ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহবাজপুরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আলামিনকে সিটিএল’এর অনুদান শুভসংঘের আয়োজন সবজি দেখে শিক্ষার্থীরা লিখলো খাতায় বাঁচার আকুতি বিরল রোগে আক্রান্ত আলামিনের’ বিজয়নগরে ভোরের দর্পণ পত্রিকার বর্ষপূর্তি উদযাপন সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৮ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ২ মাসে ৩১ ট্রান্সফরমার চুরি

একমাস ধরে ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিশু শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষক মুহিদ মিয়া

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইলের বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়া (৪৫) কতৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার গতকাল বৃহস্পতিবার এক মাস হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিক্ষার্থী। গা ঢাকা দিয়েছেন মুহিদ মিয়া । আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় আছেন শিশুর অভিভাবকরা। বাদীকে মেডিকেল রিপোর্টের কপি আদালত থেকে উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিস বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। বাদীর স্বজন ও বাবার কাছে কিছু লোক বিষয়টি আফোস রফার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তবে শিশুর প্রবাসী পিতা মাতা আপোষে রাজি নয়। তারা আইনি পক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাদী। মামলার বাদী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষক কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনার আজ ৩০ দিন। কারণ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ে একা পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার বিরূদ্ধে সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর মামা। ঘটনার পর থেকে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এরপর বাড়িতে আসলেও লজ্জায় বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে যাচ্ছে না ওই ছাত্রী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিশুটিকে বিদ্যালয়মূখী করার কোন চেষ্টা করছেন না। ওদিকে দেখতে দেখতে ঘটনার পর চলে গেছে এক মাস। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মুহিদ মিয়া। বাদী ও তার স্বজনরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরণা দিয়েও সংগ্রহ করতে পারছেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম মেডিকেল রিপোর্ট টি আদালত থেকে উত্তোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্ষিত শিশুর মামা মামীসহ স্বজনরা, এখনো পর্যন্ত আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো মেডিকেল রিপোর্ট পাইনি। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রূতই সুফল পাব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজীজ বলেন, ঘটনার পরই আমরা জেলার কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) আবারও সবকিছু কোয়ারি করে ওই শিক্ষকের বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

একমাস ধরে ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিশু শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইলের বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়া (৪৫) কতৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার গতকাল বৃহস্পতিবার এক মাস হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিক্ষার্থী। গা ঢাকা দিয়েছেন মুহিদ মিয়া । আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় আছেন শিশুর অভিভাবকরা। বাদীকে মেডিকেল রিপোর্টের কপি আদালত থেকে উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিস বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। বাদীর স্বজন ও বাবার কাছে কিছু লোক বিষয়টি আফোস রফার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তবে শিশুর প্রবাসী পিতা মাতা আপোষে রাজি নয়। তারা আইনি পক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাদী। মামলার বাদী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষক কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনার আজ ৩০ দিন। কারণ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ে একা পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার বিরূদ্ধে সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর মামা। ঘটনার পর থেকে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এরপর বাড়িতে আসলেও লজ্জায় বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে যাচ্ছে না ওই ছাত্রী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিশুটিকে বিদ্যালয়মূখী করার কোন চেষ্টা করছেন না। ওদিকে দেখতে দেখতে ঘটনার পর চলে গেছে এক মাস। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মুহিদ মিয়া। বাদী ও তার স্বজনরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরণা দিয়েও সংগ্রহ করতে পারছেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম মেডিকেল রিপোর্ট টি আদালত থেকে উত্তোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্ষিত শিশুর মামা মামীসহ স্বজনরা, এখনো পর্যন্ত আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো মেডিকেল রিপোর্ট পাইনি। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রূতই সুফল পাব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজীজ বলেন, ঘটনার পরই আমরা জেলার কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) আবারও সবকিছু কোয়ারি করে ওই শিক্ষকের বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখেছি।