জায়গায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়। দোকানটি মাসিক ১৫০০/-টাকার মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় গণশৌচাগারের ইজারাদার কোরবান মিয়ার কাছে। এই বিষয়ে কোরবান মিয়া বলেন, আমার কাছে গণশৌচাগারটি হস্তান্তর করার পর তা সংস্কার করেছি। আগে অনেক অপরিষ্কার ছিল। সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এই দোকানটি কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়ের নির্দেশে আমি তৈরি করেছি। দোকানটির কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়েরই। তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া বলেন, ‘কোরবান মিয়ার কথা সঠিক নয়। সে বসতে পারে না বলে দোকান তৈরি করেছে।’এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না, তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রজব আলী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমিনপুরের এই দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় গণশৌচাগারটি তৈরি করা আছে। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় পরিষ্কার করতে বলেছি। আমরা কাউকে দোকান নির্মাণ করতে বলিনি।

এনই আকন্ঞ্জি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

গণশৌচাগার দখল করে দোকান দিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর

Update Time : 07:57:30 pm, Thursday, 3 March 2022

গণশৌচাগারের (টয়লেট) সামনে দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আমিনপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ ওই দোকানে কনফেকশনারি চালু করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আমিনপুর গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের জায়গায় সমন্বয় করে পৌরসভা একটি গণশৌচাগার তৈরি করে। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণশৌচাগারটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এর কয়েক বছর পর গণশৌচাগারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। গত পৌর নির্বাচনে ৭নং কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করেন ফারুক মিয়া। গণশৌচাগারের ঠিক পাশে জেলা পরিষদের মার্কেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার নিজস্ব কার্যালয়। ফারুক মিয়া জয়লাভ করার পর তার নিজ গ্রামের কোরবান মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পৌরসভার মালিকানাধীন গণশৌচাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোরবান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গণশৌচাগারটি কিছুটা সংস্কার করা হয়। কিন্তু ইজারাদার গণশৌচাগারটির আকৃতি বদল করেন। এসময় গণশৌচাগারের সামনে তাকে একটি দোকান তৈরি করার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর ফারুক মিয়া। জেলা পরিষদের মালিকাধীন জায়গায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়। দোকানটি মাসিক ১৫০০/-টাকার মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় গণশৌচাগারের ইজারাদার কোরবান মিয়ার কাছে। এই বিষয়ে কোরবান মিয়া বলেন, আমার কাছে গণশৌচাগারটি হস্তান্তর করার পর তা সংস্কার করেছি। আগে অনেক অপরিষ্কার ছিল। সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এই দোকানটি কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়ের নির্দেশে আমি তৈরি করেছি। দোকানটির কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়েরই। তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া বলেন, ‘কোরবান মিয়ার কথা সঠিক নয়। সে বসতে পারে না বলে দোকান তৈরি করেছে।’এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না, তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রজব আলী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমিনপুরের এই দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় গণশৌচাগারটি তৈরি করা আছে। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় পরিষ্কার করতে বলেছি। আমরা কাউকে দোকান নির্মাণ করতে বলিনি।

এনই আকন্ঞ্জি