হাসপাতালের টিকেট জাল করে ধর্ষণ মামলা
- আপডেট সময় : ০৯:৩০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের বর্হিবিভাগের টিকেট জাল করে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে ১৭ মাস বয়সী এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন এক পিতা। পূর্ব বিরুধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজের শিশু কন্যাকে ব্যবহার করে এই পন্থা অবলম্বন করা হয় বলে অভিযোগ। সদর হাসপাতালের ওই টিকেট জাল করে গত ৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এ মামলা করেছে মেয়ে শিশুটির বাবা উপজেলার আব্দুল্লাহ পুর গ্রামের বাসিন্দা শানু মিয়া। জালিয়াতির এই বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ১৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মেয়েটির বাবা শানু মিয়া সহ ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ১৪ বছরের ছেলেটির বাবা আব্দুল্লাহ পুর গ্রামের তহিদ মিয়া। মামলাটির এজাহার থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালের বর্হিবিভাগের টিকেট নং ৮৪৩২২ নং স্বারকের একটি জাল টিকেট তৈরি করে সেটিকে পুজি করে শানু মিয়া ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। একই অভিযোগ বিজয়নগর থানায় করার পর সেটি তদন্ত হয়। একই অভিযোগ দেওয়া হয় বিজয়নগর থানায়। সেটি তদন্ত হলে সেখানেও অভিযোগ মিথ্যা প্রমান হয়। এছাড়াও ওই মামলায় অভিযুক্ত আশরাফুলকে ১৮ বছর বয়স দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এবিষয়ে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের বাবা তহিদ মিয়া জানান, সব বাচ্চারা মিলে এক সাথে খেলছিলো। তখন আমার ছেলে তার বড় আম্মার মোবাইল নিয়ে খেলার স্থানের পাশেই বসে মোবাইলে ছবি দেখছিলো। তখন শানু মিয়ার মেয়ে আমার ছেলের মোবাইলে এসে বার বার ধরছিলো বা বিরক্ত করছিলো। তখন আমার ছেলে বিরক্ত হয়ে তাকে একটা ধাক্কা মারে ফলে মেয়েটি মাটিতে পড়ে যায়। তখন মেয়েটির মা এসে জগড়া শুরু করে। তাছাড়া তাদের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। তাই ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করতে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগের তদন্ত করতে আসেন এস আই মাহমুদুর রহমান। এবং তিনি তার তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাননি। পরে আমি যাই মেয়েটির বাবার কাছে ঘটনা মিমাংসার জন্য, কিন্তু সে কোন মতেই ব্যপারটি মিমাংসা করেনি। মূলত পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে ফাসাতে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে রাতে বাড়িতে থাকতে চায়না। রাতের বেলা এখানে ওখানে বা আমার রান্না ঘরে ঘুমায়। এতে করে যেকোন সমস্যায় সে পড়তে পারে। তাই আমি তাকে ঘরে রাখার জন্য তাকে শিকল দিয়ে বেধে রেখেছিলাম। পরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে আমার কাছ থেকে শেকল মুক্ত করে।