আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজঘর গ্রামের কাজল মিয়ার পরিবার

- আপডেট সময় : ১২:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে
এবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হল কাজল মিয়া। থানা ও আদালতে অভিযোগ করে, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেও পরিত্রাণ পাচ্ছে না চলাচলের রাস্তায় বেড়া নির্মাণের ফলে অবরুদ্ধ কাজল মিয়ার পরিবার
কাজল মিয়ার বাড়ির পেছনে পুকুর ঘেঁষা হাঁটা চলার জন্য প্রায় দুই ফুট একটি প্রশস্ত রাস্তা গ্রামের মূল সড়কের সাথে গিয়ে মিশেছে। বছরখানেক যাবত প্রতিবেশী মৃত নাজির হোসেনের ছেলে মাহবুব শরীফ ও তার স্ত্রী রনি আক্তার, শাহজালালের স্ত্রী তানজিনা আক্তার সুমি, তাদের ছেলে আদিব মিয়ার সাথে চলাচলের এই রাস্তা নিয়ে নানা ঝামেলা চলছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাজঘর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে কাজল মিয়ার।
কিছুদিন পূর্বে এই সড়কে যাওয়ার আগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখার ফলে সপ্তাহ যাবত নিজের চিকিৎসাসহ পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলেন না তারা। স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী হাওয়ায় সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান হচ্ছিল না। মাহবুব শরীফ গং রাস্তা ব্যবহারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবিসহ কাজল মিয়াকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। একবার তাকে লোহার রড দিয়ে মেরে মারাত্মক আঘাত করাও হয়েছে।
আসামিদের অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয় ৫৩ বছর বয়সী কাজল মিয়াকে। এসব ঘটনায় অসহায় কাজল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৭ ধারায় পি-১০৬/২৫ইং মামলা দায়ের করে এবং পরবর্তীতে আবার আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) ২০০৪ইং সংশোধনী/১ এর ৪/৫ ধারা আরেকটি মামলা দায়ের করে।
মামলা সংক্রান্ত কাজে গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসলে আসামি জয়নাল মিয়া (৬০), পিতা- মৃত আঃ হাশিম, লিটন মিয়া (৪২), পিতা- আব্দুল ওয়াহেদ, মাহবুব শরীফ (৪০), পিতা- মৃত নাজির হোসেন, রাইহান (৩৩), পিতা- মৃত জলিল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে কাজল মিয়ার হামলা করে। তারা কাজল মিয়াকে অপহরণ করিয়া নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আশেপাশে লোকজন থাকায় আসামিগণ তাকে অপহরণ করতে ব্যর্থ হয়ে কাজল মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আসামীরা তাকে সুযোগমতো পেলে তাকে প্রাণে মেরে, গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিতে দিতে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে কাজল মিয়া ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিস্তৃত এলাকায় আসামিদের এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে শঙ্কিত হয় উপস্থিত জনগণ। তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতি অনুরোধ জানায়।