মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে তেলেসমতি দেখিয়েছে সরাইল পিডিবি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে দেখা মিলেনি স্থানীয় পিডিবি’র কোন সদস্যের। তবে সকাল থেকে বিকাল ৩ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত থেমে থেমে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতা ভাবিয়েছে সকল প্রকার গ্রাহককে। নাভিশ্বাস ওঠেছে স্বাধীনতার অনুষ্ঠানের আয়োজক, প্রতিষ্ঠান, অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ দর্শকদের। সরজমিনে জানা যায়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের সাথেই রয়েছে বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টতা। জাতীয় গুরূত্বপূর্ণ এ দিবসে সকাল ৯টা থেকেই শুরূ হয় পিডিবি’র তেলেসমতি। আধা ঘন্টার মধ্যে ৪ বার চলে গেছে বিদ্যুৎ। মাঝে মধ্যে আসে। তবে চলে গেলে আসার সময়টা অনিশ্চিত। ফলে চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ঘেঁমে ভিজে যাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আধা ঘন্টা সময়ের মধ্যে ৪ বার চলে গেছে বিদ্যুৎ। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালীকচ্ছ উত্তর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান বলেন, একটু আগে চলে গেছে বিদ্যুৎ। অনুষ্ঠানের সকল কাজ শেষ। শুরূ করব। এমন সময় চলে গেল বিদ্যুৎ। আটকে গেলাম। বাচ্চাদের শরীর থেকে গড়িয়ে ঝড়ছে ঘাম। পিডিবিকে বলে ব্যবস্থা একটা করেন। কখনো আধা ঘন্টা কখনো ১ ঘন্টা পর আসে। আবার অনেক সময় আসেনই না। ১০ মিনিটের বিদ্যুৎ চলে গেছে ৪ বার। আরেক ফিডারে আধা ঘন্টায় চলে গেছে ৫ বার। এ ভাবেই আজ সেবা দিয়েছে সরাইল পিডিবি। দীর্ঘ সময় পর এসে একটু ঝিলিককেই তেলেসমতি ভাবছে গ্রহকরা। সহকারি প্রকৌশলী মো. সুমন মিয়াকে জানালে বলেন, আমি জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। এরপরও কোন পরিবর্তন হয়নি। সামান্য একটু সময়ের জন্য আসে বিদ্যুৎ। বিকাল ২টার দিকে আবারও লাপাত্তা। আবার ফিরে আসে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট পর। বিদ্যুতের এই তেলেসমতির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান গুলো শান্তিতে করা সম্ভব হয়নি। প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা ছটফট করেছে। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) এ জেড এম আনোয়ারূজ্জামান বিকাল ৩টার দিকে বলেন, বিদ্যুৎ নেই। আমার তো বিষয়টি জানা নেই। আমি এইমাত্র ঢাকায় এসে পৌঁছলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মাহবুব খান বাবুল