ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রচারণা ধান ও চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে আশুগঞ্জে খাদ্য অধিদপ্তরের অভিযান॥ মিল মালিককে জরিমানা॥ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ ইসলাম, অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইউপিজি’র অগ্রণী ভূমিকা ২০২৫-এ গোল্ড প্রেসিডেন্ট’ সম্মাননা পেলেন রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দীন কারাগারে টাকা ছাড়া মেলেনা বন্দিদের সাক্ষাত পেশাগত অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির বিজয়নগরে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ তানভীর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। কষ্টে ছটফট করছেন ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার গ্রাহক। অন্ধকারেই সারছেন ইফতার সেহরী ও তারাবীর নামাজ। গ্রাহকরা এ সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও আভ্যন্তরিণ গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। আর কর্মকর্তা ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কথা বলছেন। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-আঞ্চলিক সড়কের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের দাবীতে মানববন্ধন করেছে অর্ধশতাধিক কিশোর। স্থানীয় পিডিবি ও একাধিক সূত্র জানায়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির ফলে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। একটানা ২৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোববার রাত ১১টার দিকে গোটা উপজেলায় আসে বিদ্যুৎ। গ্রাহকদের মুখে হাঁসি স্থায়ী হয় স্বল্প সময়। মূহুর্তের মধ্যেই আবার শুরূ হয় লোডশেডিং। ১১ ঘন্টা পর সোমবার সকালে শুধু উপজেলা সদরে দেখা মিলে বিদ্যুতের। দুপুর ১টায় আবার লাপাত্তা।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ছিল না বিদ্যুৎ। উপজেলা সদর ৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকলেও বাকি ৬টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই ৫৫ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে। ফলে ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ৫০০ শত গ্রাহক চরম দূর্ভোগ ও কষ্টে ছটফট করছে। ইফতার ও সেহরী করতে হচ্ছে মোমবাতি হারিকেন আর কুফির আলোয়। আর শরীর ভিজিয়ে তারাবীর নামাজ আদায় করছেন হাজার হাজার নারী পুরূষ। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর বিদ্যুতের দাবীতে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। রাত ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে তাদের মানববন্ধন। এ সময় সড়কের দুপাশে গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ আসার খবরে তারা সড়ক ত্যাগ করে। তারা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা সকল প্রকার কাঁচা মালামালে পঁচন ধরেছে। রোগীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সমস্যা নিরূপণে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও তাদের আভ্যন্তরিণ কোন্দল/গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। তবে সরাইল পিডিপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুর রউফ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু করতে সময় লাগতেছে। বেড়তলা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইনের ইন্সুলেটর ভেঙ্গে গেছে। এটা খুঁজে বের করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। পানিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছি। ৪০ মিনিটের মধ্যে লাইন চালু হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। কষ্টে ছটফট করছেন ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার গ্রাহক। অন্ধকারেই সারছেন ইফতার সেহরী ও তারাবীর নামাজ। গ্রাহকরা এ সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও আভ্যন্তরিণ গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। আর কর্মকর্তা ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কথা বলছেন। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-আঞ্চলিক সড়কের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের দাবীতে মানববন্ধন করেছে অর্ধশতাধিক কিশোর। স্থানীয় পিডিবি ও একাধিক সূত্র জানায়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির ফলে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। একটানা ২৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোববার রাত ১১টার দিকে গোটা উপজেলায় আসে বিদ্যুৎ। গ্রাহকদের মুখে হাঁসি স্থায়ী হয় স্বল্প সময়। মূহুর্তের মধ্যেই আবার শুরূ হয় লোডশেডিং। ১১ ঘন্টা পর সোমবার সকালে শুধু উপজেলা সদরে দেখা মিলে বিদ্যুতের। দুপুর ১টায় আবার লাপাত্তা।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ছিল না বিদ্যুৎ। উপজেলা সদর ৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকলেও বাকি ৬টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই ৫৫ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে। ফলে ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ৫০০ শত গ্রাহক চরম দূর্ভোগ ও কষ্টে ছটফট করছে। ইফতার ও সেহরী করতে হচ্ছে মোমবাতি হারিকেন আর কুফির আলোয়। আর শরীর ভিজিয়ে তারাবীর নামাজ আদায় করছেন হাজার হাজার নারী পুরূষ। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর বিদ্যুতের দাবীতে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। রাত ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে তাদের মানববন্ধন। এ সময় সড়কের দুপাশে গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ আসার খবরে তারা সড়ক ত্যাগ করে। তারা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা সকল প্রকার কাঁচা মালামালে পঁচন ধরেছে। রোগীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সমস্যা নিরূপণে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও তাদের আভ্যন্তরিণ কোন্দল/গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। তবে সরাইল পিডিপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুর রউফ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু করতে সময় লাগতেছে। বেড়তলা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইনের ইন্সুলেটর ভেঙ্গে গেছে। এটা খুঁজে বের করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। পানিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছি। ৪০ মিনিটের মধ্যে লাইন চালু হয়ে যাবে।