Dhaka ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

কর্মস্থলে নেই ৮ মাস ৪ শোকজ, ১টিরও জবাব দেননি ডা: ফৌজিয়া!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৩ Time View

sarail pic(fowjia chember) 29.12==1

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

গাইনি কনসালটেন্ট ডা: ফৌজিয়া আখতার। লোক মারফত পত্র পাঠিয়ে ৮ মাস আগে যোগদান করেছিলেন সরাইল হাসপাতালে। এরপর কর্মস্থলে লাপাত্তা। জেলা শহরে বসবাস করলেও সরাইলের কর্মস্থলে আসেননি একদিনও। চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা ঘুরছেন প্রতিদিন। আর হ্যাঁ হুঁতাশ করছেন। বন্ধ হয়ে আছে গর্ভবতি মহিলাদের ওটি টি। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দীর্ঘ সময় অনুপসি’তির কারণে এ পর্যন্ত ডা: ফৌজিয়াকে ৪ বার শোকজ করেছেন কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শোকজ করেছেন গত ২২ ডিসেম্বর। এক মাস আগে সিভিল সার্জন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও এখনো নীরব তিনারা। চিকিৎসা বঞ্চিত ভুক্তভোগিদের আকুতি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জেলার বড় কর্তা ও জনৈক স্বাচিপ নেতাকে বাগে নিয়েই ডা: ফৌজিয়ার দাপুটের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি চাউর হচ্ছে গোটা সরাইলে। তবে জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করছেন নিয়মিত। উনার বিরূদ্ধে আবারও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। অনুসন্ধানে, হাসপাতাল ও ভুক্তভোগি সূত্র জানায়, গাইনি কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় ৪/৫ বছর বন্ধ ছিল কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গর্ভবতি মহিলাদের ওটি। বছর দিন আগে সমস্যা সমাধান হলে আবার চালু হয় ওটি। স্থানীয় অসহায় দরিদ্র মহিলারা স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে পিছু ছাড়ছে না সরাইলবাসীর। বছর দিন পর সেই হাঁসি হারিয়ে যায়। চিকিৎসক সমস্যায় আবারও বন্ধ হয়ে যায় ওটি। মাঝখানে একজন গাইনি কনসালটেন্ট আসলেও উনার ক্ষমতার দাপুটের কাছেও হেরে যায় সরাইল। অবশেষে গত ২৮ এপ্রিল লোক মারফত পত্র পাঠিয়ে সরাইল হাসপাতালে যোগদান করেন গাইনি কনসালটেন্ট ডা: ফৌজিয়া আখতার। এখানেই শেষ উনার সেবা। গত ৮ মাসে তিনি এক দিনও হাসপাতালে আসেননি। অফিসের হাজিরা খাতায় এখনো নাম ওঠেনি উনার। এখনো উনাকে চোখে দেখেননি হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী। সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সরাইলের শতশত নারী রোগী। অনুমতি বা কারণ ছাড়া কর্মস্থলে লাগামহীন অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সরাইল হাসপাতালের ইউএইচও ডা: ফৌজিয়াকে তিনবার শোকজ করেছেন। একটি শোকজেরও জবাব দেননি তিনি। উল্টো তিনি দাপুটে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন প্রতিদিন। সিভিল সার্জন ও স্বাচিপ নেতাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও কোন সুরাহা বা ব্যবস্থা গ্রহণের রক্ষণ নেই ৮ মাস ধরে। পদটি শুন্য না হওয়া পর্যন্ত আরেকজন চিকিৎসকও পাচ্ছে না হাসপাতাল। সরাইল উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. জাকির খান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন মিল্লাত বলেন, একাধিকবার নিজের স্ত্রী নিয়ে গিয়ে ফিরে এসেছি। নারীরা চিকিৎসক না পেয়ে সরকারকে গালমন্দ করছেন। উনার সমস্যা থাকলে পদটি ছেড়ে দিলেই পারেন। এভাবে সরাইলের মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার বিকাল ২টা ৩৮ মিনিটে ডা: ফৌজিয়া আখতারকে মুঠোফোন (০১৭২০-৯৯০৩৪৩) ফোন দিয়ে ছালাম দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্র কিছু না বলেই লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে আরো একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, ডা: ফৌজিয়ার যোগদান পত্রটি জমা দিয়েছিলেন লোক মারফত। ৮ মাসের মধ্যে একদিনও তিনি হাসপাতালে আসেননি। ওটি টি বন্ধ হয়ে আছে। প্রতিদিনই মহিলা রোগীরা ঘুরে যাচ্ছে। ৪ বার শোকজ করেছি। একটিরও জবাব দেননি তিনি। জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো. একরাম উল্লাহ ডা: ফৌজিয়ার লাগামহীন অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, শোকজের পর এখন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার পক্রিয়া চলছে। পদটি শুন্য না হলে কোন গাইনি চিকিৎসকও দেয়া যাচ্ছে না। সরাইলের মানুষের সেবার চিন্তা মাথায় রেখে বিধি মোতাবেক কাজ করছি। সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, এই বিষয়ে জেলার দুই সমন্বয় সভায় সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য দিয়েছি। আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন’ আজ পর্যন্ত কোন সুফল পাইনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

কর্মস্থলে নেই ৮ মাস ৪ শোকজ, ১টিরও জবাব দেননি ডা: ফৌজিয়া!

Update Time : ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

গাইনি কনসালটেন্ট ডা: ফৌজিয়া আখতার। লোক মারফত পত্র পাঠিয়ে ৮ মাস আগে যোগদান করেছিলেন সরাইল হাসপাতালে। এরপর কর্মস্থলে লাপাত্তা। জেলা শহরে বসবাস করলেও সরাইলের কর্মস্থলে আসেননি একদিনও। চিকিৎসা বঞ্চিত রোগীরা ঘুরছেন প্রতিদিন। আর হ্যাঁ হুঁতাশ করছেন। বন্ধ হয়ে আছে গর্ভবতি মহিলাদের ওটি টি। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দীর্ঘ সময় অনুপসি’তির কারণে এ পর্যন্ত ডা: ফৌজিয়াকে ৪ বার শোকজ করেছেন কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শোকজ করেছেন গত ২২ ডিসেম্বর। এক মাস আগে সিভিল সার্জন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও এখনো নীরব তিনারা। চিকিৎসা বঞ্চিত ভুক্তভোগিদের আকুতি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জেলার বড় কর্তা ও জনৈক স্বাচিপ নেতাকে বাগে নিয়েই ডা: ফৌজিয়ার দাপুটের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি চাউর হচ্ছে গোটা সরাইলে। তবে জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করছেন নিয়মিত। উনার বিরূদ্ধে আবারও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। অনুসন্ধানে, হাসপাতাল ও ভুক্তভোগি সূত্র জানায়, গাইনি কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় ৪/৫ বছর বন্ধ ছিল কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গর্ভবতি মহিলাদের ওটি। বছর দিন আগে সমস্যা সমাধান হলে আবার চালু হয় ওটি। স্থানীয় অসহায় দরিদ্র মহিলারা স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে পিছু ছাড়ছে না সরাইলবাসীর। বছর দিন পর সেই হাঁসি হারিয়ে যায়। চিকিৎসক সমস্যায় আবারও বন্ধ হয়ে যায় ওটি। মাঝখানে একজন গাইনি কনসালটেন্ট আসলেও উনার ক্ষমতার দাপুটের কাছেও হেরে যায় সরাইল। অবশেষে গত ২৮ এপ্রিল লোক মারফত পত্র পাঠিয়ে সরাইল হাসপাতালে যোগদান করেন গাইনি কনসালটেন্ট ডা: ফৌজিয়া আখতার। এখানেই শেষ উনার সেবা। গত ৮ মাসে তিনি এক দিনও হাসপাতালে আসেননি। অফিসের হাজিরা খাতায় এখনো নাম ওঠেনি উনার। এখনো উনাকে চোখে দেখেননি হাসপাতালের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী। সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সরাইলের শতশত নারী রোগী। অনুমতি বা কারণ ছাড়া কর্মস্থলে লাগামহীন অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সরাইল হাসপাতালের ইউএইচও ডা: ফৌজিয়াকে তিনবার শোকজ করেছেন। একটি শোকজেরও জবাব দেননি তিনি। উল্টো তিনি দাপুটে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন প্রতিদিন। সিভিল সার্জন ও স্বাচিপ নেতাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও কোন সুরাহা বা ব্যবস্থা গ্রহণের রক্ষণ নেই ৮ মাস ধরে। পদটি শুন্য না হওয়া পর্যন্ত আরেকজন চিকিৎসকও পাচ্ছে না হাসপাতাল। সরাইল উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. জাকির খান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন মিল্লাত বলেন, একাধিকবার নিজের স্ত্রী নিয়ে গিয়ে ফিরে এসেছি। নারীরা চিকিৎসক না পেয়ে সরকারকে গালমন্দ করছেন। উনার সমস্যা থাকলে পদটি ছেড়ে দিলেই পারেন। এভাবে সরাইলের মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার বিকাল ২টা ৩৮ মিনিটে ডা: ফৌজিয়া আখতারকে মুঠোফোন (০১৭২০-৯৯০৩৪৩) ফোন দিয়ে ছালাম দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্র কিছু না বলেই লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে আরো একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, ডা: ফৌজিয়ার যোগদান পত্রটি জমা দিয়েছিলেন লোক মারফত। ৮ মাসের মধ্যে একদিনও তিনি হাসপাতালে আসেননি। ওটি টি বন্ধ হয়ে আছে। প্রতিদিনই মহিলা রোগীরা ঘুরে যাচ্ছে। ৪ বার শোকজ করেছি। একটিরও জবাব দেননি তিনি। জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো. একরাম উল্লাহ ডা: ফৌজিয়ার লাগামহীন অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, শোকজের পর এখন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার পক্রিয়া চলছে। পদটি শুন্য না হলে কোন গাইনি চিকিৎসকও দেয়া যাচ্ছে না। সরাইলের মানুষের সেবার চিন্তা মাথায় রেখে বিধি মোতাবেক কাজ করছি। সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, এই বিষয়ে জেলার দুই সমন্বয় সভায় সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য দিয়েছি। আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন’ আজ পর্যন্ত কোন সুফল পাইনি।