মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা এআরডি- ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা এআরডি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তামাক বিরোধী নারী জোট(তাবিনাজ) এর উদ্যোগে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবীতে রবিবার মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লব এর সামনে এসে মানবন্ধনে মিলিত হয়।
এআরডি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন জাহান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত থেকে মানববন্ধন ও র্যালির উদ্বোধন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক মোঃ আবদুল কাইয়ূম। অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এআরডি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান রেজভী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব এর সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হুরায়রাহ প্রমূখ।
র্যালি ও মানববন্ধনে এডাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ও স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এসএম শাহীন, ব্র্যাক এর জেলা সমন্বয়কারী বিভাষ কিশোর দাস, ইশা সমাজ কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তাপষি রায় ও উপদেষ্টা শিবচরণ বিশ্বাস, স্বপ্নতরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম মান্না সহ সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ,শিক্ষক, সুশিল সমাজের নেতাবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকবৃন্দ ও শির্ক্ষাথীগণ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে আরো যুগোপোযগি করে বৈশ্বিক মানদন্ডে উন্নীত করতে যথা- ০১.আইনের ধারা ৪ ও ৭ বিলুপ্ত করা। অর্থাৎ সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে “ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) নিষিদ্ধ করা। ০২. তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। ০৩. তামাক কোম্পানির যে কোন ধরণের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। ০৪. তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কোটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা আকার ৫০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগ করা। ০৫. বিড়ি-সিগারেটের খুচড়া শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা। ০৬. ই-সিগারেটসহ সকল ইমাজিং ট্যোবাকো প্রোডক্টিস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবীতে র্যালী ও মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়।













