সরাইল-অরূয়াইল সড়কের উপজেলা চত্বরে প্রবেশদ্বারে সড়কের উপর গত ৩৭ দিন ধরে পড়ে আছে একটি বটগাছ। ৪৮ ঘন্টা পর ডালপালা কাটলেও গোলটি সরানো হয়নি আদৌ। ফলে এ জায়গায় ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি এখন ৮-১০ ফুট। সরূ জায়গা দিয়ে দু’দিকের যানবাহন পারাপার খুবই কষ্টকর। প্রতিনিয়ত সকাল দুপুর রাতে এ সড়কে লেগে যাচ্ছে তীব্র যানজট। ৫ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে চলে যাচ্ছে ৩০-৩৫ মিনিট। বাধ্য হয়ে অনেক যানবাহন শাহপাড়া, বড়দেওয়ান পাড়া ও বড্ডা পাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে যাতায়ত করছে। রোগী, বৃদ্ধ লোকজন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার যাত্রী ও পথচারীরা পোহাচ্ছেন সীমাহীন দূর্ভোগ। গাছের গোলটি সরানোর জন্য কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী পথচারী, স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন চালকরা জানায়, গত ১১ মে রাতে ভারী বর্ষণের ফলে সরাইল উপজেলা চত্বরে প্রবেশদ্বারে সড়কের পাশের শত বছর বয়সের বটগাছটি সড়কের উপরে পড়ে যায়। রাতেই বন্ধ হয়ে যায় সরাইল-অরূয়াইল সড়কে যান চলাচল। বিকল্প হিসেবে গ্রামের ভেতরের সড়কে চলে যানবাহন। ১৩ মে চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা ডালপালা কেটে দিলেও ৮-৯ ফুট লম্বা গোলটি সড়কেই পড়ে থাকে। গাছটির কারণে সড়কের প্রস্থ কমে গেছে। ফলে ভাটি এলাকার ৩ ইউনিয়নের মানুষ ও উপজেলার সরকারি দফতরে প্রবেশের ব্যস্ততম এ সড়কে দিনে রাতে লেগে যাচ্ছে জ্যাম। নির্মাণ সামগ্রি ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনে নাভিশ্বাস ওঠছে। সড়কে যাতায়তকারী সকল শ্রেণিপেশার লোকজনের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। সড়কের উপর থেকে গোলটি সরিয়ে নিলে পথচারীসহ সকলেরই দূর্ভোগ লাঘব হবে। গত ৩৭ দিন ধরে সীমাহীন কষ্টে আছেন এ সড়কে যাতায়তকারী নারী পুরূষ ও শিক্ষার্থীরা। সরাইল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সালিসকারক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। এক মাসের অধিক সময় ধরে একটি গাছ সড়কের উপর থেকে সরাতে পারছি না। সাধারণ মানুষের অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। অনেকে প্রতিবাদ স্বরূপ মানববন্ধন করার কথাও বলছেন। অধিকাংশ সময় সড়কে জ্যাম থাকে। ফলে ব্যবসায়িদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। মহিলারা সড়কে চলতে বিব্রতবোধ করছেন। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার বলেন, গাছটির জন্য মানুষ কষ্ট করছে। গাছটি পড়ার পরই আমি এসি ল্যান্ড মহোদয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি ডালপালা কাটার ব্যবস্থা করেছেন। গোলটি সরানোর ব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি দ্রূতই গোলটি সরিয়ে নেয়ার ব্যবস’া গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, গাছটি সড়ক থেকে দ্রূত সরানো আমাদের সকলেই দায়িত্ব। জায়গাটি ভূমি অফিসের। তাই গাছটি পড়ে যাওয়ার পরই আমি দেশের বাহিরে থেকেও এসি ল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। ডালপালা গুলো কাটতে বেশ টাকা খরচ হয়েছে। গোলটি সরাতে তারা ১০ হাজার টাকা চেয়েছেন। এত টাকা আসলে ব্যক্তিগত ভাবে তো কেউ বহন করবেন না। যাক আজ রাতেই (১৬ জুন, বৃহস্পতিবার) বিশেষ ব্যবস্থায় গোলটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
মাহবুব খান বাবুল