ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্নদার দেড়শ বছর উদযাপনের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন ৬ দফা দাবি আদায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি বাঞ্ছারামপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে হামলা বাড়িঘর ভাঙচুর, ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া মিডটাউনের সাধারণ সম্পাদক হলেন সানাউল্লাহ্ বাঞ্ছারামপুরে ‘ত্রাসের রাজত্ব’, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর বিজয়নগরে ৬২ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার সরাইলে ছেত্রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

হতদরিদ্র মেধাবী রবিউলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

dc

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হতদরিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের লেখাপড়া দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে মেধাবি হতদরিদ্র শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও তার পিতা নাজু মিয়া জেলা প্রশাসকের দেখা করতে আসলে এই সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জেলার সদর উপজেলার হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের সাথে ফোনে সরাসরি কথা বলেন। এই সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে তাকে লেখাপড়া করানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি তাকে দ্রুত উপবৃত্তির ব্যবস’া করার জন্যও তিনি বলেন। এসময় প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করেন।এই সময় শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় এতোদিন আমার লেখাপড়া বন্ধ ছিল। আজ জেলা প্রশাসক স্যারের জন্য আবার স্কুলে যেতে পারব। শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বাবা নাজু মিয়া জানান, আমি জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। সেই মোতাবেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বিনাবেতনে লেখাপড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ছেলেটি মেধাবি। তাকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল কিছু ফ্রি করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: ছোটবেলা থেকেই বিমান তৈরির শখ জাগে কিশোর রবিউলের। অবশেষে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তৈরি করে চালকবিহীন বিমান। তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ায় খোলা আকাশে এখন উড়ছে বিমানটি। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছে গ্রামবাসীসহ দূর-দূরান্তেরর লোকজন। জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের দিনমজুর নাজু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে রবিউল ইসলাম। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হতদরিদ্র মেধাবী রবিউলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

হতদরিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের লেখাপড়া দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে মেধাবি হতদরিদ্র শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও তার পিতা নাজু মিয়া জেলা প্রশাসকের দেখা করতে আসলে এই সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জেলার সদর উপজেলার হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের সাথে ফোনে সরাসরি কথা বলেন। এই সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে তাকে লেখাপড়া করানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি তাকে দ্রুত উপবৃত্তির ব্যবস’া করার জন্যও তিনি বলেন। এসময় প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করেন।এই সময় শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় এতোদিন আমার লেখাপড়া বন্ধ ছিল। আজ জেলা প্রশাসক স্যারের জন্য আবার স্কুলে যেতে পারব। শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বাবা নাজু মিয়া জানান, আমি জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। হাবলা উচ্চ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। সেই মোতাবেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের বিনাবেতনে লেখাপড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ছেলেটি মেধাবি। তাকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল কিছু ফ্রি করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে বইপত্র, স্কুল ড্রেস বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ জেলা প্রশাসকের শিক্ষা তহবিল থেকে প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: ছোটবেলা থেকেই বিমান তৈরির শখ জাগে কিশোর রবিউলের। অবশেষে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তৈরি করে চালকবিহীন বিমান। তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ায় খোলা আকাশে এখন উড়ছে বিমানটি। এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছে গ্রামবাসীসহ দূর-দূরান্তেরর লোকজন। জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের দিনমজুর নাজু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে রবিউল ইসলাম। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা।