৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা, একমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি
সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী,সেক্রেটারী মামুন সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করীম সেলিম। শনিবার সন্ধ্যায় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ কমিটি ঘোষণা করেন। এসময় তিনি সভাপতি পদে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে সভাপতি,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক,সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনকে ১ নং সহসভাপতি,মো.হেলাল উদ্দিনকে সহসভাপতি ও মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন ঘোষিত ৫ জন নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে সাথে নিয়ে আগামী একমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈন,উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি। প্রধান অতিথি ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করীম সেলিম এমপি। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন সুলতানা কল্পনা। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অব.) এমপি। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল। মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপসি’ত ছিলেন এবাদুল করিম বুলবুল,বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি,আ্যারোমা দত্ত এমপি,উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ এমপি। প্রথমেই পতাকা স্ট্যান্ডে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন উদ্বোধক,প্রধান অতিথি সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ। অবমুক্ত করা হয় পায়রা ও বেলুন। এরপর জেলা বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পীদেও একটি টীম মুজিববর্ষেও বঙ্গবন্ধুকে রচিত থিম সঙ ও মুক্তিযুদ্ধেও জাগরণের গান সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করেন। নৃত্যশিল্পীদের সুসজ্জিত একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্যের উপর একটি গানের সাথে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন।