ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্বার; আটক শিক্ষক বায়েজিদ

- আপডেট সময় : ১০:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২ ১৪১ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পুকুর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠের পাশে পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিপা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার শাহানুর ইসলামের মেয়ে আশিফা জাহান শিপা (১৭)। গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। স্থানীয়রা জানায়, মুন্সেফপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন শাহানুর ইসলাম। শনিবার দুপুরে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শিপা। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি স্বজনরা। আজ রোববার দুপুরে অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠের পাশে পুকুরে শিপার রক্তাক্ত লাশ দেখে স্বজনদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শিপা হত্যায় পূর্বের পরিচিত শিক্ষক বায়েজিদ মিয়াকে দায়ী করেছেন স্বজনরা। তিনি প্রায়ই শিপাকে বাজে মন্তব্য করতেন বলে জানিয়েছেন তারা। তার শাস্তিও দাবি করেছেন শিপার পরিবারের লোকজন। শিপার চাচা সবুজ মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয় শিপা। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। পরে শিক্ষক বায়েজিদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলি। তার কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়। বারবার আমাদের পুকুর পাড়ের আশপাশে আসতে বলেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বোর্ডিং মাঠের পাশ থেকে শিপার লাশ উদ্ধার করা হয়। বায়েজিদই আমার ভাতিজিকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। সহপাঠী জানিয়া আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অন্য মনস্ক ছিল শিপা। কারো কাছে কিছুই বলত না। যদি কেউ তাকে হত্যা করে থাকে তাহলে আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস আই মো. লেবু মিয়া বলেন, দুপুরে জেলা শহরের অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠের পাশের পুকুরে সাঁতার কাটছিল বেশকিছু শিশু। এ সময় শিপার লাশ তাদের পায়ে লাগে। পরে স্থানীয়দের বললে ৯৯৯-এ কল করা হয়। এরপর লাশটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক বায়েজিদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন।