ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

‘স্বাধীনতা সংগ্রামে যুদ্ধ করাটাই ভুল ছিল’ – সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ মাতৃতাকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করাটাই ছিল আমাদের ভুল। জাতীয় দিবস আসলে সকলেই বক্তব্যে আমাদেরকে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান আখ্যায়িত করে অনেক সম্মান দেন। সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু আমাদেরকে অযথা হত্যা মামলায় আসামী করা হল। অনর্থক আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের উপর বেহুদা মছিবত ছাপাইয়া দিল। কি কষ্টই না করেছি। এখনও করছি। কোথায় কেউ তো সত্য কথাটা বলেন না? ইকবাল আজাদকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে? প্রকাশ্যে দিবালোকে হাজার লোক দেখেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে তো কেউ মুখ খুলছেন না। ২৯ জন আসামী স্বাক্ষীও ২৯ জন। স্বাক্ষীরা বলছেন, মিডিয়া ছিল। অনেকের কাছেই এনরয়েড মুঠোফোন সেট ছিল। কেউ তো সত্য ছবিটি দিচ্ছেন। ভয়ে ন্যায় কথাটা বলছেন না। অযথা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিল। আমাদের পরিবার সরাইল ছেড়েও রক্ষা পায়নি। তাদের উপর টর্চার করা হয়েছে। সরাইল থেকে কসবা গিয়েও থাকতে পারেনি। এরপর ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। বীরমুক্তি যোদ্ধা হালিম সামাজিক লোক ছিল। অত্যন্ত নিরিনিলি মানুষ ছিলেন। সারাটা জীবন সরাইলে কাটিয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার ভাই সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ছিলেন। সামাজিকতা রক্ষা করে জীবনটা অতিবাহিত করেছেন। আমরা আমাদের দীর্ঘ জীবনে কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। কাউকে কটু কথা বলিনি। আমাদের উপর কেন এই গায়েবী নির্যাতন। সরাইলে কী এমন লোক নেই। যিনি আমাদের অপরাধটা জানতে চাইতে পারেন। এত দিন হল। লম্বা সময় জেল খাটলাম। কেউ এই বিষয়ে সঠিক কথাটি বলছেন না। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবস-২০২৩ উদযাপনে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আলোচনা সভায় ক্ষোভে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী। নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্ব ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আ’লীগ নেতা এড. আব্দুর রাশেদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. নোমান মিয়া, আ’লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘স্বাধীনতা সংগ্রামে যুদ্ধ করাটাই ভুল ছিল’ – সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ মাতৃতাকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করাটাই ছিল আমাদের ভুল। জাতীয় দিবস আসলে সকলেই বক্তব্যে আমাদেরকে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান আখ্যায়িত করে অনেক সম্মান দেন। সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু আমাদেরকে অযথা হত্যা মামলায় আসামী করা হল। অনর্থক আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের উপর বেহুদা মছিবত ছাপাইয়া দিল। কি কষ্টই না করেছি। এখনও করছি। কোথায় কেউ তো সত্য কথাটা বলেন না? ইকবাল আজাদকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে? প্রকাশ্যে দিবালোকে হাজার লোক দেখেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে তো কেউ মুখ খুলছেন না। ২৯ জন আসামী স্বাক্ষীও ২৯ জন। স্বাক্ষীরা বলছেন, মিডিয়া ছিল। অনেকের কাছেই এনরয়েড মুঠোফোন সেট ছিল। কেউ তো সত্য ছবিটি দিচ্ছেন। ভয়ে ন্যায় কথাটা বলছেন না। অযথা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিল। আমাদের পরিবার সরাইল ছেড়েও রক্ষা পায়নি। তাদের উপর টর্চার করা হয়েছে। সরাইল থেকে কসবা গিয়েও থাকতে পারেনি। এরপর ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। বীরমুক্তি যোদ্ধা হালিম সামাজিক লোক ছিল। অত্যন্ত নিরিনিলি মানুষ ছিলেন। সারাটা জীবন সরাইলে কাটিয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার ভাই সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ছিলেন। সামাজিকতা রক্ষা করে জীবনটা অতিবাহিত করেছেন। আমরা আমাদের দীর্ঘ জীবনে কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। কাউকে কটু কথা বলিনি। আমাদের উপর কেন এই গায়েবী নির্যাতন। সরাইলে কী এমন লোক নেই। যিনি আমাদের অপরাধটা জানতে চাইতে পারেন। এত দিন হল। লম্বা সময় জেল খাটলাম। কেউ এই বিষয়ে সঠিক কথাটি বলছেন না। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবস-২০২৩ উদযাপনে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আলোচনা সভায় ক্ষোভে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী। নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্ব ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আ’লীগ নেতা এড. আব্দুর রাশেদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. নোমান মিয়া, আ’লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান।