Dhaka 12:36 am, Wednesday, 8 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

সরাইলে ১০ সহস্রাধিক হেক্টর বোরো জমি চাষ অনিশ্চিত কৃষকের চোখে জল!

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:57:47 pm, Tuesday, 1 February 2022
  • 236 Time View

সেচ সংকটে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সরাইলে ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ। চাষের ভরা মৌসম চলে যাচ্ছে এখনো খালে আসেনি সবুজ প্রকল্পের পানি। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক উন্নয়নের কাজের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত খালটি। সড়কের পাশে পানির ড্রেন করার কথা থাকলেও শুরূতে এ বিষয়ে চিন্তাই করেননি ঠিকাদার। প্রয়োজনে কখনো খালের মাঝখানে দেয়া হচ্ছে বাঁধ। সবুজের পানি আসছে আসবে বলে শুধু কালক্ষেপণ করছে কর্তৃপক্ষ। সরাইলের জাফর খালে চড়ছে গরূ ছাগল। বোরো চাষ না করতে পারার কষ্টে কাঁদছেন কৃষকরা। সরজমিন ঘুরে বিএডিসি, ইউএনও’র কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি’র সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে সরাইল এলাকার ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে ভাল ধান উৎপাদন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের ফলে ওই প্রবাহের খালটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জমি চাষের মাস খানেক পরই খালে পানির প্রবাহ একেবারে কমে গিয়েছিল। তখন চাষকৃত জমি গুলি পানির অভাবে ফেঁটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। পানির দাবীতে আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কৃষকরা। শেষ রক্ষা হয়নি। আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান চাষে ক্ষতির ঘানি টেনেছেন কৃষকরা। আর এ বছর অবস্থা আরো খারাপ। নির্ধারিত মৌসমের এক মাস পরও সবুজের পানি ছাড়তে পারছেন না বিএডিসি। কারণ পানি প্রবাহের খালটি বন্ধ। এক্সেবেটর দিয়ে মাটি কেটে পানি আনার চেষ্টা করছেন বিএডিসি।

পানির জন্য অপেক্ষা করছেন সরাইলের কৃষকরা। বীজতলা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তো আসছে না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বরিং করে গভীর নলকূপ বসিয়েছেন। ডিজেল দিয়ে পানি সেচ করে কিছু জমি চাষ হচ্ছে। তবে খরচ বেশী হওয়ায় বোরো চাষে নিরূৎসাহিত হচ্ছে অধিকাংশ কৃষক। অনেকে পানি না পাওয়ায় দু:খ করে চোখের জল ছেড়ে দিচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটার জুড়ে চার লেন উন্নয়নের কাজ চলছে। মোট ব্যয় বরাদ্ধ হচ্ছে ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ কাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের পাশের খালটি ভরাট হয়ে গেছে। কাজ শুরূর আগে ৩৫-৪০ ফুট প্রস্থের খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। বর্তমানে অনেক ওই খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর। অগণিত জায়গায় প্রবাহের দিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খালের গভীরতাও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রকল্পের পানি ছাড়ছেন না বিএডিসি। এসব কারণে আশুগঞ্জ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) আওতায় সরাইল উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষ অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সবুজের পানি মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে প্রথমে জাফর খালে প্রবাহিত হতো। জাফর খাল থেকে বোয়ালিয়া, লাহুর, নাইজুর, বুড্ডা ও উত্তর এলাকার খাল হয়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কালিকচ্ছ, পানিশ্বর, নোয়াগাঁও, চুন্টা, শাহবাজপুর এলাকার ১০ সহস্রাধিক হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতো। এ সময় খাল গুলি পানিতে টুইটুম্বুর থাকত। আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে ২০-২২ হাজার কৃষক এ চাষাবাদ করে আসছেন গত ৪০-৪২ বছর ধরে। সাধারণত বছরের প্রথম দিকেই এ প্রকল্পের পানি প্রবাহ শুরূ হয়। কিন’ এ বছর জানুয়ারি মাস চলে গেছে। এখনো সবুজ প্রকল্পের পানি ছাড়তে পারেনি বিএডিসি। জাফর খালের তলদেশ শুকিয়ে আছে। একাধিক জায়গায় অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে উচুঁ বাধ দিয়েছেন। যে সময়ে বোরো ধানের সবুজ পাতা বাতাসে দোলত। কৃষক জমিতে বসে আগাছা পরিস্কার করত। হুইটার দিত। সেই সময়ে সরাইলের জমি গুলোতে ধূঁলো উড়ছে। খাঁ খাঁ করছে জমির মাটি। কৃষকরা জমির আইল দিয়ে হাঁটছে আর আফসোস করছে। ইসলামাবাদ গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া (৬২), শাহবাজপুর দীঘিরপাড়ের কৃষক ওমেদ আলী (৬৫) ও ইউনুছ মিয়া (৪২) আক্ষেপ করে বলেন, সময় চলে যাচ্ছে। পানি নেই। এক মাস ধরে শুধু পানি আসবে শুনছি। লাখ লাখ কানি জমি চাষ হচ্ছে না। এখন চাষ করলেও ফলন ভাল হবে না। এখানকার কৃষকরা শেষ। কেউ এ বিষয়ে কথা বলছেন না। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় বলেন, দেড় মাস চলে গেছে। সরাইলের বোরো উৎপাদন শেষ। বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেছে স্থানীয় কৃষকদের। আজ জেলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার একটি স্বারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রূবায়েত ফয়সাল আল-মাছুম এখন পর্যন্ত পানি না দিতে পারার কথা স্বীকার করে বলেন, ফোর লেনের কাজ করতে সবুজ প্রকল্পের পানি প্রবাহের খালটি একেবারে বন্ধই করে দিয়েছেন ঠিকাদার। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় ১১.৬০ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য ৫ মিটার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এক্সেবেটর দিয়ে খালের মাটি তুলছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পানি পাবে কৃষকরা। তবে গতি কম থাকবে। আগামী বছর সড়কের পাশে ৪.৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫ মিটার হাইটে আরসিসি ক্যানেল করা হবে। আবার সাব-ক্যানেলও হবে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

সরাইলে ১০ সহস্রাধিক হেক্টর বোরো জমি চাষ অনিশ্চিত কৃষকের চোখে জল!

Update Time : 10:57:47 pm, Tuesday, 1 February 2022

সেচ সংকটে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সরাইলে ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ। চাষের ভরা মৌসম চলে যাচ্ছে এখনো খালে আসেনি সবুজ প্রকল্পের পানি। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক উন্নয়নের কাজের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত খালটি। সড়কের পাশে পানির ড্রেন করার কথা থাকলেও শুরূতে এ বিষয়ে চিন্তাই করেননি ঠিকাদার। প্রয়োজনে কখনো খালের মাঝখানে দেয়া হচ্ছে বাঁধ। সবুজের পানি আসছে আসবে বলে শুধু কালক্ষেপণ করছে কর্তৃপক্ষ। সরাইলের জাফর খালে চড়ছে গরূ ছাগল। বোরো চাষ না করতে পারার কষ্টে কাঁদছেন কৃষকরা। সরজমিন ঘুরে বিএডিসি, ইউএনও’র কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি’র সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে সরাইল এলাকার ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে ভাল ধান উৎপাদন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের ফলে ওই প্রবাহের খালটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জমি চাষের মাস খানেক পরই খালে পানির প্রবাহ একেবারে কমে গিয়েছিল। তখন চাষকৃত জমি গুলি পানির অভাবে ফেঁটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। পানির দাবীতে আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কৃষকরা। শেষ রক্ষা হয়নি। আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান চাষে ক্ষতির ঘানি টেনেছেন কৃষকরা। আর এ বছর অবস্থা আরো খারাপ। নির্ধারিত মৌসমের এক মাস পরও সবুজের পানি ছাড়তে পারছেন না বিএডিসি। কারণ পানি প্রবাহের খালটি বন্ধ। এক্সেবেটর দিয়ে মাটি কেটে পানি আনার চেষ্টা করছেন বিএডিসি।

পানির জন্য অপেক্ষা করছেন সরাইলের কৃষকরা। বীজতলা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তো আসছে না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বরিং করে গভীর নলকূপ বসিয়েছেন। ডিজেল দিয়ে পানি সেচ করে কিছু জমি চাষ হচ্ছে। তবে খরচ বেশী হওয়ায় বোরো চাষে নিরূৎসাহিত হচ্ছে অধিকাংশ কৃষক। অনেকে পানি না পাওয়ায় দু:খ করে চোখের জল ছেড়ে দিচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটার জুড়ে চার লেন উন্নয়নের কাজ চলছে। মোট ব্যয় বরাদ্ধ হচ্ছে ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ কাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের পাশের খালটি ভরাট হয়ে গেছে। কাজ শুরূর আগে ৩৫-৪০ ফুট প্রস্থের খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। বর্তমানে অনেক ওই খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর। অগণিত জায়গায় প্রবাহের দিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খালের গভীরতাও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রকল্পের পানি ছাড়ছেন না বিএডিসি। এসব কারণে আশুগঞ্জ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) আওতায় সরাইল উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষ অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সবুজের পানি মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে প্রথমে জাফর খালে প্রবাহিত হতো। জাফর খাল থেকে বোয়ালিয়া, লাহুর, নাইজুর, বুড্ডা ও উত্তর এলাকার খাল হয়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কালিকচ্ছ, পানিশ্বর, নোয়াগাঁও, চুন্টা, শাহবাজপুর এলাকার ১০ সহস্রাধিক হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতো। এ সময় খাল গুলি পানিতে টুইটুম্বুর থাকত। আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে ২০-২২ হাজার কৃষক এ চাষাবাদ করে আসছেন গত ৪০-৪২ বছর ধরে। সাধারণত বছরের প্রথম দিকেই এ প্রকল্পের পানি প্রবাহ শুরূ হয়। কিন’ এ বছর জানুয়ারি মাস চলে গেছে। এখনো সবুজ প্রকল্পের পানি ছাড়তে পারেনি বিএডিসি। জাফর খালের তলদেশ শুকিয়ে আছে। একাধিক জায়গায় অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে উচুঁ বাধ দিয়েছেন। যে সময়ে বোরো ধানের সবুজ পাতা বাতাসে দোলত। কৃষক জমিতে বসে আগাছা পরিস্কার করত। হুইটার দিত। সেই সময়ে সরাইলের জমি গুলোতে ধূঁলো উড়ছে। খাঁ খাঁ করছে জমির মাটি। কৃষকরা জমির আইল দিয়ে হাঁটছে আর আফসোস করছে। ইসলামাবাদ গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া (৬২), শাহবাজপুর দীঘিরপাড়ের কৃষক ওমেদ আলী (৬৫) ও ইউনুছ মিয়া (৪২) আক্ষেপ করে বলেন, সময় চলে যাচ্ছে। পানি নেই। এক মাস ধরে শুধু পানি আসবে শুনছি। লাখ লাখ কানি জমি চাষ হচ্ছে না। এখন চাষ করলেও ফলন ভাল হবে না। এখানকার কৃষকরা শেষ। কেউ এ বিষয়ে কথা বলছেন না। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় বলেন, দেড় মাস চলে গেছে। সরাইলের বোরো উৎপাদন শেষ। বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেছে স্থানীয় কৃষকদের। আজ জেলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার একটি স্বারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রূবায়েত ফয়সাল আল-মাছুম এখন পর্যন্ত পানি না দিতে পারার কথা স্বীকার করে বলেন, ফোর লেনের কাজ করতে সবুজ প্রকল্পের পানি প্রবাহের খালটি একেবারে বন্ধই করে দিয়েছেন ঠিকাদার। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় ১১.৬০ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য ৫ মিটার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এক্সেবেটর দিয়ে খালের মাটি তুলছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পানি পাবে কৃষকরা। তবে গতি কম থাকবে। আগামী বছর সড়কের পাশে ৪.৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫ মিটার হাইটে আরসিসি ক্যানেল করা হবে। আবার সাব-ক্যানেলও হবে।

মাহবুব খান বাবুল