মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ মাতৃতাকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করাটাই ছিল আমাদের ভুল। জাতীয় দিবস আসলে সকলেই বক্তব্যে আমাদেরকে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান আখ্যায়িত করে অনেক সম্মান দেন। সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু আমাদেরকে অযথা হত্যা মামলায় আসামী করা হল। অনর্থক আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের উপর বেহুদা মছিবত ছাপাইয়া দিল। কি কষ্টই না করেছি। এখনও করছি। কোথায় কেউ তো সত্য কথাটা বলেন না? ইকবাল আজাদকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে? প্রকাশ্যে দিবালোকে হাজার লোক দেখেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে তো কেউ মুখ খুলছেন না। ২৯ জন আসামী স্বাক্ষীও ২৯ জন। স্বাক্ষীরা বলছেন, মিডিয়া ছিল। অনেকের কাছেই এনরয়েড মুঠোফোন সেট ছিল। কেউ তো সত্য ছবিটি দিচ্ছেন। ভয়ে ন্যায় কথাটা বলছেন না। অযথা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিল। আমাদের পরিবার সরাইল ছেড়েও রক্ষা পায়নি। তাদের উপর টর্চার করা হয়েছে। সরাইল থেকে কসবা গিয়েও থাকতে পারেনি। এরপর ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। বীরমুক্তি যোদ্ধা হালিম সামাজিক লোক ছিল। অত্যন্ত নিরিনিলি মানুষ ছিলেন। সারাটা জীবন সরাইলে কাটিয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার ভাই সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ছিলেন। সামাজিকতা রক্ষা করে জীবনটা অতিবাহিত করেছেন। আমরা আমাদের দীর্ঘ জীবনে কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। কাউকে কটু কথা বলিনি। আমাদের উপর কেন এই গায়েবী নির্যাতন। সরাইলে কী এমন লোক নেই। যিনি আমাদের অপরাধটা জানতে চাইতে পারেন। এত দিন হল। লম্বা সময় জেল খাটলাম। কেউ এই বিষয়ে সঠিক কথাটি বলছেন না। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবস-২০২৩ উদযাপনে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার আলোচনা সভায় ক্ষোভে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী। নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্ব ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আ’লীগ নেতা এড. আব্দুর রাশেদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. নোমান মিয়া, আ’লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান।