Dhaka 2:17 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:54:57 pm, Monday, 1 April 2024
  • 94 Time View

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। কষ্টে ছটফট করছেন ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার গ্রাহক। অন্ধকারেই সারছেন ইফতার সেহরী ও তারাবীর নামাজ। গ্রাহকরা এ সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও আভ্যন্তরিণ গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। আর কর্মকর্তা ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কথা বলছেন। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-আঞ্চলিক সড়কের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের দাবীতে মানববন্ধন করেছে অর্ধশতাধিক কিশোর। স্থানীয় পিডিবি ও একাধিক সূত্র জানায়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির ফলে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। একটানা ২৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোববার রাত ১১টার দিকে গোটা উপজেলায় আসে বিদ্যুৎ। গ্রাহকদের মুখে হাঁসি স্থায়ী হয় স্বল্প সময়। মূহুর্তের মধ্যেই আবার শুরূ হয় লোডশেডিং। ১১ ঘন্টা পর সোমবার সকালে শুধু উপজেলা সদরে দেখা মিলে বিদ্যুতের। দুপুর ১টায় আবার লাপাত্তা।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ছিল না বিদ্যুৎ। উপজেলা সদর ৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকলেও বাকি ৬টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই ৫৫ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে। ফলে ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ৫০০ শত গ্রাহক চরম দূর্ভোগ ও কষ্টে ছটফট করছে। ইফতার ও সেহরী করতে হচ্ছে মোমবাতি হারিকেন আর কুফির আলোয়। আর শরীর ভিজিয়ে তারাবীর নামাজ আদায় করছেন হাজার হাজার নারী পুরূষ। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর বিদ্যুতের দাবীতে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। রাত ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে তাদের মানববন্ধন। এ সময় সড়কের দুপাশে গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ আসার খবরে তারা সড়ক ত্যাগ করে। তারা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা সকল প্রকার কাঁচা মালামালে পঁচন ধরেছে। রোগীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সমস্যা নিরূপণে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও তাদের আভ্যন্তরিণ কোন্দল/গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। তবে সরাইল পিডিপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুর রউফ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু করতে সময় লাগতেছে। বেড়তলা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইনের ইন্সুলেটর ভেঙ্গে গেছে। এটা খুঁজে বের করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। পানিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছি। ৪০ মিনিটের মধ্যে লাইন চালু হয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সরাইল! রাতে কিশোরদের সড়ক অবরোধ

Update Time : 07:54:57 pm, Monday, 1 April 2024

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। কষ্টে ছটফট করছেন ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার গ্রাহক। অন্ধকারেই সারছেন ইফতার সেহরী ও তারাবীর নামাজ। গ্রাহকরা এ সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও আভ্যন্তরিণ গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। আর কর্মকর্তা ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কথা বলছেন। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-আঞ্চলিক সড়কের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের দাবীতে মানববন্ধন করেছে অর্ধশতাধিক কিশোর। স্থানীয় পিডিবি ও একাধিক সূত্র জানায়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির ফলে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। একটানা ২৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোববার রাত ১১টার দিকে গোটা উপজেলায় আসে বিদ্যুৎ। গ্রাহকদের মুখে হাঁসি স্থায়ী হয় স্বল্প সময়। মূহুর্তের মধ্যেই আবার শুরূ হয় লোডশেডিং। ১১ ঘন্টা পর সোমবার সকালে শুধু উপজেলা সদরে দেখা মিলে বিদ্যুতের। দুপুর ১টায় আবার লাপাত্তা।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ছিল না বিদ্যুৎ। উপজেলা সদর ৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকলেও বাকি ৬টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই ৫৫ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে। ফলে ৭ ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ৫০০ শত গ্রাহক চরম দূর্ভোগ ও কষ্টে ছটফট করছে। ইফতার ও সেহরী করতে হচ্ছে মোমবাতি হারিকেন আর কুফির আলোয়। আর শরীর ভিজিয়ে তারাবীর নামাজ আদায় করছেন হাজার হাজার নারী পুরূষ। ফাঁকে গত রোববার রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের উত্তর কুট্রাপাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর বিদ্যুতের দাবীতে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। রাত ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে তাদের মানববন্ধন। এ সময় সড়কের দুপাশে গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ আসার খবরে তারা সড়ক ত্যাগ করে। তারা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা সকল প্রকার কাঁচা মালামালে পঁচন ধরেছে। রোগীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সমস্যা নিরূপণে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও তাদের আভ্যন্তরিণ কোন্দল/গ্রূপিং কে দায়ী করছেন। তবে সরাইল পিডিপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুর রউফ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু করতে সময় লাগতেছে। বেড়তলা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইনের ইন্সুলেটর ভেঙ্গে গেছে। এটা খুঁজে বের করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। পানিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছি। ৪০ মিনিটের মধ্যে লাইন চালু হয়ে যাবে।